আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩

সংখ্যা: ১৭৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

শুন্ উলামায়ে “ছূ” খচ্চর,
ঐ আজকে কেন বিশ্বজুড়ে শয়তানে মাতবর?
কেন শয়তান রয় আগুয়ান শক্তিতে বিস্তর?
হায় হায় কেন তাগুতি অনল ধরণীতে ত্রাস আনে?
গ্রাস করে কেন সত্য শান্তি অগ্নি লাভায় ভূনে?
সাম্য সুখ দুঃখে কেন ভরা ডুকেরে ডুকরে কাঁদে?
হালাল খাবার ডাস্টবিনে ছুড়ে হারাম খাদ্য রাধে।
কেন পূণ্যের সংস্কৃতিরে করে হায় অবহেলা,
কুফরি রিতিরে লুকাইয়া লও হররোজ মেখে ধুলা।
ওরে ও নাদান!
কেন কাফিরের হতে চাও তুমি মিছকিনি মেহমান?
কেন মৌলবী জুলির্ফ দোলায়ে নাচোগো নাতিন ধিন,
ইহুদী সাজনে মজাই লাগছে আধুনিকে সমিচিন।
তোর নাচ গানসহ খেলাধুলাকে বন্ধ করতে কে—হে?
ফের ছবি ভিডিও জায়িয করছ মনরঞ্জনি মোহে।
চাহ, কেন বাংলার মুমিনিন ধরে করতে জাহানড়বামী?
চাহ কুরআন, হাদীছ উপেক্ষা করে হতেই ধর্ম স্বামি।
গণতন্ত্রের ভোটার বানাতে ছবি তোলা কও ফরয,
কেন ইহুদী মন্ত্রে যন্ত্র বনিস হারায়ে হক্ব সমঝ।
আজ মুসলিম, দেশে দেশে হেরি কুফরি খবরদারি,
কুফরী আইন ও দর্শ পালনে করছ গো হুরোহুরি।
ঐ সৌদি বাদশা চন্দ্র তারিখে ইহুদী হিসাব গ্রহে,
হজ্জ ও ছাওমের বারটা বাজায় গাফিলিয়তির দাহে।
ঐ ইহুদী নাছারাও নাস্তিকদের মোক্ষম অভিলাস,
উলামায়ে ছূ কি করছে পূরণ জোযনিয়ে সন্ত্রাস?
এহেন হেতুরে ভূতলে দাবাতে মুজাদ্দিদ হাজিরান,
তামাম তাগুত দফাতে নিঁখুত খ্যাতি তাঁর মহাশান।
ঐ মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগেই রাজকীয় জৌলুছে,
তামাম ধরনি দস্তে রাখেন ইসলামী ইখলাছে।
তিনি মুজাদ্দিদ উর্দ্ধে হামেশা তামাশা তাগুতি হতে,
তিনি মুজাদ্দিদ তাজদীদ দিয়ে তাগুতি তখত ঘাতে।
দেখি কুখ্যাত ঐ মইত্যা রাজাকার নরক জেলখানায়,
হায়, অপমান আর তিরষ্কারেই দিবারাতি গুজরায়।
মুজাদ্দিদের তাজদীদে আজ প্রশাসন জেগে উঠে,
সুভবুদ্ধি উদয় হচ্ছে বাংলা আইনি হাটে।
যদিও অনেক পরেই টনক নড়েই উঠল যদি,
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ধরে বাঁচাতে তাহার গদি।
তারা ঙ্মত্যাসহ সকল দাগিরে করে করে গ্রেফতার,
জেলের শিকলে রাখছেগো বেঁধে থেকে থেকে হুশিয়ার।
শুন সরকার!
ঐ নরঘাতক মইত্যা যে হয় ইহুদীর দফাদার,
দেখি মহজ্যা সাইদী গংরা কেন গোফে তা দিয়ে রয়?
কেন মাহি কামিনী দর্পে ঘুরছে সরকারী আঙ্গিনায়?
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার শুনে নাও,
তারাই হচ্ছে উলামায়ে “ছূ” কাল নাগীনির পাও।
সমূলে তারাই মুসলমানের ঈমান নিচ্ছে কেড়ে,
হায়, মুসলামানেরে কাফির বানিয়ে জাহান্নামেই ঝাড়ে।
ঐ দৈনিক আল ইহসান খুলে ব্যানার হেডিং পর,
মুজাদ্দিদ আ’যম এর তাজদীদ দিয়ে বেঈমানদের ধর।
কতনা সাহস দেখাচ্ছে আজ ইহুদী নাছারা ওরে,
ধৃষ্টতা খুব দেখাচ্ছে তারা কুরআনের পাতা ছিড়ে।
এসব শুনেই ওরে মুসলিম চুপ কি থাকতে পার?
হায় ফারূকের টগবগি ক্ষূণ থিতিয়ে রাখবে আরো?
ঐ যে ফারূকে আ’যম হায়দারি বীর মুজাদ্দিদ সুমহান,
তিনি এই যামানায় রাজারবাগেই দ্বিপ্তিতে মহিয়ান।
তিনি যে ইমাম লা পরওয়া মহাবীর এই ভূমে,
ঐ তাগুতি অসুর তাবা করে দিতে আগমণ দূর্দমে।
ওরে ও মুসলমান!
দূর করে দাও নিজ দিল হতে তাগুতের সন্ধান।
মুজাদ্দিদের মুহসিন নূরে নিজকে জাগাও ফের,
কায়িম কর হে পূনঃ খিলাফত ইলাহী আহকামের।
যাহির হল রে খোদার খলীফা শুনরে মুসলমান,
জাহিলের তুর তছনছ করে সত্য তিনি জানান।
থেকনারে হিলে মুসলিমকুল নও নও বুজদিলে,
ঐ তাগুতবাদী দাজ্জালদেরে ভেব নারে মুশকিলে।
মুজাদ্দিদ আ’যম, তোমারে রাখেন চির হুশে বলিয়ান,
ঐ মুজাদ্দিদের ছবকে হবেই হাকিকতে ইনসান।
তিনি আবার দেখাবেন বিশ্ববাসীরে মুসলমানের খ্যাতি,
আবার বানাবেন পৃথিবী গ্রহরে নববী নক্শা জ্যোতি।
খোদার যমিনে জাগাবেন আবার মুসলিমি খিলাফত,
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম, রহমে খোদার তোমা দেন ইবারত।
রহনারে আর ভ্রান্তির মোহে ঢেলে যে দেহের লহু,
ক্লান্তির কোল সিল মেরে ধর মুজাদ্দিদের বাহু।
মাগরীব হতে মাশরিকে হউক ফের আযানের ধ্বনি,
এস এই শপথই মুজাদ্দিদ দেন ইহাই মুসলমানি।
বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৭