খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

সংখ্যা: ১৮৩তম স | বিভাগ:

কাদিয়ানী রদ!

(ষষ্ঠ ভাগ)

(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আয’ম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রঈসুল মুহাদ্দিছীন, তাজুল মুফাস্সিরীন, হাফিযুল হাদীছ, মুফতিউল আ’যম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ ছূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খ-ে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরক্বা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান-আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টায় কামিয়াবী দান করুন (আমীন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।

(ধারাবাহিক)

তৎপরে বলিলেন, হজরত মোহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি অবস্থায় আছেন? আমরা বলিলাম, তিনি বেছাল শরীফ লাভ করিয়া গিয়াছেন। তৎশ্রবণে তিনি অনেকক্ষণ ক্রন্দন করিলেন, এমনকি তাঁহার দাড়ী ভিজিয়া গেল। তৎপরে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, ইহার পরে তোমাদের মধ্যে কে খলিফা হইয়াছেন? আমরা বলিলাম,  হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তিনি বলিলেন তাঁহার অবস্থা কিরূপ? আমরা বলিলাম, তিনি এন্তেকাল করিয়াছেন। তৎপরে তিনি বলিলেন, তাঁহার পরে তোমাদের মধ্যে কে খলিফা হইয়াছেন? আমরা বলিলাম, হজরত ওমার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। তৎপরে তিনি বলিলেন, যখন হজরত মোহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সহিত আমার সাক্ষাৎ হইল না, তখন হজরত ওমার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে আমার ছালাম পৌঁছাইবেন এবং বলিয়া দিবেন তিনি যেন ন্যায় বিচার করেন, কেয়ামত নিকটে আসিয়াছে।

তৎপরে তিনি বলিলেন, আমি যে চি‎‎হ্নগুলির সংবাদ দিতেছি, তাহা ওমার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জ্ঞাপন করিবেন। যে সময় এই রীতিগুলি হজরত মোহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উম্মতের মধ্যে প্রকাশিত হইবে, তখন পলায়ন ব্যতীত আর কিছু উপায় থাকিবে না।

যখন পুরুষে পুরুষে, স্ত্রীলোকে স্ত্রীলোকে সঙ্গম করিবে নিজের নছব পরিবর্ত্তন করিয়া অন্য নছব প্রকাশ করিবে, মুক্ত গোলাম নিজের মালিক ব্যতীত অন্য সম্প্রদায়ের নামে প্রসিদ্ধ হইবে। জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি কনিষ্ঠের উপর দয়া করিবে না, কনিষ্ঠ জ্যেষ্ঠের সম্মান রাখিবে না, সৎ কার্য্যরে হুকুম করা হইবে না, অসৎকার্য্য করিতে নিষেধ করা হইবে না, আলেমেরা দুনিয়া লাভের জন্য এলম শিক্ষা করিবে, বর্ষাকালে বারিবর্ষণ হইবে না, বড় বড় মিম্বর বানান হইবে, কোরআন মজিদকে রৌপ্যের পানি দ্বারা নক্শা করা হইবে, মছজেদের নক্শ নেগার বেশী করা হইবে, প্রকাশ্যভাবে উৎকোচ গ্রহণ করা হইবে, অট্রালিকা খুব মজবুত করা হইবে, নফছের কামনা বাসনা চরিতার্থ করা হইবে, দীনকে দুনিয়ার বিনিময়ে বিক্রয় করা হইবে, মানুষ হত্যাকে সামান্য বিষয় অনুমান করা হইবে, আত্মীয়তা বিচ্ছেদ করা হইবে, টাকা দিয়া বিচার ব্যবস্থা পরিবর্ত্তন করা হইবে। সুদ খাওয়া হইবে, হুকুমত গৌরবের বিষয় হইবে। ধনাঢ্যতা সম্মানের বিষয় হইবে, সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি সামান্য ব্যক্তির সম্মান করিবে, স্ত্রীলোকেরা ঘোটকের উপর আরোহণ করিবে। তৎপরে তিনি অদৃশ্য হইয়া গেলেন।

হযরত নজলা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এই সংবাদ হজরত ছাদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জানাইলেন, তিনি হজরত ওমার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জানাইলেন। হজরত ওমার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ছা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে লিখিলেন, তোমরা সঙ্গী মোহাজের ও আনছারদিগের সহিত সেই পাহাড়ের নিকট উপস্থিত হও, তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ হইলে, তাহাকে আমার ছালাম জানাও।

হজরত ছা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু চারি সহস্র মোহাজের ও আনছারকে লইয়া চল্লিশ দিবস সেই পাহাড়ের নিকট থাকিয়া প্রত্যেক ওয়াক্তে আজান দিতেন, কিন্তু তাঁহার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নাই।

ইহাতে বুঝা যায় যে, মির্জা ছাহেবের এলহাম বহু মোজাদ্দেদের এলহামের বিপরীত, কাজেই উহা বাতীল।

(অসমাপ্ত)

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র ইসলামী শরীয়ত উনার হুকুম মোতাবেক খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির। যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

খতমে নুবুওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির “ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় যেমন-  কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড

কাদিয়ানী রদ!