খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৬

সংখ্যা: ১৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

এখন রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করে, আশুরাকে সম্মান করে, দান খয়রাত করে ইহুদী-নাছারারা ঈমানদার হয়ে গেল। জান্নাতী হয়ে গেল।

তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে কেউ যদি সম্মান করে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে তারিখ, মাসকে তাহলে তারাওতো জান্নাতী হবে।

ঠিক আমরা একইভাবে দেখতে পাই যে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর সাথে তো আশুরা, মুহররম, দান-খয়রাতের সম্পর্ক নেই। তবে একদিক থেকে রয়েছে। আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেছেন, তোমরা কর সেজন্য সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর সাথে সরাসরি সম্পর্ক যা রয়েছে তাদের কতটুকু ফযীলত রয়েছে? এজন্য আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর আওলাদ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে।

আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে যে- আপনি বলুন,

قُلْ لَّاۤ  اسْالُكُمْ عَلَيْهِ اجْرًا الَّا الْـمَوَدَّةَ  فِى الْقُرْبٰى

হে আমার হাবীব! আপনি বলে দিন যে, আমি তোমাদের কাছে কোন বিনিময় চাচ্ছি না। আমি তোমাদের হিদায়েত দিচ্ছি। আল্লাহ পাক-এর কথা বলে দিচ্ছি, জানিয়ে দিচ্ছি। তবে তোমরা আমার যারা আওলাদ রয়েছেন, আহাল-ইয়াল যারা রয়েছেন তাদের প্রতি তোমরা সৎ ব্যববহার করবে, তা’যীম তাকরীম করবে।

আর হাদীছ শরীফে রয়েছে,

عن ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احبوا الله لـما يغذوكم من نعمة واحبونى لحب الله واحبوا اهل بيتى لحبى.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন,

احبوا الله

আল্লাহ পাককে মুহব্বত কর।

لـما يغذوكم من نعمة

যেহেতু আল্লাহ পাক তোমাদের নিয়ামত দেন, লালন-পালন করেন, খাওয়ান, পরান সেজন্য আল্লাহ পাককে মুহব্বত কর।

احبونى لحب الله

আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন যে, তোমরা আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে মুহব্বত কর অর্থাৎ আমাকে মুহব্বত কর আল্লাহ পাক-এর কারণে। আল্লাহ পাক-এর মুহব্বতের কারণে।

احبوا اهل بيتى لحبى.

এবং আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন যে, আমার আহলে বাইত যাঁরা, আওলাদে রসূল যাঁরা, তাঁদেরকে মুহব্বত কর। আমাকে মুহব্বত করার কারণে। আল্লাহ পাক-এর হাবীব সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে লক্ষ লক্ষ ওয়াকিয়া রয়েছে। একটা ওয়াকিয়া আমি বলব, তাহলে বুঝতে সহজ হবে। সমরকন্দের এক মহিলা ছিলেন, তিনি ছিলেন বিধবা। বিধবা সেই মহিলা আওলাদে রসূল। উনার ছেলে-মেয়ে ছিলেন কয়েকজন, তাঁরাও আওলাদে রসূল। সে বিধবা মহিলা, আর্থিক কিছু অভাব-অনটনে ছিলেন। উনার এলাকায় যে কাজী ছাহেব ছিল, সেও সম্পদশালী ছিল। সে মহিলা আওলাদে রসূল, তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন, তিনি কাজী ছাহেবের কাছে ব্যাপারটি খুলে বলবেন, যেহেতু আল্লাহ পাক তাকে সম্পদ দিয়েছেন, তারতো দায়িত্ব-কর্তব্য উনাদের দেখা-শুনা করা। এটা চিন্তা করে সে মহিলা আওলাদে রসূল গেলেন কাজী ছাহেবের কাছে। যেয়ে বললেন, হে কাজী ছাহেব! আমি আওলাদে রসূল, আমার যারা আওলাদ, ছেলে-মেয়ে রয়েছে তাঁরাও আওলাদে রসূল। তোমাকে আল্লাহ পাক অনেক সম্পদ দিয়েছেন। কমপক্ষে তুমি আমাদের দেখা শুনা কর, খোঁজ খবর নাও, আমাদের যা খরচ রয়েছে খাবার-দাবারের, কাপড়-চোপড়ের সে ব্যবস্থা তুমি গ্রহণ কর। সে লোকটা বখিল ছিল। বখিল হওয়ার কারণে একথা শুনে সে বলল, আপনি যে আওলাদে রসূল তার কোন প্রমাণ রয়েছে কি? তখন তিনি মহিলা মানুষ আবার বিধবা; আর্থিক অভাব অনটনে রয়েছেন। তিনি বললেন, দেখ, আমার কাছেতো নসবনামা নেই। তবে আমার জানা রয়েছে, এতে সন্দেহ নেই। আমি যে আওলাদে রসূল, আমার আওলাদ, ছেলে-মেয়ে রয়েছে তারাও আওলাদে রসূল। কিন্তু এটা শুনার পরও সেই কাজী ছাহেব কি করল? সে বলল, আপনাকে দলীল পেশ করতে হবে, আপনি যে আওলাদে রসূল অর্থাৎ নসবনামা দেখাতে হবে। অন্যথায় আমি আপনাকে সহযোগিতা করব না। আপনি চলে যেতে পারেন। এটা বলে সেই কাজী ছাহেব সেই বিধবা আওলাদে রসূল উনাদেরকে সে সহযোগিতা করল না। সহযোগিতা করল না, সাহায্য করল না। উনারা বের হয়ে আসলেন সেখান থেকে। কিছু দূর আসার পর একটা লোকের সাথে সাক্ষাত হল। লোকটা ছিল মজূসী, অগ্নি উপাসক। সে এই মহিলা আওলাদে রসূল; উনার সাথে তাঁর ছেলে-মেয়ে দেখে জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার, আপনারা এখানে কোথায় এসেছেন? কোথায় যাচ্ছেন? তার মনে একটা সন্দেহ জেগেছে, উনাদের চাল-চলন দেখে মনে হচ্ছে উনারা কিছু তালাশ করতেছেন। তখন সেই আওলাদে রসূল মহিলা বিধবা তিনি বললেন, আসলে আমরাতো এসেছিলাম কাজী ছাহেবের কাছে, আমাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থার জন্য। যেহেতু তিনি হচ্ছেন বিধবা, উনার সন্তান রয়েছেন, উনারা সকলেই আওলাদে রসূল। কাজী ছাহেব কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করল না। কাজেই, আমরা অন্য কোথাও যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করতেছি। তখন সেই মজূসী ব্যক্তি বলল, ঠিক আছে এক কাজ করুন, আমি তো আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ, যিনি নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করে থাকি। মজূসী বলল, আমি তো আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে মুহব্বত করি। উনার সম্পর্কে আমি জানি। উনাকে তা’যীম-তাকরীম করি। আপনারা যদি সত্যিই উনার আওলাদ হয়ে থাকেন তাহলে আমার সঙ্গে আসুন। আজকে থেকে আপনারা, অর্থাৎ আপনি এবং আপনার যারা ছেলে-মেয়ে রয়েছেন তাঁরা সকলেই আমার বাড়িতে থাকবেন। আপনাদের থাকা-খাওয়া, কাপড়-চোপড়, অন্যান্য যা কিছু খরচ প্রয়োজন রয়েছে আমি সব কিছু দেখাÑশুনা করব। (ইনশাআল্লাহ) আপনারা আমার সাথে আসুন। আমি যতদিন জীবিত থাকবো, আর আমার বাড়ি-ঘর যা রয়েছে সেখানে আপনাদের যতদিন ইচ্ছা ততদিন তা’যীম-তাকরীমের সহিত, ইজ্জত-সম্মানের সহিত থাকবেন। এটা বলে সেই মজূসী উনাদেরকে নিয়ে গেল। নিয়ে গিয়ে সত্যিই সে  মজূসী উনাদেরকে থাকার জন্য ভালো ঘর দিল। উনাদেরকে সে কিছু কাপড়-চোপড় কিনে দিল, খাবারের সুবন্দবস্ত করে দিল সেই মজূসী। এরপর সে বলল, আপনাদের যা কিছু প্রয়োজন হবে আমাকে জানাবেন। আমি ইনশাআল্লাহ ব্যবস্থা করে দিব। এ দিকে তো উনারা এসে এখানে আশ্রয় নিলেন। ইত্মিনানের সাথে অবস্থান করতে লাগলেন। সেই রাত্রে ঐ কাজী ছাহেব সেতো একটা স্বপ্ন দেখতে লাগল। সে স্বপ্নে দেখতে লাগল জান্নাতের বালাখানা, বড় বালাখানা জান্নাতে তৈরী করা হচ্ছে এবং আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ,সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত রয়েছেন। সেটা দেখে সেই কাজী ছাহেব জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এগুলো কি তৈরী করা হচ্ছে? আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন, এগুলো বড় বড় বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। কাদের জন্য? মুসলমানদের জন্য। মুসলমানদের জন্য, ঈমানদারদের জন্য বড় বড় বালাখানা তৈরী করা হচ্ছে। তখন সেই কাজী ছাহেব বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে একটা বালাখানা দান করুন। আল্লাহ পাক-এর হাবীব জিজ্ঞেস করলেন যে, তুমি কে? সে কাজী ছাহেব বলল, আমি তো মুসলমান, ঈমানদার। কাজেই, আমাকে একটা বালাখানা দান করুন। আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন, তুমি যে মুসলমান হয়েছ তোমার কোন দলীল আছে কি? আল্লাহ পাক-এর হাবীব সরাসরি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি মুসলমান দাবি করতেছ তোমার কি দলীল রয়েছে? তখন সেই কাজী ছাহেব বলল, ইয়া রসূলাল্লাহ,্ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো মুসলমান। আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন, দলীল পেশ না করতে পারলে তুমিতো বালাখানা পাবে না। কারণ তোমার বাড়িতে তো আমার আওলাদ যারা তারা গিয়েছিল। তুমি তাঁদের কাছে দলীল তলব করেছ, নসবনামা তলব করেছিলে। তারাতো বলেছিলোই তাঁরা আমার আওলাদ। তারপরও তুমি দলীল তলব করে নসবনামা দেখাতে পারেনি সেজন্য তাদের কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করনি। কাজেই, তোমার যদি বালাখানা পেতে হয় তাহলে তুমি যে মুসলমান তার দলীল পেশ করতে হবে। একথা যখন আল্লাহ পাক-এর হাবীব বললেন শক্তভাবে; সেই কাজী ছাহেব ভয় পেয়ে তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম থেকে উঠে সে অনেক কান্নাকাটি করল, ইস্তিগ্ফার-তওবাহ করল। সে সংবাদ নিল সেই আওলাদে রসূল মহিলা এবং উনার আল-আওলাদ উনারা কোথায় উঠেছেন।

সংবাদ নিয়ে জানতে পারল, এক মজূসীর বাড়িতে উঠেছেন। সেই মজূসী সম্পদশালী ছিল, প্রভাবশালী ছিল। সংবাদ নিয়ে কাজী ছাহেব সেখানে আসল। এসে বলল, হে মজূসী ব্যক্তি! তুমি এক কাজ কর, উনাদেরকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও। উনাদের আমি সর্বপ্রকার খিদমত করব। আরো উপরন্তু তোমাকে আমি এক হাজার দিরহাম হাদিয়া দিব, দান করব। যখন কাজী ছাহেব এসব কথা বলতে লাগল তখন মজূসী ব্যক্তি বলল, হে কাজী ছাহেব আপনি কেন একথা বলতেছেন? তখন সে স্বপ্নের কথা বলল। এটা শুনে সেই মজূসী ব্যক্তি বলল, হে কাজী ছাহেব! যেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব আপনাকে বালাখানা দান করেননি সেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব আমাকে এবং আমার যারা আল-আওলাদ রয়েছে স্ত্রীসহ সকলকে মুসলমান করে ঐ বালাখানায় জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ।

আপনি কি চান, আমি মাত্র এক হাজার দিরহামের বিনিময়ে আমার সেই জান্নাত আপনার কাছে বিক্রি করে দেই। এটা কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। আমি যেহেতু আওলাদে রসূলকে তা’যীম করেছি, তাকরীম করেছি, সম্মান করেছি এবং আমি উনাদেরকে ওয়াদা দিয়েছি যে, আমি আজীবন উনাদের খিদমত করে যাব। এই ওসীলায় কি হল? আল্লাহ পাক-এর হাবীব কি করলেন? আল্লাহ পাক-এর হাবীব এসে আমাদেরকে তওবাহ পড়িয়েছেন, ঈমান দিয়েছেন এবং আমাদের সবাইকে জান্নাতের বালাখানায় প্রবেশ করিয়েছেন এবং বলেছেন, ঐ বালাখানাগুলো আল্লাহ পাক আমাদেরকে দান করেছেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব দান করেছেন। সুবহানাল্লাহ।

এখন ফিকির এবং চিন্তার বিষয় আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর আওলাদ যারা তাদেরকে তা’যীম-তাকরীম করার কারণে একজন মজূসী, অগ্নি উপাসক সে ঈমানদার হলো, সে জান্নাতী হয়ে গেল। সুবহানাল্লাহ।

এটা যদি হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ সোমবার দিনকে সম্মান করলে তা’যীম- তাকরীম করলে কতটুকু সম্মান পাওয়া যাবে?

আর এখন যদি এটা বলা হয় যে, মজূসী আওলাদে রসূলকে সম্মান করেছে, তাহলে কি মুসলমানরা আওলাদে রসূলকে সম্মান করবে না? তারা কি সম্মান করা ছেড়ে দিবে? তাহলে তারা ঈমান হারা হয়ে যাবে, কাফির হয়ে যাবে।

কাজেই দেখা যাচ্ছে, ইহুদী, নাছারা, মজূসী, কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন তারা রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম করে, আশুরাকে তা’যীম করে, আওলাদে রসূলকে তা’যীম করে, দান-খয়রাত করে ঈমানদার হয়ে তারা জান্নাতী হয়ে গেছেন। সুবহানাল্লাহ।

তাহলে মুসলমানরা কি সেই রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম করবে না, আশুরাকে করবে না, দান-খয়রাত করবে না, আওলাদে রসূলকে সম্মান করবে না? যদি না করে তাহলে সে ঈমানদার থাকতে পারবে না।

কাজেই, কেউ যদি বলে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফকে সম্মান করা, তা’যীম করা, খুশী প্রকাশ করা লাহাবী উৎসবের অন্তর্ভূক্ত তাহলে সে কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী হবে। তাকে ইস্তিগ্ফার তওবাহ করতে হবে। অন্যথায় জাহান্নাম ছাড়া তার কোন গতি থাকবে না। সে চির জাহান্নামী হবে, অনন্তকাল ধরে সে জাহান্নামে থাকবে। আবু লাহাবের সে সঙ্গী হয়ে যাবে।

কাজেই, এটা মনে রাখতে হবে কাফিরেরা কোন কাজ করলে মুসলমানেরা সেটা করতে পারবে না, তা নয়। আমরা করে থাকি আল্লাহ পাক-এর আদেশ নির্দেশ অনুযায়ী। এখন কোন কাফির করুক না করুক সেটা সম্পর্ক নয়। সেটাতে কোন সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক হচ্ছে কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াসে রয়েছে কিনা?  যদি থেকে থাকে তাহলে আমরা সেটা করব? সেটাতে ফযীলত রয়েছে।

এখন কেউ যদি সেটা ছেড়ে দেয় সে ঈমানদার থাকতে পারবে না। আর কাফিরেরা করেছে বলেই সেটা কুফরী হবে যদি কেউ বলে, সেও কাফির হয়ে যাবে।

কাজেই, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করতে আল্লাহ পাক বলেছেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেছেন। কাজেই, এটা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরযে আইন। সেটাই আল্লাহ পাক বলেছেন,

قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا

হে আমার হাবীব! আপনি বলে দিন, তোমরা যে আল্লাহ পাক-এর তরফ থেকে ইসলাম পেলে, আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে পেলে এজন্য তোমরা খুশি প্রকাশ কর।

এজন্য তোমরা খুশি প্রকাশ কর। আল্লাহ পাক সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন। কাজেই এটার জন্য খুশি প্রকাশ করা ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছে।

কাজেই, আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে হাক্বীক্বীভাবেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে অনন্তকাল ধরে খুশি প্রকাশ কারার তাওফিক দান করেন এবং সবাইকে যেন  দান করেন। আর যারা এর বিরুদ্ধবাদী রয়েছে, মুখালিফ যারা রয়েছে আল্লাহ পাক তাদের হিদায়েত দান করেন।

আর যদি তাদের হিদায়েত না থাকে, এদেরকে যেন আল্লাহ পাক নিস্তানাবুদ করে দেন। এরা যেন মুসলমানদের এই সমস্ত নেক কাজে বাধার কারণ হয়ে না দাঁড়াতে পারে। এদেরকে যেন আল্লাহ পাক নিস্তানাবুদ করে দেন। আমরা সেই দুয়া, সেই আরজু করবো। (অসমাপ্ত)

ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৫

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২৮)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২৭)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২৬)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৮