চর্মনাই পীরের মুখপত্রের কল্পিত রচনা; সিঁধ চোরের কাহিনীকেও যা হার মানায়

সংখ্যা: ১৭৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রায় দুই বছর আগে দেশের চর্মনাই পীর ফজলুল করীম মারা গেলে তার শরীরে এবং চেহারায় এমন মারাত্মক আকৃতি বিকৃতি ঘটে যার পূর্ব লক্ষণ মৃত্যুর কয়েক দিন পূর্বে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি ছবির মাধ্যমে জানা যায়। তাতে তার চেঁহারা সম্পুর্ণরূপে বিকৃত আকারে দেখা যায়। যার ফলে মৃত্যুর সাথে সাথে তড়িগড়ি করে তাকে প্যাকেটিং করে যত দ্রুত সম্ভব কবরস্থ করার ব্যবস্থা করে। অথচ সারাদেশে তার আন্ধা বক্তরা রটিয়ে দেয়, আহা! কি সুন্দর চেহারা! না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না! কত নূরানী চেহারা হয়েছিল আমাদের চর্মনাই পীর ছাহেবের (নাউযুবিল্লাহ্)।

হারাম নাজায়িয তন্ত্রমন্ত্রকারী, ভোট, নির্বাচনের লড়াইকারী, পত্র পত্রিকায় হরদম ছবি প্রকাশকারী মাথার পাগড়ি কোমরে বাধার দীক্ষা দানকারীকে তার আন্ধা অনুসারী চাটুকাররা এভাবেই মিথ্যা প্রচারনার আশ্রয় নেয়। এসময় তার এক খাছ আন্ধা অনুাসারীকে যখন বলা হল, তোমাদের চর্মনাই পীর যদি সত্যি ওলী আল্লাহ হয়, তবে চল আমরা তার কবর খুঁড়ে দেখি, তার শরীর অক্ষত আছে কি না?

যেহেতু ওলীআল্লাহদের শরীর কবরে থাকলেও কখনোই পঁচন ধরে না। এমন চ্যালেঞ্জ শুনে উক্ত আন্ধা ভক্ত গোমরফাঁস হবে ভেবে লা জাওয়াব হয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ বেগে চলে গেল, আজ পর্যন্ত কখনো ফের মুখোমুখি হবার সাহস করেনি।

অনুরূপভাবে গত জুন মাসের চর্মনাই পীরের অখ্যাত মুখপত্র ‘মাসিক কাবার পথে’ নামক পত্রিকা সেরা রচনা প্রতিযোগিতার নামে এক মহা মিথ্যা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছে।

‘বর্ষা রাতে অভিযান’ নামক রচনায় তারা যামানার মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর শানে কুটক্তি করে তাঁর মহান তাজদীদী কার্যক্রম দেয়াল লিখনী মুছে ফেলার এক কল্পিত মিথ্যা কাহিনী পত্রস্থ করেছে। তবে এটা অবশ্যই ঠিক তাজদীদী কার্যক্রম দেয়াল লিখনীর কারণে যখন চর্মনাই পীরসহ দেশের তাবত ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে‘ছূ’রা একের পর এক পথে, ঘাটে-প্রান্তরে, শহর, নগর, বন্দরে ধরাশায়-নাজেহাল হচ্ছিল তখন তাদের চেলারা রাতের আঁধারে চুপি চুপি দেয়ালে লিখিত কুরআন-সুন্নাহ’র মুবারক ফরমানগুলির উপর নগ্ন হামলা চালায়। এতে তারা তাদের ক্ষতবিক্ষত মনের আক্রোশ মিটাতে ব্যর্থ চেষ্টা করেছে। কারণ ফের ঈমানী জযবায় উদীপ্ত যামানার মহান মুজাদ্দিদ-এর তাজদীদী বাহিনী দেয়ালে পুনঃলিখন সম্পন্ন করেছে। তাদের মুখপত্রের উল্লেখিত রচনার মিথ্যা কাহিনী গ্রাম দেশের সিঁধ-চোরের কাহিনীকেও হার মানিয়েছে। কারণ কোথাও চুরি হলে সেটা কোথায় হল না হলো তার বিস্তারিত জানা যায়। কিন্তু আলোচ্য সাজানো মিথ্যা রচনায় কোথাকার কোন্ খারিজী মাদ্রাসার ছাত্ররা, কোন্ এলাকার কোন্ রাস্তায়, কোন বর্ষায়, দেয়াল মুছা অভিযানে বের হয়েছিল সেটার কিছুই উল্লেখ করতে পারেনি।

এছাড়া তাদের অভিযানকৃত দেয়াল লিখনীর জন্য কোন্ খারিজী মাদ্রাসার উস্তাদ, আর কোন্ মহল্লার খারিজী অধিবাসীরা বিচার সভার আয়োজন করেছিলো সেটাও উল্লেখ করতে পারেনি। এই রকম মিথ্যা সাজানো কল্পিত রচনায় শুধুমাত্র ‘রাজারবাগ’ শব্দটা উল্লেখ করার কারণে সেটাকে সেরা ৩ নম্বর রচনা হিসেবে নির্বাচিত করেছে; খারিজী চর্মনাই গংয়ের মুখপত্র।

অতএব, চর্মনাই মুখপত্র গংয়ের প্রতি চ্যালেঞ্জ রইল, তারা যদি উক্ত ৩ নম্বর রচনার সত্যতা প্রমাণে তাদের উল্লেখিত খারিজী মাদ্রাসা, মহল্লা কিংবা রাস্তা-দেয়ালের নাম ঠিকানা উল্লেখ করতে পারে; তবে উক্ত চর্মনাই গংকে সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত করা হবে। তাতে চর্মনাই পীরের মুখপত্রের সচ্ছতাও প্রকাশ পাবে। অন্যথায়, মিথ্যাবাদী, মুনাফিক, জালিয়াত চোরা হিসেবে তারা সাব্যস্ত হয়ে পথে ঘাটে লাঞ্ছিত হবে। কারণ, মিথ্যাবাদীদের উপর স্বয়ং আল্লাহ পাক লা’নত বর্ষন করেন।

সত্যিকারের ওলীআল্লাহ’র শানে বেয়াদবীমূলক কুটক্তি করলে আল্লাহ পাক স্বয়ং তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেন। আর যারা আল্লাহ পাক-এর লা’নতে পড়ে, যাদের সাথে আল্লাহ পাক যুদ্ধ ঘোষণা করেন তাদের পরিণাম আবু জেহেল, আবু লাহাব, নমরূদ, ফিরআউন এমনকি তাদের সদ্যমৃত চর্মনাই পীর ফজলুল করিমের মতই হবে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

-শেখ শামস্ আহমদ মুজাদ্দেদী, মালিবাগ, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।