‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

সংখ্যা: ১৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

{কারো উপর ভর করে পাপের প্রচলন করার, ইবলিস কাহিনী ইতিহাসে অনেক পুরানো। কাবিলের দ্বারা- হত্যা, আমর বিন লুহাইর দ্বারা- মুর্তি পূজা, হযরত লুত লাইহিস্ সালাম-এর ক্বওম দ্বারা সমকাম, জলীলুল ক্বদর রসূল হযরত ইবরাহীম আলাইহিস্ সালামকে আগুনে নিক্ষেপকারীদের সর্দারের দ্বারা ব্যভিচার ও টিপ প্রচলন- ইতিহাসে ইবলিসের এরকম বহু নজীর। আর সম্প্রতিক সময়ে এদেশে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ প্রর্বতনে ইবলিসের নতুন সংযোজন, ইবলিসের মুয়াজ্জিন শফিক রেহমান।

১৯৯৩ সালের সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে ছোট এক লেখার মাধ্যমে লোফাফার শফিক রেহমান যদি এদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে সংস্কৃতি চালুর জন্য অভিযুক্ত হয় তবে আজকের রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের উৎসবের জন্য ইসলামের দৃষ্টিতে অভিযুক্ত করতে হয় তথাকথিত ছায়ানটের অধ্যক্ষ সানজীদা খাতুন ও নাওয়াজেশ আহমেদকে। ১৯৬৭ সালে তারাই প্রথম আজকের রমনার অশ্বথ মূলে (প্রকৃতপক্ষে বটমূলে নয়) পহেলা বৈশাখের এ উৎসব চালু করে।

আজকের পহেলা বৈশাখের নামে জান্তব মুখোশ র‌্যালীর প্রচলন ঘটায় চারুকলার ছাত্ররা ১৯৮৯ সালে। আর পান্তা-ইলিশের প্রচলন ঘটায় বোরহান আহমেদ গং ১৯৮৪ সালে।

এসব তথ্যকণিকা থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট হয় যে, আজকে পহেলা বৈশাখের নামে যে মাতামাতি চলছে তা আসলে বাঙালী সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা নয়, বিকাশ তো মোটেও নয়। সুতরাং অতি উৎসাহী দু’একজনের আহ্বানে মাতোয়ারা হওয়া বাঙালী সংস্কৃতির অবগাহন প্রমাণ করে না। বরং চিলে কান নিয়েছে ঘোষণাকারীর পিছনে হুযূগে মাতা বাঙালীর হুযূগী মনোভাবটা প্রতিভাত হয়।

এক্ষেত্রে তাই চিলে কান নেয়নি এ ঘোষণাটাই হুযূগে মাতা বাঙালীর হুযূগ থেকে উত্তম। একইভাবে উৎকৃষ্ট কথিত পহেলা বৈশাখ ইসলামের দৃষ্টিতে মুসলমানের জন্য পালনীয় নয় এ আহ্বানও।

 এক সানজীদা খাতুন, বোরহান আহমেদ আর চারুকলার কিছু ছাত্ররা যদি পহেলা বৈশাখের নামে এমন উন্মাদানা তৈরী করতে পারে

তাহলে ইসলামের দৃষ্টিতে উলামায়ে হক্কানী রব্বানীর কি এই অধিকার নেই যে, বিভ্রান্ত, পথহারা মুসলমানদের ইসলামের পথে আহ্বান করা। শরীয়তের সীমারেখা বর্ণনা করা।

কারণ, পহেলা বৈশাখে মাতোয়ারা বিভ্রান্ত মুসলমান কখনো বলেনি যে, তারা ইসলাম ত্যাগ করেছে। বরং পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে গিয়েও তারা স্বীকার করে যে তারা মুসলমান। অথচ পহেলা বৈশাখের তথাকথিত আনন্দ যে মুসলমানিত্বের বাইরে এ অনুভবের ঘাটতি তাদের মাঝে বিরাজমান।

এ ঘাটতির পিছনে দায়ী তথাকথিত সংস্কৃতিবাদী এবং ধর্মব্যবসায়ী, জামাতী, খারিজী, রাজাকার আল বাদরদের কুপমু-তা ও আদর্শহীনতা তথা আমহলহীনতা। সব মিলিয়ে তৈরী হয়েছে এক মহা অবিমৃষ্যকারীতা ও ঢের অনৈসলামীপানা। এ গোলকধাধা হতে বেরিয়ে আসতে হবে মুসলমানকে তার নিজের তাগিদেই। নিজেদের কল্যাণেই। মহান আল্লাহ পাক সবাইকে তৌফিক নছীব করুন, কবুল করুন। (আমীন)}

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিলআলুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৪৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-১৮

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৪৯

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাউসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। দিনটি পালিত হচ্ছে বাঙালীর ঐতিহ্য ধরে রাখার চেতনা হিসেবে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি পরিচয়ের বাইরে আলাদাভাবে এ বাঙালী পরিচয়ের দাবী। কিন্তু পহেলা বৈশাখ উদযাপনকারীরা একদিকে যেমন জানেনা যে, বাংলা সনের ‘সন’ কথাটি আরবী। ‘পহেলা’ শব্দটি ফারসী। আর হালখাতা শব্দতো প্রকাশ্য মুসলমানী।