দৈনিক আল ইহসানে প্রকাশিত মন্তব্য প্রতিবেদন- মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা-‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করিলে জামাত শিবির ফুঁসিয়া উঠবে’- মইত্যা রাজাকারের গ্রেফতারের মধ্য দিয়া সেই জামাতী জুজুর ভয় সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রতিপন্ন হইয়াছে। ইহাই জনসমর্থনহীন জামাতের প্রকৃত বাস্তবতা। যুদ্ধাপরাধীর বিচার কেবল সময়ের দাবি নয় বরং সময়োত্তীর্ণ।

সংখ্যা: ১৭৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আপনার সরকার মিডিয়াকে পার্লামেন্ট ঘোষণা করিয়াছে। পার্লামেন্টের ক্ষমতা কত পাবলিক তাহার কিছুই বুঝে না। পার্লামেন্ট যে ছেলেকে মেয়ে আর মেয়েকে ছেলে বানানো ব্যতীত সবকিছুই করিতে পারে, পার্লামেন্টে যাহা বলা হয় তাহার সম্পর্কে যে মামলা করা যায় না এইসব গুরু গম্ভীর কথা সাধারণ পাবলিক কিছুই জানে না। আবার পাবলিকের নাম ভাঙ্গাইয়া যাহারা চলে তাহাদের ভিত্তি কতটুকু তাও সরকার মহোদয় অবগত বলিয়া প্রতিভাত হয় না। বিশেষতঃ ‘ইসলামী পাবলিক’ বলিয়া আলাদা একটা শ্রেণী রহিয়াছে। যাহার বরাতে তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিকদের যাবতীয় ফোঁসফাস। এই কথিত ইসলামী পাবলিকের সহিত তথাকথিত ইসলামী রাজনীতিকদের যে আসলেই কোন সম্পৃক্ততাই নেই সেই সম্পর্কে আপনার সরকারের নীতি-নির্ধারক মহল আসলেই অবগত নহেন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আপনার সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর একের পর এক দুর্নীতিবাজদের ধরিবার পর জনগণ শুধু আহ্লাদিতই নয় বরং বহু আশান্বিত হইয়াছিলো। তাহারা আপনার সরকারের উপর ভর করিয়া বড় স্বপ্ন দেখিয়াছিলো যে, গত ৩৭ বছরের দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক সরকার যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করিতে পারে নাই এইবার আপনার সরকার তাহা করিতে পারিবে এবং করিবে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

১৯৭১ এর ঘাতক, দালাল, রাজাকারদের কু-খাছলত কিন্তু আদৌ কমিয়া যায় নাই। বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমার ফায়দা লাভ করিলেও তাহারা কিন্তু উহাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা আদৌ পরিহার করে নাই।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট ছাপা হইয়াছে যে, ধৃত জঙ্গিদের প্রায় ৬০ ভাগই জামাত শিবিরের প্রডাক্ট। জামাত যে শুধু জামাত নামেই নয় বরং আরো বহু ছদ্মনামে কাজ চালাইতেছে এবং জঙ্গি তৎপরতা তাহাদের নেপথ্য সহযোগিতায় ও দিক-নির্দেশনায়ই চলিতেছে তাহা এখন ওপেন সিক্রেট।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

১৯৭১ এর খুনী, রাজাকার, সন্ত্রাসী জামাত স্বাধীনতা উত্তর এযাবতকাল যাহা করিয়া আসিতেছে তাহা হইলো তথ্য সন্ত্রাস। জামাত স্বাধীনতা উত্তর সব সরকারকেই এই বলিয়া চাপ দিয়া আসছে যে, তাহাদের পেছনে রহিয়াছে গোটা ইসলামী পাবলিক। সাথে রহিয়াছে তাহাদের হাত-পায়ের রগকাটা ক্যাডার বাহিনী। সুতরাং তাহাদের প্রতি কোন এ্যাকশনে গেলে ঐ ক্যাডার বাহিনীসহ গোটা ইসলামী পাবলিক সরকারকে অচল করিয়া দিবে।

সমালোচকরা বলে, এই ভয়েই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যে না গিয়া রাজাকারদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করিয়াছিলেন। এইদিকে বঙ্গবন্ধু তাহাদের বিচারে ক্ষ্যামা দিলেও ১৯৭১ এর রাজাকার তাহাদের এই তথ্য সন্ত্রাসে কখনও ক্ষ্যামা দেয়নি। বরং সব সময়ই এই তথ্যসন্ত্রাস ক্রমবৃদ্ধিহারে বাড়াইয়া ধর্মের নামে রাজনৈতিক ফায়দা লুটিয়াছে।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

আপনার সরকারের সংস্কার- ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ’, ‘সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন’ ইত্যকার মধুর শ্লোগানে উল্লসিত ও উৎসাহিত হইয়া যখন সেক্টরস্ কমান্ডার ফোরামসহ বিভিন্ন মহল জোরদারভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বুলন্দ আওয়াজ তুলিয়াছিলো তখন জামাতীদের সেই তথ্য সন্ত্রাসই আবার মাথাচাড়া দিয়া উঠিয়াছিলো- ‘জামাতীদের বিচার করিতে গেলে তাহাদের যে জনশক্তি ও ক্যাডার বাহিনী রহিয়াছে সরকার তাহার ঠ্যালা সামলাইতে পারিবে না।’

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

‘লাখে লাখে মরে সৈন্য কাতারে কাতার, শুমার করিয়া দেখি মাত্র চল্লিশ হাজার।’ পুঁথির এই উপমা আপনার জন্য পুরাতন। দেশবাসীর জন্য আরো পুরাতন। সুতরাং সেই উপমার বদলে একটা নতুন চমক দিয়াই আপনার দরবারে আরজ করিতে চাহি।

জামাতীরা উহাদের তথ্য সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে যেই হিংস্রনখর সিংহের ভয় দেখায় উহা যে আসলে কত অসহায় ইন্দুর তাহাদের মুখপত্রেই তাহা বর্ণিত হইয়াছে।

এইদিকে দৈনিক আমাদের সময়ে রিপোর্ট হইয়াছিলো যে, শিবির কর্মীরা মগবাজারের রেললাইন হইতে রাস্তায় বস্তায় পাথর ভরিয়া মইত্যা রাজাকারের বাড়ির আশেপাশের বাড়ির ছাদে জমা করিতেছে। জামাতের তথ্য সন্ত্রাসের স্বীকার অনেকেই ভাবিয়াছিলো মইত্যা রাজাকারকে গ্রেফতার করিয়া নিয়া যাইবার কালে জামাতের হাজার হাজার কর্মী পুলিশকে হেস্ত-ন্যাস্ত করিয়া পিছু হটাইয়া দিবে।

আসলে জামাতের হাজার হাজার নেতাকর্মী হাজির হইয়াছিলো ঠিকই কিন্তু উহাছিলো শুধু মইত্যা রাজাকারের পদলেহীদেরই ভিড়। উহার সাথে আসলে আম জনতার কোন সম্পর্ক ছিলো না। সম্পৃক্ততা ছিল না। টান ছিল না। যোগসাজস ছিল না। সুতরাং তাহা ছিলো ভিত্তিহীন। ফাঁপরযুক্ত। কাজেই যেই আম জনতা তথা ইসলামী পাবলিকের দোহাই দিয়া রাজাকার জামাতীরা এ যাবত তথ্যসন্ত্রাস চালাইয়া আসিতেছে সেইদিন উপস্থিত কার্যমুহূর্তে তাহাদের কথিত ইসলামী পাবলিকের কেশও তাহারা দেখাইতে পারে নাই। তাই জামাতী মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামে ছাপা হইয়াছে, “মাওলানা নিজামী গ্রেফতার। হাজার হাজার নেতাকর্মীর ভিড়। ৩ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে আধা ঘণ্টা। (১৯শে মে-২০০৮)

অযুত-নিযুত অনুরাগী ডুকরে কেদে উঠল মাওলানা নিজামী কারাগারে। (দৈনিক সংগ্রাম, ২০শে মে-২০০৮)

আরো রিপোর্ট করা হইয়াছে, “মাওলানা নিজামী গ্রেফতার, বৃষ্টি ও কান্নার পানি একাকার।” এতে বলা হয়, তারপর পুলিশ গাড়িতে করে মাওলানা নিজামীকে নিয়ে রওনা হয়। নেতাকর্মীরা তখন উচ্চস্বরে কাঁদতে থাকে এবং নারায়ে তাকবীর শ্লোগান দিয়ে পিকআপ ঘিরে রাখে। পুলিশ ধীরে ধীরে আগাতে থাকে। এভাবে নেতাকর্মীরা পিকআপ ভ্যানের সামনে বৃষ্টিতে ভিজে কাঁদতে কাঁদতে হাটতে থাকে। পুলিশ কোন অবস্থাতেই তাদের সরাতে পারছে না। এভাবে পুলিশ মাওলানা নিজামীকে নিয়ে ওয়ারলেস গেট হয়ে মৌচাক মোড় হয়ে মালিবাগ রেলগেট পার হওয়ার পর পুলিশ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে রাস্তা পরিষ্কার করে। তখন পুলিশ গাড়ীর গতি বাড়িয়ে তাকে নিয়ে ক্যান্টমেন্ট থানায় নিয়ে যায়ঃ। নেতাকর্মীরা তখন কাঁদতে কাঁদতে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় বসে পড়ে। অবশেষে তারা বৃষ্টিতে ভিজে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে যায়। কান্না ছাড়া তাদের আর কিছুই করার ছিলো না।”

 মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

স্বাধীনতা উত্তর জামাত শিবির তথ্য সন্ত্রাসের এইক্ষেত্রে সহজ সমীকরণ সমাধান প্রতিভাত হয়। মইত্যা রাজাকার গ্রেফতার হইবে এই ঘোষণা উহারা সপ্তাহখানেক আগ হইতেই মালুম করিতে পারিয়াছিলো। কিন্তু সারাদেশ হইতে মইত্যা রাজাকারের খাছ ভক্তের সংখ্যা দাঁড়াইল মাত্র কয়েক হাজার। এই খাছ ভক্তবৃন্দ ছাদে পাথরসহ আরো প্রস্তুতিও গ্রহণ করিয়াছিলো। কিন্তু মাত্র কয়েক প্লাটুন পুলিশ দেখিয়া উহাদের সব ক্যাডারিপনা ঠা-া হইয়া গেলো। অতঃপর যাহা হইলো উহারা কেবল চোখের পানি ফেলিতে লাগিলো। উহাদের চোখের পানি আর বৃষ্টির পানি একাকার হইতে থাকিলো। এবং উহারা অবশেষে স্বীকার করিতে বাধ্য হইলো যে, কান্না ছাড়া তাহাদের আর কিছুই করার ছিলো না। তাহা হইলে জামাতীদের বহুল প্রচারিত প্রতিক্রিয়ার প্রচারণাটা যে আসলে মিথ্যা ও ভুয়া ছাড়া আর কিছুই নহে তাহাই কিন্তু প্রমাণিত হয়।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

কান্না সত্যিই করুণার উদ্রেক করে। কিন্তু কান্নার সমুদ্র গর্জন করে। কান্নার সমুদ্রে তরঙ্গ উঠে। সে তরঙ্গ ফেনায়িত হয়। ঊর্মীতে পরিণত হয়। অবশেষে তা জলোচ্ছ্বাসে পরিণত হয়। সে জলোচ্ছাস সব তছনছ করিয়া দেয়।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

মইত্যা রাজাকারের কয়েক হাজার ভক্তবৃন্দের কান্নার পানি বৃষ্টির পানির সাথে একাকার হইয়া গিয়াছে। কিন্তু তথ্যমতে ১৯৭১ এর ৩০ লক্ষ শহীদ পরিবার আর ৪ লক্ষাধিক ধর্ষিতা মা-বোনের কান্না, চাপা কান্না তাদের বিচারহীনতার বাকরুদ্ধ কান্না, স্বাধীনতা উত্তর গত ৩৭ বছরে কান্নার মহাসমুদ্রে পরিণত হইয়াছে। কান্নার সে মহাসমুদ্র আজ গর্জন করিতেছে। সেখানে স্বজনহারা, ধর্ষিতার বেদনার ঊর্মী জাগিয়াছে। আশু জলোচ্ছ্বাসের ঘনঘটা বাজিতেছে। যে জলোচ্ছ্বাস উথাল-পাতাল করে দিবে গোটা দেশকে অচিরেই।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

দেশবাসী সবিনয়ে আপনাকে জানাইতে চায়, জামাতী ইসলামই শুধু নয় সব কথিত ইসলামিক দলের সাথে তাহাদের প্রচারিত ইসলামিক পাবলিক, আসলে তাহাদের সহিত নাই। আছে শুধু তাহাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতির কৌশলগত, ভুয়া ও মিথ্যা প্রচারণা।

অতএব মাননীয় উপদেষ্টা,

মইত্যা রাজাকারের গ্রেফতারের পর তিন সপ্তাহ

 যেমন নির্বিবাদে পার হইয়াছে তেমনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করিলে তিন সপ্তাহ, তিন মাস, তনি বছর, তিন যুগ নির্বিবাদে পার হইয়া যাইবে জামাতী যুদ্ধাপরাধী তাহাতে কিছুই করিতে পারিবে না।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

বহুল আলোচিত ও কাঙ্খিত এবং বাঞ্ছিত যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় নয়, দুর্নীতির মামলায় মইত্যা রাজাকাররের গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে দেশবাসী আশাহত হইলেও তাহারা এখনও আশান্বিত। তাহারা এই বলিয়া আশাবাদী যে, জামাতী রাজাকারদের ক্ষেত্রে গ্যাটকো মামলায় মইত্যা রাজাকারের গ্রেফতার আপনার সরকারের একটা টেস্ট কেস।

অতএব, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

এতক্ষণের নিবেদনের পর দেশবাসীর মানসিকতার প্রেক্ষিতে অকুতোভয় হইয়া আবারো সনির্বন্ধ অনুরোধ করিতেছি, অচিরেই যুদ্ধাপরাধের প্রেক্ষিতে জামাতী রাজাকারদের বিচার শুরু করেন। জামাতী রাজাকারদের কান্নার পানি ফেলানো ছাড়া উহাদের আর কোনো ফোঁসফাসই দেখিতে পাইবেন না। উহারা এতদিনে যে প্রতিক্রিয়ার প্রচারণা চালাইয়াছে তাহা উহাদের নিছক তথ্য সন্ত্রাস মাত্র। উহারা যাহার মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গিয়া খাইয়াছে, যাহার ঘাড়ে ভর করিয়া চলিয়াছে, যাহার আঁচলে ঠাঁই লইয়াছে তিনি এখন শ্রীঘরে। সেই লাল দালানে যাইবার ভয় এখন জামাতীদেরকেও জরাগ্রস্ত করিয়াছে। কারণ ঈমানী বল তাহারা একাত্তরেই বিসর্জন দিয়া হারাইয়া ফেলিয়াছে।

অতএব, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,

ধর্মের শত্রু, দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু, মুসলমানের শত্রু, ইসলামের শত্রু- এই জামাতী রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেরিতে হইলেও যদি আপনি শুরু করেন তবে প্রথম দিকের জনতার আশাবাদ আবার আপনার দিকে নিবদ্ধ হইবে। বলিতে গেলে, তাহা ইহলে মধ্য সময়ের দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতও জনগণ ভুলিয়া যাইবে। রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেই তাহারা সব দুরবস্থার সান্ত¡না ও সব অশান্তির উপশমকে শান্তির মলম বলিয়া গণ্য করিয়া প্রশান্তি লাভ করিবে।

দৈনিক আল ইহসান ০০-০৫-২০০৮ইং থেকে সংকলিত।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।