নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। উনাদের মুহব্বত মুবারক ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পূর্ণ হয় না

সংখ্যা: ২৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই মুহব্বতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক সংযুক্ত করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, সমস্ত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ সমস্ত কায়িনাতবাসী সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ হচ্ছেন-

لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

এ বিষয়ে সমস্ত উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন- ক্বিয়ামত পর্যন্ত কেউ যদি শুধু لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ বলে, তাহলেও সে ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ না বলবে। সুবহানাল্লাহ! আবার স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, আখাছ্ছুল খাছভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে উনার সাথে সংযুক্ত ও সম্পৃক্ত করে নিয়েছেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করে, নামায পড়ে, রোযা রাখে, হজ্জ করে, যাকাত দেয় এবং অন্যান্য সমস্ত ইবাদত-ইবন্দেগী করে; কিন্তু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি, আখাছ্ছুল খাছভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের প্রতি তার মুহব্বত না থাকে, বিদ্বেষ থাকে, তাহলে সে কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না। তার কালিমা, নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাতসহ কোনো ইবাদত-বন্দেগীই ক্ববূল হবে না। এ বিষয়টি স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ফায়ছালা মুবারক করে দিয়েছেন। যেমন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى بُـغْضِ اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ يَـوْمَ الْقِيَامَةِ مَكْـتُـوْبًا بَـيْـنَ عَيْـنَـيْهِ اٰيِسٌ مِّنْ رَّحْـمَةِ اللهِ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى بُـغْضِ اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ كَافِرًا اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى بُـغْضِ اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَـمْ يَشُمَّ رَائِحَةَ الْـجَنَّةِ

অর্থ: “(১) সাবধান! আর যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা অবস্থায় মারা যাবে, ক্বিয়ামতের দিন তার দুই চোখের মাঝখানে লিখা থাকবে যে, ‘সে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রহমত মুবারক থেকে বঞ্চিত।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! (২) সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা অবস্থায় মারা যাবে, সে কাফির অবস্থায় মারা যাবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! (৩) সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা অবস্থায় মারা যাবে, সে সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার ঘ্রাণ পর্যন্ত পাবে না।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (তাফসীরে কুরতুবী ১৬/২৩, তাফসীরে কবীর ২৭/৫৯৫, তাফসীরে রূহুল বয়ান ৮/২৩৯, তাখরীজে আহাদীছুল কাশ্শাফ ৩/২৩৮, নুযহাতুল মাজালিস ১/৩৬৫ ইত্যাদি)

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ اَنَّ رَجُلًا صَفَّ بَـيْـنَ الرُّكْنِ وَالْـمَقَامِ فَصَلّٰى وَصَامَ ثُـمَّ لَقِىَ اللهَ وَهُوَ مُبْغِضٌ لِّاَهْلِ بَـيْتِ سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ النَّارَ

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কোনো ব্যক্তি যদি সম্মানিত রুকনে ইয়ামেন এবং সম্মানিত মাক্বামে ইবরাহীম শরীফ উনাদের মধ্যবর্তী স্থানে সারিবদ্ধ হয়ে থাকে। অতঃপর নামায পড়ে এবং রোযা রাখে। কিন্তু এই অবস্থায় তার মৃত্যু হয় যে, সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তাহলে সে অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (যাখাইরুল ‘উক্ববা ১/১৮, খ¦ছাইছুল কুবরা ২/৪৬৫)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ سِبْطِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلرَّابِعِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامِ الثَّانِـىْ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُـبْغِضُنَا وَلَا يَـحْسُدُنَا اَحَدٌ اِلَّا ذِيْدَ عَنِ الْـحَوْضِ يَـوْمَ الْقِيَامَةِ بِسِيَاطٍ مِّنْ نَّارٍ

অর্থ: “সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যারা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে, উনাদের বিরোধিতা করবে, উনাদের সাথে হিংসা করবে, ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে আগুনের দোররা দ্বারা প্রহার করে সম্মানিত হাউযে কাওছার থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব ৩/৩৯, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ৯/১৭২, তাফসীরে দুররে মানছূর ১৩/৫১, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৮, আছ ছওয়ায়িকুল মুহরিক্বাহ্ ২/৫০৪ ইত্যাদি)

অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ خَطَـبَـنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهٗ وَهُوَ يَـقُوْلُ يَا اَيُّـهَا النَّاسُ مَنْ اَبْـغَضَنَا اَهْلَ الْبَـيْتِ حَشَرَهُ اللهُ يَـوْمَ الْقِيَامَةِ يَـهُوْدِيًّا فَـقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاِنْ صَامَ وَصَلّٰى قَالَ وَاِنْ صَامَ وَصَلّٰى وَزَعَمَ اَنَّهٗ مُسْلِمٌ

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের উদ্দেশ্যে খুতবা মুবারক দিলেন এবং ইরশাদ মুবারক করতে থাকলেন যে, ‘হে লোক সকল! আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি যারা বিদ্বেষ পোষণ করবে, উনাদের বিরোধিতা করবে, তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদী হিসেবে।’ আমি আরয করলাম- ‘ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি তারা রোযা রাখে এবং নামায পড়ে?’ উত্তরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, ‘হঁ্যা; যদিও তারা রোযা রাখে, নামায পড়ে এবং দাবি করে যে, তারা মুসলমান। (তা সত্ত্বেও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিরোধিতা করার কারণে, উনাদের শত্রু হওয়ার কারণে তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদী হিসেবে।’)” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব ৪/২১২, জামিউল আহাদীছ ১০/৪৭৫, জামউল জাওয়ামি’, মাজমাউয যাওয়াইদ ৯/৭১২, তারীখে জুরজান ৩৬৯ নং পৃষ্ঠা ইত্যাদি)

এরূপ আরো অনেক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ রয়েছেন এবং এই বিষয়ে বাস্তবে অসংখ্য ঘটনা মুবারকও রয়েছেন।

এ সকল দলীল-আদিল্লাহসমূহ থেকে এই বিষয়টিই দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুহব্বত মুবারক ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পূর্ণ হয় না। উনাদেরকে যারা মুহব্বত মুবারক করবে না, বিদ্বেষ পোষণ করবে, তারা কাফির হবে। তাদের নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, জিহাদসহ ফরয-নফল কোনো ইবাদতই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ববূল হবে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! মৃত্যুর সময় তারা কাফির অবস্থায় মারা যাবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার ঘ্রাণ পর্যন্ত পাবে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদী হিসেবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন তাদের দুই চোখের মাঝখানে লিখা থাকবে যে, ‘সে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রহমত মুবারক থেকে বঞ্চিত।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদেরকে আগুনের দোররা দ্বারা প্রহার করে সম্মানিত হাউযে কাওছার থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

যদি তাই হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা তো হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মূল এবং প্রথম স্তর মুবারক-এ। তাহলে উনাদের বিষয়টা কী? মূলত উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। উনাদের মুহব্বত মুবারক ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পূর্ণ হয় না। উনাদেরকে যারা মুহব্বত মুবারক করবে না, বিদ্বেষ পোষণ করবে, তারা কাফির হবে। তাদের নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, জিহাদসহ ফরয-নফল কোনো ইবাদতই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ক্ববূল হবে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! মৃত্যুর সময় তারা কাফির হিসেবে মারা যাবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার ঘ্রাণ পর্যন্ত পাবে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদের হাশর-নশর হবে ইহুদী অবস্থায়। না‘ঊযুবিল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন তাদের দুই চোখের মাঝখানে লিখা থাকবে যে, ‘সে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রহমত মুবারক থেকে বঞ্চিত।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! তাদেরকে আগুনের দোররা দ্বারা প্রহার করে সম্মানিত হাউযে কাওছার থেকে তাড়িয়ে দেয়া হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান মুবারক হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী-রসূল হিসেবে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সমস্ত সৃষ্টির হক

মওযূ ও ছহীহ হাদীছ শরীফ নির্ণয়ের প্রকৃত মানদণ্ড

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরয

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক