বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

সংখ্যা: ১৭৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বাহ ইহুদী—নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করণে ইহুদী—নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো—
১. শিয়া, ২. কাদিয়ানী, ৩. ওহাবী।

ওহাবী ফিরক্বা

বর্তমানে ইসলামের ছূরতে মুসলমানের ঈমান—আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যে দলটি, সেটি হচ্ছে— ‘ওহাবী ফিরক্বাহ’। অর্থাৎ, মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীরা। আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া মুতাবিক ওহাবীরা বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত। কারণ তাদের আক্বীদা ও আমল আহলে সুন্নত ওযাল জামায়াতের খিলাফ।
নিম্নে ওহাবী ফিরক্বার জনক ইবনে ওহাব নজদীর পরিচয় ও তাদের কুফরী আক্বীদাসমূহ তুলে ধরা হলো—

মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর
সংক্ষিপ্ত পরিচয় ও তার আক্বীদা

মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর পরিচয় সম্পর্কে ফতওয়ায়ে ‘শামী, ইশয়াতে হক্ব, ওহাবীদের ইতিহাস, ওহাবীদের উৎপত্তি, সাইফুল মাযহাব, মাযহাব কি? ও কেন, সাইফুল জাব্বার”, ইত্যাদি কিতাবে মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর পরিচয় এইভাবে বর্ণিত আছে, মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী ১১১১ হিজরী মুতাবিক ইংরেজী ১৭০৩ ঈসায়ী সালে আরবের নজদ প্রদেশে জন্মগ্রহন করে। তার পিতার নাম আব্দুল ওহহাব। তার বড় ভাই এর নাম সুলায়মান। পিতা ও ভ্রাতা দুজনই তৎকালে দেশে হক্কানী বিজ্ঞ আলিম নামে খ্যাত ছিলেন। কিন্তু আব্দুল ওহাবের কণিষ্ঠ পুত্র “মুহম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব” অত্যন্ত উদাসীন ও গোঁড়ামী চরিত্রের অধিকারী ছিল। তাই সে তার পিতা ও ভ্রাতার মতের বিপরীত চলতো এবং প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধাচরণ করতো এবং মনগড়া নতুন মত প্রচার করে ফিৎনা পয়দা করতো। তার ভ্রান্ত আক্বীদাগুলোর সাথে সেই যামানার হক্কানী—রব্বানী আলিমগণ একমত হতে পারেননি। ফলে সে বহু আলিম, ছূফী, দরবেশ, মুক্তাক্বীদের উপর স্টীম রোলারের ন্যায় অত্যাচার চালায় এবং তাঁদের অনেককে সে শহীদ করে ফেলে।

ছহীহ হাদীছ শরীফে
নজদীর পরিচয়

কা’বা শরীফ—এর পূর্ব দিকের একটি মরুময় ঘৃণিত অঞ্চলকে ‘নজদ’ বলে। এ অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসীরা আল্লাহ পাক—এর গযবপ্রাপ্ত এবং আল্লাহ পাক—এর হাবীব নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর অভিশপ্ত। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নজদকে আরবের অন্যান্য দেশ হতে পৃথক করে ঘৃণিত অঞ্চল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। যেমন তিনি খানায়ে কা’বার সঙ্গে সম্পর্ক করে বলেন, রোকনে ইয়ামনী, রোকনে শামী ও রোকনে ইরাকী। কিন্তু এখানে রোকনে নজদী বলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কা’বা শরীফ—এর দিক চিহিত করেননি। কারণ নজদীরা প্রকৃত ‘কাবা’ শরীফ পন্থী ছিল না।
আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর ইসলাম প্রচার কালে কা’বা শরীফ—এর চতুর্দিকের কাফিররা ইসলামী আদর্শে মুগ্ধ হয়ে দ্বীন ইসলামে দীক্ষিত হন। আর মক্কা শরীফ হতে দূর দূরান্তে অবস্থানরত অধিবাসীরা আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর চরিত্র মুবারক ও আদর্শ মুবারকে মুগ্ধ হয়ে কালাম পাক—এর মহাবানীতে উদ্ধুদ্ধ হয়ে তারা ‘ওফদ’ নাম ধারন করত মক্কা শরীফ অভিমুখে রওয়ানা হন।

সে সময় তাঁদের কারো কারো মুখে উচ্চারিত হচ্ছিল “ইয়া নবী আল্লাহ” আর কারো মুখে উচ্চারিত হতো আযানের বাক্যাবলীর আল্লাহু আকবার। তাঁরা দূরদূরান্ত হতে কা’বা শরীফ—এর আঙ্গিনাতে উপস্থিত হয়ে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর হাত মুবারকে বাইয়াত গ্রহন করত দ্বীন ইসলাম গ্রহন করে ধন্য হয়েছেন। এমনকি “ নসীবাইনের” জিন জাতি পর্যন্ত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর হাত মুবারকে বাইয়াত গ্রহন করেন। কিন্তু কম বখ্ত কোন নজদী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম—এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে ইসলাম গ্রহন করেনি। বরং নজদীরা ঈমান লাভের পরিবর্তে ঈমানদারগণকে নির্মমভাবে শহীদ করতো। এ কথার জ্বলন্ত প্রমান নজদের বীরে মাউনাতে ৭০ জন ঈমানদার মুবাল্লিগ হাফিয়ে কুরআন ছাহাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমকে শহীদ করা ও ‘রজি’ এর ঘটনাতে হযরত খুবাইব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে শুলিতে ঝুলিয়ে শহীদ করা। এ দুটি ঘটনার বিস্তারিত আলোচনা বুখারী শরীফ—এর মধ্যে বর্ণিত আছে। (চলবে)

মুহম্মদ আবুল হাছান, বাসাবো, ঢাকা

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।

আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মাথা মুবারক বেয়ে রক্তের প্রবাহ এবং পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীর আনন্দে গদগদ হবার ঘটনা প্রসঙ্গ