ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৫০

সংখ্যা: ১৭৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

[শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খ্রিস্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খ্রিস্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খ্রিস্টীয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপার। মিসর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। “Confession of British Spy and British enmity against Islam” গ্রন্থ হচ্ছে হেমপারের স্বীকারোক্তিমূলক রচনা। যা মূল গ্রন্থ থেকে ধারাবাহিকভাবে তার অনুবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ।

ওহাবী মতবাদের নীল নকশা

(ধারাবাহিক)

সবকিছুই ভালভাবে চলতে থাকে। প্রতিদিন আমাদের অবস্থান দৃঢ় হতে থাকে। কোন বিপর্যয় না ঘটলে আমরা আমাদের রচিত পথেই সাফল্যে পৌছবো। কেননা আমরা জানি আমাদের যা প্রয়োজন সেভাবেই বীজ বপন করেছি।
সতর্কতাঃ এই বইটি যিনি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, তিনি উপলব্ধি করতে পারবেন বৃটিশরাই ইসলামের চরম শত্রু এবং ভালভাবে জানতে পারবেন যে ওহাবী ফিরক্বা সারা দুনিয়াব্যাপি সুন্নী মুসলমানদের উপর আক্রমণ চালিয়ে আসছে। ওহাবীরা বৃটিশদের দ্বারা সৃষ্ট এবং ক্রমাগত বৃটিশদের সমর্থন পেয়ে আসছে। এই বইটি প্রমাণ করে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার মানসেই বৃটিশরা ওহাবীদের সৃষ্টি করে। আমরা জানি খারিজী ওহাবীরা প্রতি দেশেই ওহাবী মতবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। কেউ কেউ বলে হেমপারের জবানবন্দী কারো লিখিত কাল্পনিক গল্পমাত্র। কিন্তু তারা এ দাবীর সমর্থনে কোন প্রমাণ পেশ করতে পারেনি। যারা ওহাবীদের রচিত বই পড়বে তারা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারবে যে, এই জবানবন্দী কত সত্য। ওহাবীরা ইসলাম ধ্বংসের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু তারা যতই চেষ্টা করুক আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সত্যিকার মুসলমানদের কখনো নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। বরং তারাই নিশ্চিহ্ন হবে। কারণ আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ—এর সূরা ইসরার—এর ৮১নং আয়াত শরীফে সুসংবাদ দিয়েছেন “বলুন, সত্য এসেছে আর মিথ্যা ধ্বংস হয়েছে। নিশ্চয়ই মিথ্যা ধ্বংস হওয়ারই যোগ্য।”
হেমপারের জবানবন্দী থেকে ভাষান্তর এ সংখ্যাতেই শেষ।
(বিঃ দ্রঃ-পরবতীর্ সংখ্যা থেকে ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকার দ্বিতীয় খণ্ড থেকে ভাষান্তর প্রকাশিত হতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।)

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫১

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

অবশেষে জামাতীরা স্বীকার করিল যে, মুক্তি পাইতে চাহিলে মুরীদ হইতে হয়। আল্লাহ পাক-এর ওলী বা দরবেশ হইতে পারিলে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু জামাতীরা তাহা নয় বলিয়াই আখিরাত তো দূরের কথা দুনিয়াতেই তাহারা দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার। আর মইত্যা রাজাকারের ফতওয়া অনুযায়ী তো- তাহাকেই কতল করা ওয়াজিব।

আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মাথা মুবারক বেয়ে রক্তের প্রবাহ এবং পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রীর আনন্দে গদগদ হবার ঘটনা প্রসঙ্গ