মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী-রসূল হিসেবে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন

সংখ্যা: ২৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاِذْ اَخَذَ اللهُ مِيْـثَاقَ النَّبِـيّٖـنَ لَمَاۤ اٰتَـيْـتُكُمْ مِّنْ كِتٰبٍ وَّحِكْمَةٍ ثُـمَّ جَآءَكُمْ رَسُوْلٌ مُّصَدِّقٌ  لِّـمَا مَعَكُمْ لَـتُـؤْمِنُنَّ بِهٖ وَلَتَـنْصُرُنَّهٗ قَالَ ءَاَقْـرَرْتُـمْ وَاَخَذْتُـمْ عَلـٰى ذٰلِكُمْ اِصْرِىْ قَالُوْاۤ اَقْـرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوْا وَاَنَا مَعَكُمْ مِّنَ الشّٰهِدِيْنَ. فَمَنْ تَـوَلّٰـى بَـعْدَ ذٰلِكَ فَاُولٰٓـئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ

অর্থ: “আর যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াদা মুবারক গ্রহণ করলেন যে, আপনাদেরকে সম্মানিত কিতাব মুবারক এবং হিকমত মুবারক দেয়া হবে। অতঃপর আপনাদের নিকট আমার পক্ষ থেকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করবেন। তিনি আপনাদেরকে এবং আপনাদের কাছে যা কিছু রয়েছেন সমস্ত কিছুর তাছদীক্ব বা সত্যায়ন করবেন। আপনারা অবশ্যই অবশ্যই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনবেন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আপনারা কি তা স্বীকার করে নিলেন এবং এই বিষয়ে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াদা মুবারক গ্রহণ করলেন অথার্ৎ আমার শর্ত মুবারক মেনে নিলেন? উনারা বললেন, আমরা স্বীকার করে নিলাম, মেনে নিলাম, গ্রহণ করলাম। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, তাহলে আপনারা সকলে সাক্ষী থাকুন এবং আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী রইলাম। সুবহানাল্লাহ! এরপর যারা এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াদা মুবারক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াদা মুবারক উনার খিলাফ করবে, তারাই হচ্ছে ফাসিক্ব অর্থাৎ চরম নাফরমান, কাট্টা কাফির।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮১-৮২)

এখানে মহান আল্লহ পাক তিনি বলেছেন, ‘তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে ওয়াদা মুবারক নিয়েছেন।’ কখন ওয়াদা মুবারক নিয়েছেন? রোজে আজলে।

তাহলে এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারাই প্রমাণিত যে, মহান আল্লহ পাক তিনি হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নবী ও রসূল হিসেবেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। কেননা এখানে বলা হয়েছে যে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার ওয়াদা মুবারক নিয়েছেন।’ সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهٗ قَالَ رَبِّ هَبْ لِـىْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّـبَةً اِنَّكَ سَـمِيْعُ الدُّعَاءِ. فَـنَادَتْهُ الْمَلٰٓئِكَةُ وَهُوَ قَائِمٌ يُّصَلِّىْ فِـى الْمِحْرَابِ اَنَّ اللهَ يُـبَشِّرُكَ بِيَحْيٰـى مُصَدِّقًا بِۢكَلِمَةٍ مِّنَ اللهِ وَسَيِّدًا وَّحَصُوْرًا وَّنَبِيًّا مِّنَ الصَّالِـحِيْـنَ

অর্থ: “সেখানেই (মেহরাবে) হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম তিনি উনার রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করলেন। তিনি বললেন, “আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনার তরফ থেকে আমাকে পবিত্রতম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি দোয়া শ্রবণকারী। অতঃপর (হযরত যাকারিয়া আলাইহিস সালাম) তিনি মেহরাবে নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় উনাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিস সালাম উনারা নেদা করলেন (ডেকে বললেন) যে, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম উনার সুসংবাদ দিচ্ছেন, যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কালিমা উনার সত্যায়নকারী, সাইয়্যিদ, দুনিয়া-বিরাগ এবং ছলিহীন নবী’।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৮-৩৯)

অতএব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে নবী ও রসূল হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। তবে উনাদের দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বয়স মুবারক অনুযায়ী কারো ৪০ বছর বয়স মুবারক-এ, কারো ৫০ বছর বয়স মুবারক-এ, কারো ৬০ বছর বয়স মুবারক-এ, কারো ৩০ বছর বয়স মুবারক-এ অর্থাৎ একেক জনের একেক সময় আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশ পেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টা আরো আখাছ্ছুল খাছ বিষয়। সুবহানাল্লাহ! খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী-রসূল হিসেবে তো অবশ্যই; শুধু তাই নয়, উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, হাবীব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَبِىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنْتُ اَوَّلَ النَّبِـيِّـيْـنَ فِـى الْـخَلْقِ وَاٰخِرَهُمْ فِـى الْبَعْثِ

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আমি সর্বপ্রথম নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসাবে সৃষ্টি মুবারক হয়েছি। কিন্তু আমি প্রেরিত হয়েছি অর্থাৎ দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিয়েছি সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শেষে।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম, তাফসীরে বাগবী, দূররে মানছুর, কানযুল উম্মাল, খাছাইছুল কুবরা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَتٰـى وَجَبَتْ لَكَ النُّـبُـوَّةُ قَالَ وَحَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَـيْـنَ الرُّوْحِ وَالْـجَسَدِ

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে কখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুুওয়াত-রিসালাত মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে অর্থাৎ আপনি কখন থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- আবুল বাশার হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি রূহ এবং জিসিম মুবারক-এ থাকা অবস্থায়ও আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

অন্য বর্ণনায় এসেছেন,

عَنْ حَضْرَتْ مَيْسَرَةَ الْفَجْرِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَاَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَتٰـى كُنْتَ نَبِيًّا قَالَ كُنْتُ نَبِيًّا وَحَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَـيْـنَ الرُّوْحِ وَالْـجَسَدِ

অর্থ: “হযরত মাইসারাতুল ফাজর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কখন নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হয়েছেন অর্থাৎ আপনি কখন থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত আবুল বাশার ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি রূহ এবং জিসিম মুবারক-এ থাকা অবস্থায়ও আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলাম।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ ২৭/১৭৬, শরহু মুশকিলিল আছার ১৫/২৩১, আশ শারী‘আহ্ লিল আজুরী ৩/১৪০৭ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ نَـقْشُ خَاتَـمِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوٗدَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত সুলাইমান ইবনে দাঊদ আলাইহিমাস সালাম উনার সম্মানিত আংটি মুবারক-এ নক্বশা করে লিখা ছিলেন-

 لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’।” সুবহানাল্লাহ! (ফাওয়াইদ, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ ১/৩২০, তাফসীরে কুরতুবী ১৫/২০০, খছায়িছুল কুবরা ১/১২, ‘উয়ূনুল আছার ১/৯৫)

এই সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি যখন হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম উনার নিকট চিঠি পাঠালেন সম্মানিত ঈমান গ্রহণ করার জন্য, তখন হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি উনার ১২ হাজার সেনাপতি এবং প্রত্যেক সেনাপতির অধীন ১ লাখ সৈন্য-সামন্তসহ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে সম্মানিত ঈমান গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাদের দুজনের মধ্যে বিশেষ কথোপকথন মুবারক হয়। এক পর্যায়ে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বলেন,

وَيْـحَكِ يَا حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ اَفْـنَـيْتِ شَبَابَكِ فِـىْ عِبَادَةِ الشَّمْسِ مِنْ دُوْنِ اللهِ قَالَتْ يَا نَبِـىَّ اللهِ دَعْ مَا مَضٰى فَالْاٰنَ قَدْ دَخَلْتُ فِـىْ دِيْـنِكَ وَقُـلْتُ بِـمَقَالَتِكَ وَشَهِدْتُّ بِشَهَادَتِكَ غَيْـرَ اَنِّـىْ اَرٰى خَاتِـمَكَ مَنْـقُوْشًا بِلَا حَفْرٍ وَلَا كِتَابَةٍ فَمَا الَّذِىْ عَلٰى خَاتِـمِكَ قَالَ حَضْرَتْ سُلَيْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ مَنْ سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَضْرَتْ سُلَيْمَانُ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَكُوْنُ فِـىْ اٰخِرِ الزَّمَانِ قَالَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ فَلِمَ صَارَ اِسْـمُهٗ عَلٰى خَاتِـمِكَ دُوْنَ اِسْـمِكَ فَـقَالَ لِاَنَّهٗ اَكْرَمُ عَلَى اللهِ مِنِّـىْ وَلَنْ يَّــنْـفَعَكِ الْاِيْـمَانُ وَلَنْ يَّـقْبَلَ اللهُ مِنْكِ صَرْفًا وَّلَا عَدْلًا حَتّٰـى تُـؤْمِنِـىْ بِسَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاٰمَنَتْ حَضْرَتْ بِلْقِيْسُ عَلَيْـهَا السَّلَامُ وَمَنْ مَّعَهَا بِنَبِيِّنَا سَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ قَـبْلِ اَنْ يُّـوْلَدَ بِدَهْرٍ طَوِيْلٍ

অর্থ: “হে হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম! আপনার জন্য আফসোস! আপনি আপনার যৌবনকালটা (জীবনের মূল সময়টা) মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগী না করে সূর্যের উপাসনা করে কাটিয়েছেন।’ হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘হে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নবী-রসূল আলাইহিস সালাম! যেটা অতীত হয়ে গেছে, সেটার জন্য আমি লজ্জিত এবং তাওবা-ইস্তিগফার করছি। এখন তো আমি আপনার সম্মানিত দ্বীন গ্রহণ করেছি, আপনার নছীহত মুবারক অনুযায়ী কথা বলছি এবং আপনার সাক্ষ্য অনুযায়ী সাক্ষ্য দিয়েছি অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান এনেছি। তবে আমি আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে অত্যন্ত সুন্দর নক্বশাকৃত একটি বিষয় দেখতে পাচ্ছি- যা খোদাই করাও নয়, লিখিতও নয়। আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে যেই নক্বশা মুবারক, এটা মূলত কী? হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, (এটা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ-)

لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার সম্মানিত নক্বশা মুবারক। হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘সাইয়্যিদুনা মাওলানা মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কে?’ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘তিনি আখিরী যামানায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিবেন।’ হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, ‘তাহলে আপনার সম্মানিত আংটি মুবারক উনার মধ্যে আপনার সম্মানিত নাম মুবারক না হয়ে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় নাম মুবারক হলেন কেন?’ তখন হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ‘কারণ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমার চেয়ে অনেক সম্মানিত। আর ঈমান আপনাকে কস্মিনকালেও ফায়দা দিবে না এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফলসহ যত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী রয়েছেন, সমস্ত প্রকার ইবাদত-বন্দেগী এবং তাওবা-ইস্তিগফার কোনো কিছুই কস্মিনকালেও ক্ববূল করবেন না; যতক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি আপনি সম্মানিত ঈমান না আনবেন।’ অতঃপর হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার সাথে যাঁরা ছিলেন সকলেই আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক) প্রকাশের অনেক পূর্বেই উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনেন।” সুবহানাল্লাহ! (দারজুদ দুরার ফী তাফসীরিল আয়ি ওয়াস সুওয়ার ৩/১৩৪০-১৩৪১)

বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,

وَوُجِدَ عَلـٰى حَجَرٍ بِالْـخَطِّ الْعِبْـرَانِـىِّ بِاسْـمِكَ اللّٰهُمَّ جَاءَ الْـحَقُّ مِنْ رَّبِّكَ بِلِسَانٍ عَرَبِـىٍّ مُّبِيْـنٍ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَـبَهٗ حَضْرَتْ مُوْسَى بْنُ عِمْرَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ

অর্থ: “একটি পাথরের উপর ইবরানী ভাষায় হস্তাক্ষরে এরূপ লেখা পাওয়া গেছে- ‘আয় মহান আল্লাহ পাক! আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক-এ শুরু করছি। সত্য এসেছেন আপনার রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট আরবী ভাষাসহ-

لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’ সুবহানাল্লাহ! (তারপর হস্তাক্ষরে আরো লিখা রয়েছেন,) এটা লিখেছেন হযরত মূসা ইবনে ইমরান আলাইহিস সালাম তিনি।” সুবহানাল্লাহ! (শরহুল বুখারী শরীফ ২/১১৮, আত তারীখুল কাবীর লিল বুখারী ১/৪৪৫, দালাইলুন নুবুওওয়াহ্ ২/৬২, খছাইছুল কুবরা ১/৬২-৬৩, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/১০৩, ফাইযুল ক্বদীর শরহুল জামিয়িছ ছগীর ১/২৩১, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্ শরীফ ১/৩২০, আল মাওয়াহিবুল লাদুননিয়্যাহ্ ১/৪৫৩ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَوْحَى اللهُ اِلـٰى حَضْرَتْ عِيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا حَضْرَتْ عِيْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ اٰمِنْ بِسَيِّدِنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاْمُرْ مَنْ اَدْرَكَهٗ مِنْ اُمَّتِكَ اَنْ يُّـؤْمِنُـوْا بِهٖ فَـلَوْلَا سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَقْتُ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَوْلَا سَيِّدُنَا مَوْلَانَا مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا خَلَقْتُ الْـجَنَّةَ وَلَا النَّارَ وَلَقَدْ خَلَقْتُ الْعَرْشَ عَلَى الْمَاءِ فَاضْطَرَبَ فَكَتَـبْتُ عَلَيْهِ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَكَنَ

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উপর সম্মানিত ওহী মুবারক করেন, হে হযরত রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম! আপনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনুন এবং আপনার উম্মতদেরকে আদেশ মুবারক করুন যে, আপনার উম্মতদের মধ্য থেকে যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাবে, তারা যেন উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক আনে। সুবহানাল্লাহ! কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে, আমি আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করতাম না। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করলে, আমি সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টি করতাম না এবং জাহান্নামও সৃষ্টি করতাম না। সুবহানাল্লাহ! আর আমি যখন পানির উপর সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক সৃষ্টি করলাম, তখন সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক কাঁপতে থাকলেন। ফলে আমি সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক উনার উপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ-

لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ লিখে দিলাম। তখন সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক স্থির হয়ে গেলেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুস্তাদরকে হাকিম ২/৬৭১, আস সাইফুল মাসলূল ‘আলা মান সাব্বার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৪৮১ নং পৃষ্ঠা)

আল্লামা হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘শরহুশ শিফা’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন,

(قَالَ رَاَيْتُ فِـىْ كُلِّ مَوْضِعٍ مِّنَ الْـجَنَّةِ) اَىْ مِنْ شَرَفِ قُصُوْرِهَا وَصُدُوْرِ حُوْرِهَا وَاَطْرَافِ اَنْـهَارِهَا وَاِتْـحَافِ اَشْجَارِهَا (مَكْتُـوْبًا لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ)

অর্থ: “আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার প্রতিটি জায়গায় অর্থাৎ সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সমস্ত বালাখানা উনাদের বিশেষ বিশেষ স্থানে অর্থাৎ বালাখানার উপরে, সমস্ত সম্মানিতা হূর উনাদের বক্ষে বক্ষে, সমস্ত সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার নহরসমূহ উনাদের কিনারে কিনারে এবং সমস্ত গাছের ফলে ফলে দেখি লিখিত রয়েছেন-

 لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’।” সুবহানাল্লাহ! (শরহুশ শিফা লিল ক্বারী ১/৩৮১)

কাজেই উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪০ বছর বয়স মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হয়েছেন, এর আগে তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন না, এই কথা বলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের খিলাফ হওয়ার কারণে কথিত ব্যক্তি ও সম্প্রদায় হারাম ও নাজায়েয কাজ করেছে। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ অমান্য করেছে। যার কারণে উক্ত ব্যক্তি ও সম্প্রদায় কাট্টা কাফের হয়েছে। তওবা না করলে চীর জাহান্নামী হবে। কেননা তাদের উক্ত ব্যক্তব্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের সম্পূর্ণ খিলাফ। বরং এই কথা বলতে হবে যে, তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নবী-রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবেই সৃষ্টি মুবারক হয়েছেন। মূলত খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তবে দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪০ বছর বয়স মুবারক-এ উনার আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াতী এবং রিসালতী শান মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটেছেন। সুবহানাল্লাহ! এই কথা বলাও সুস্পষ্ট কুফরী যে, তিনি কিছু জানতেন না, পরে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে সম্মানিত ইলিম মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সমস্ত প্রকার সম্মানিত ইলিম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক করে উনার সেই সম্মানিত ইলিম মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ মুবারক ঘটিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে সমস্ত কায়িনাতবাসী সবাইকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত বুলন্দী শান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। উনাদের মুহব্বত মুবারক ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পূর্ণ হয় না

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সমস্ত সৃষ্টির হক

মওযূ ও ছহীহ হাদীছ শরীফ নির্ণয়ের প্রকৃত মানদণ্ড

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরয

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক