মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ ও মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৭৭

সংখ্যা: ২৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৩তম ফতওয়া হিসেবে

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”- পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত হানাফী মাযহাব

উনার বৈশিষ্ট্যসমূহ

(গত সংখ্যার পর)

“সম্মানিত হানাফী মাযহাবে শ্রেষ্ঠ, নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল দলীলসমূহকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে”

স্পষ্টভাবে প্রমাণিত যে, সম্মানিত হানাফী মাযহাব শ্রেষ্ঠ ও নির্ভুল দলীল-প্রমাণেরই একটি অনন্য সম্ভার। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উক্তির মোকাবেলায় এতে ক্বিয়াস ও রায়ের কোনো স্থান নেই। সুস্পষ্ট ও আমলযোগ্য ছহীহ হাদীছ শরীফের বর্তমানে দুর্বল হাদীছ শরীফেরও প্রাধান্য নেই। নেই পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মোকাবেলায় অন্য কোনো দলীলের। সুবহানাল্লাহ!

মোটকথা অপেক্ষাকৃত শ্রেষ্ঠ ও নির্ভুল দলীল-প্রমাণের প্রাধান্য দেয়াই এই মাযহাবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই নীতির আলোকে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি  আলাইহি তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হুকুমে তুলনামূলক পার্থক্য করেছেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে দ্ব্যর্থহীন ও অকাট্য কালাম দ্বারা প্রমাণিত হুকুমকে তিনি ফরয বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইমাম শারানী শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি  আলাইহি উনার উপর মহান আল্লাহ পাক উনার অফুরন্ত রহমত বর্ষিত হোক। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত কালাম মুবারককে ওয়াজিব নির্ধারণ করে মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম মুবারককে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কালাম মুবারক অপেক্ষা তুলনামূলক অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আর এতে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফসহ শ্রেষ্ঠতম দলীল-প্রমাণকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে মাত্র। (আল মিযানুল কুবরা-১/১২৫)

অন্যত্র তিনি লিখেন-

اعلم يا اخي انني طالعت بحمد الله تعالى ادلة المذاهب الاربعة و غيرها لا سيما ادلة مذهب الامام ابي حنيفة رضى الله تعالى عنه فاني خصصته بمزيد اعتناء و طالعت عليه كتاب تخريج احاديث كتاب الهداية للحافظ الزيلعي و غيره من كتب الشروح فرايت ادلته رضى الله عنه و ادلة اصحابه ما بين صحيح او حسن او ضعيف كثرت طرقه حتى لحق بالحسن او الصحيح في صحة الاحتجاج به من ثلاثة طرق أو أكثر إلى عشرة و قد احتج جمهور المحدثين بالحديث الضعيف اذا كثرت طرقه

অর্থ: হে আমার ভাই! ভাল করে জেনে রাখুন, আলহামদুলিল্লাহ, আমি চারটি মাযহাবের দলীল-প্রমাণ অধ্যয়ন করেছি। বিশেষ করে হানাফী মাযহাবের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছি। হাফেয যায়লায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব হিদায়ার হাদীছ সংকলন এবং এই মাযহাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থসমূহ অধ্যয়ন করে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি  আলাইহি ও উনার অনুসারীগণ কর্তৃক সংকলিত দলীল-প্রমাণ ছহীহ পেয়েছি। আর পেয়েছি এমন কিছু দুর্বল হাদীছ শরীফ যেগুলো তিন থেকে দশটি পর্যন্ত সনদে বর্ণিত হওয়ার ফলে ছহীহ ও হাসানের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এধরণের পবিত্র হাদীছ শরীফের ভিত্তিতে সকল মুহাদ্দিছগণ দলীল পেশ করে থাকেন। (আল মিযানুল কুবরা-১/১৮২)

 তিনি আরো লিখেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনার মেহেরবানীতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে বর্ণিত নির্ভরযোগ্য ও সত্যায়িত তিনটি মুসনাদ গ্রন্থই অধ্যয়ন করেছি। এতে আমি প্রত্যক্ষ করেছি যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি  আলাইহি তখনকার সর্বশ্রেষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী ব্যতীত কারও নিকট থেকে পবিত্র হাদীছ শরীফ গ্রহণ করেননি। (আল মিযানুল কুবরা-১/১৮২)

اياك ان تبادر إلى تضعيف شيئ من ادلة مذهب الامام ابي حنيفة رحمة الله عليه الا بعد ان تطالع مسانيده الثلاث

অর্থ: সাবধান! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তিনটি মুসনাদ কিতাব অধ্যয়ন করা ব্যতীত সে মাযহাবের কোন দলীলকে দুর্বল বলে হঠকারিতা করবে না। (আল মিযানুল কুবরা-১/৮৫)

ইমাম শারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন-

وتتبع ادلته كما تتبعناها تعرف ان مذهبه رضى الله عنه من اصح الـمذاهب

‘হানাফী মাযহাবের দলীল-প্রমাণ অনুসন্ধান করো, যেভাবে আমরা করেছি, তাহলে বুঝতে পারবে এ মাযহাবই সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ।’ (মিযানুল কুবরা-১/৮৫)

“সম্মানিত হানাফী মাযহাব প্রণয়নে সীমাহীন সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন

করা হয়েছে”

সম্মানিত হানাফী মাযহাবে মাসআলা সংকলনে ও নীতিমালা প্রবর্তনে সীমাহীন সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে। অন্য কোনো মাযহাবের ক্ষেত্রে তেমনটা কল্পনাও করা যায় না। শাফিয়ী মাযহাবের প্রখ্যাত ইমাম শারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট প্রায় চল্লিশ হাজার উলামায়ে কিরামের নিয়মিত সমাগম হত। তন্মধ্যে বিজ্ঞ ও দূরদর্শী ছিলেন প্রায় চল্লিশ জন। কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পেঁৗছার লক্ষ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সতর্কতাবশত সবার সম্মিলিত পরামর্শে সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন। সবাই একমত হলে ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি অথবা অন্য কাউকে বলতেন-এ মাসআলা লিখে নিন। (আল মিযানুল কুবরা-১/৮৭)

ইমাম শারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অন্যত্র লিখেন- যে বলে সম্মানিত হানাফী মাযহাবে সতর্কতার অভাব রয়েছে তার ইলম সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণাই নেই।’ (আল মিযানুল কুবরা-১/৮৬)

তিনি আরো লিখেন-

فانى بحمد الله تتبعت مذهبه فوجدته فى غاية الاحتياط قد اجمع السلف والخلف على كثرة ورع الامام و كثرة احتياطه في الدين

অর্থ: আলহামদুলিল্লাহ, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাযহাব পরিপূর্ণভাবে অধ্যায়ন করেছি এবং এ মাযহাবে চূড়ান্ত সতর্কতা প্রত্যক্ষ করেছি।   (বাকী অংশ রঙিন পৃষ্ঠার পর) সালাফ ও খালাফের আলিমগণ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাক্বওয়া ও উনার দ্বীনী ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সতর্কতার ব্যাপারেও একমত। (আল মিযানুল কুবরা- ১/৮৬)

 তিনি আরো লিখেন-

و من فحص مذهبه رضى الله عنه وجده من اكثر المذاهب احتياطا في الدين و من قال غير ذلك فهو من جملة الجاهلين الـمتعصبين الـمنكرين على ائمة الـهدى بفهمه السقيم.

অর্থ: যে ব্যক্তি সম্মানিত হানাফী মাযহাব গভীরভাবে অনুসন্ধান করবে সে অবশ্যই দ্বীনি ক্ষেত্রে এ মাযহাবকে সকল মাযহাবের তুলনায় অধিক সতর্কতা অবলম্বনকারী পাবে। আর যে এই বাস্তবতার বিপরীত বলবে সে অবশ্যই অজ্ঞ, বিদ্বেষী ও সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত ইমামগণের বিদ্বেষী হিসাবে গণ্য হবে। (আল মিযানুল কুবরা-১/৮৯)

এ ব্যাপারে কয়েকটি দৃষ্টান্ত:

ক. মানুষের মনি বা বীর্যকে লা-মাযহাবীরা পবিত্র বলে দাবী করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! (তুহফাতুল আহওয়াযী- ১/৩১৭)

কিন্তু হানাফী মাযহাবে নির্ভরযোগ্য ও বিশুদ্ধ দলীল-প্রমাণের দ্বারা ওই বিষয়ে সতর্কতা হিসাবে মানুষের মনি বা বীর্য অপবিত্র বলা হয়। (ফতওয়ায়ে শামী-১/১৫৯, উমদাতুল ক্বারী-২/৬৩৬)

খ. অনুরূপভাবে লা মাযহাবীরা আরো বলে থাকে যে, মনি বা বীর্যপাত ব্যতীত আহলিয়ার সাথে মিলিত হলে এতে গোসল করার প্রয়োজন নেই। নাউযুবিল্লাহ! (তোহফাতুল আহওয়াযী- ১/৩০৯-৩১০)

কিন্তু হানাফী মাযহাবে নির্ভরযোগ্য ও বিশুদ্ধ দলীল-প্রমাণের সঙ্গে সতর্কতা হিসাবে এ ক্ষেত্রে গোসল ফরয হবে বলে ফতওয়া দেয়া হয়। (ফতওয়ায়ে শামী-১/১৬৫, উমদাতুল ক্বারী- ২/৬৩১)

গ. মানুষের শরীর থেকে রক্ত প্রবাহিত হলে লা-মাযহাবীরা বলে থাকে এতে অযু ভঙ্গ হবে না। (তোহফাতুল আহওয়াযী-১/২৪৪)

কিন্তু হানাফী মাযহাবে এ ক্ষেত্রে সতর্কতা হিসাবে অযু ভঙ্গ হবে বলেই ফতওয়া দেয়া হয়। (ফতওয়ায়ে শামী-১/১৩৫, উমদাতুল ক্বারী-২/৬৩১)

অনুরূপভাবে আরো অসংখ্য মাসায়িল রয়েছে যেগুলোতে হানাফী মাযহাবে সীমাহীন সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।

“সম্মানিত হানাফী মাযহাবে সম্মানিত শরীয়ত উনার ছোট বড় সবধরণের

সমস্যার সুস্পষ্ট সমাধান রয়েছে”

কোনো মাযহাবের অনুসরণ করতে হলে সম্মানিত শরীয়ত উনার ছোট বড় সব ধরনের সমস্যার সমাধান, পবিত্র কুআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার সঠিক ব্যাখ্যা এবং যাবতীয় উসূল ও নীতিমালা সেই মাযহাব অনুসারে সুবিন্যস্তভাবে বিদ্যমান থাকা অতি জরুরী। এ ব্যাপারে সার্বিক ব্যবস্থাপনা হানাফী মাযহাবে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবদ্দশায় উনার অন্যতম ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম মুহাম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম যুফার রহমতুল্লাহি আলাইহি, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে প্রদত্ত তাফসীর শরীফ, হাদীছ শরীফ, আকাইদ ও উসূলসমূহ সনদসহকারে লিপিবদ্ধ করে স্বীয় ওস্তাদের সাধনা ও ত্যাগ-তিতিক্ষার ফল অমূল্য গবেষণালব্ধ মাসায়িল উম্মতের খিদমতে রেখে যান। কেবল ইমাম মুহাম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিই চার শতাধিক কিতাব রচনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

“সম্মানিত হানাফী মাযহাব অসাধারণ তাত্ত্বিক গবেষণার অনন্য সমাধান”

পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

وَإِذَا جَاءَهُمْ أَمْرٌ مِّنَ الْأَمْنِ أَوِ الْخَوْفِ أَذَاعُوْا بِهِ ۖ وَلَوْ رَدُّوْهُ إِلٰى الرَّسُوْلِ وَإِلٰى أُولِي الْأَمْرِ مِنْـهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِيْنَ يَسْتَـنْبِطُوْنَهٗ مِنْـهُمْ

অর্থ: “আর তাদের নিকট যখন কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তখন তাতে নিজেরা কোন মন্তব্য না করে যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাদের মধ্যে বিজ্ঞদের নিকট পৌঁছে দিতো তাহলে গবেষণায় যোগ্যতাসম্পন্নরা সে বিষয়ে গবেষণা করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৩)

এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ভিত্তিতে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের গবেষণায় অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়তের কোনো জটিল বিষয়ে মন্তব্য ও তা সমাধানের চেষ্টা করা যেমন নিষিদ্ধ তেমনি মাসয়ালা ইস্তিম্বাত ও গবেষণায় যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব বর্তায় এসব বিষয়ের সমাধানে নিবেদিত হওয়া। কিন্তু তা তো আর সবার জন্য সহজসাধ্য নয়। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যুগেই বেশুমার মুজতাহিদ ছিলেন। কিন্তু এসব বিষয়ে সবাই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অপূর্ব তত্ত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল নিখুঁত সমাধানের প্রতীক্ষায় থাকতেন।

হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেন, (কুফার তদানীন্তন অন্যতম ও বিশিষ্ট মুহাদ্দিছ ও তাবিয়ী হযরত আমাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে কোনো মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে জিজ্ঞাসা করো। কেননা উনার ইলম, প্রজ্ঞা ও গবেষণায় মহান আল্লাহ পাক বরকত দিয়েছেন বলে আমি মনে করি। (সিয়ারু আলামিন নুবালা-৬/৪০৩, আল মু’জামুল ওয়াসীত-পৃষ্ঠা ৫১)

ইসলামী ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য কিতাব আল ফিকহুশ শামীতে উল্লেখ আছে-

ان ابا حنيفة رحمة الله عليه قد توسع فى القياس والاستنباط بها كان له من الفكر الوقار و حسن الاعتبار الصحيح و سرعة الخاطر و الفكر وتدقيق جود النظر و كمال الامامة فيه فلذالك استنبط فروعا و بين احكامها

অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রাজ্ঞ বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা, উৎকৃষ্ট ও বিশুদ্ধতম চয়নশক্তি, দ্রুত ও সুনিপুণ অনুধাবন ক্ষমতা এবং পরিপূর্ণ ইমামের আসনে সমাসীন হয়ে সমকালীন মাসয়ালা-মাসায়িল সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা বেশী গবেষণামূলক সমাধান দিয়েছেন এবং অসংখ্য মাসায়িল উম্মাহর খিদমতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। (আল ফিকহুশ শামী- ১/৪১৭)

(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৯তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৩৩)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে-মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লিবাস বা পোশাক পরিধান করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-১০)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক (৩১তম পর্ব)