সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া

সংখ্যা: ২৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া। সুবহানাল্লাহ! এই বিষয়টি জগতবাসী হাক্বীক্বীভাবে উপলব্ধি করেছে হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে অত্যন্ত সংক্ষেপে নিম্নে কতিপয় দৃষ্টান্ত মুবারক তুলে ধরা হলো-

(১)

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে সুদূর ফুরাতের তীরে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে এজন্য আমি হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালামকে কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট জবাবদিহি করতে হবে।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ থেকে ফুরাতের তীর অনেক দূরে অবস্থিত। এখানে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, সুদূর ফুরাতের তীরে যদি একটি কুকুরও না খেয়ে মারা যায়, তাহলে এজন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট জবাবদিহি করতে হবে। এর মানে বুঝা গেলো যে, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে মানুষ এবং জিন তো পূর্ণ নিরাপত্তা, পূর্ণ শান্তি, পূর্ণ ইতমিনান পেয়েছিলোই; শুধু তাই নয়, এমনকি পশু-পাখীরাও পেয়েছে পূর্ণ নিরাপত্তা, পূর্ণ শান্তি, পূর্ণ ইতমিনান। উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে মানুষ তো দূরের কথা কোনো পশু-পাখিও না খেয়ে মারা যায়নি। সুবহানাল্লাহ!

(২)

খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে বাঘ ও মহিষ একই ঘাটে এক সাথে পানি পান করতো। তাদের মাঝে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো না। বাঘ মহিষকে আক্রমণও করতো না। সুবহানাল্লাহ!

(৩)

আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে একবার ভূমিকম্প হয় এবং পুনঃপুনঃ প্রকম্পিত হতে থাকে। আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত হামদ শরীফ ও ছানা-ছিফত মুবারক করার পর যমীনে দোররা মারেন এবং বলেন- ‘স্থির হয়ে যাও। আমি কি তোমার প্রতি ইনসাফ করিনি?’ একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিকম্প বন্ধ হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!

(৪)

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় খলীফা, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত উছমান যুন নূরাঈন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে সম্মানিত মুসলমান উনারা এতোই অধিক সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশ, স্বচ্ছলতা ও প্রাচুর্যতার মধ্যে ছিলেন যে, তখন পবিত্র যাকাত গ্রহণ করবেন এমন কোনো লোক খুঁজে পাওয়া যেতো না। অর্থাৎ সবাই এতো অধিক ধনী ছিলেন যে, সবাই পবিত্র যাকাত প্রদান করতেন। পবিত্র যাকাত গ্রহণ করার মতো কেউ ছিলেন না। সুবহানাল্লাহ!

কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,

كَـثُـرَ الْمَالُ فِـىْ زَمَنِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عُثْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَتّٰـى بِـيْعَتْ جَارِيَةٌ بِوَزْنِـهَا وَفَـرَسٌ بِـمِائَةِ اَلْفِ دِرْهَمٍ وَنَـخْلَةٌ بِاَلْفِ دِرْهَمٍ

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার যামানায় ধন-সম্পদের এতো অধিক প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পেয়েছিলো যে, গোলাম-বাঁদী বিক্রি করা হতো স্বর্ণ-রৌপ্যের ওজনে (অর্থাৎ একদিকে গোলাম-বাঁদী অন্যদিকে স্বর্ণ-রৌপ্য), একটি ঘোড়া বিক্রি করা হতো এক লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে (প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার বিনিময়ে) এবং একটি খেজুর বৃক্ষ বিক্রি করা হতো এক হাজার দিরহামের বিনিময়ে (প্রায় ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে)।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইস্তিআব ১/৩২০, আল আওয়াছিম মিনাল ক্বাওয়াছিম ১/৭০, আর রিয়াদুন নাদ্বরাহ্ ১/২১৭, তারীখু মাদীনাতিল মুনাওওয়ারাহ্ ২/১৩৪, নিহায়াতুল আরব ১৯/৩১৭ ইত্যাদি)

হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন যে, “তখন সম্মানিত মুসলমান উনাদের এতো অধিক স্বচ্ছলতা ছিলো যে, উনারা পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কাপড়, কাত্তানের কাপড় দিয়ে নাক মুবারক পরিষ্কার করতেন।” সুবহানাল্লাহ!

এতো দামী কাপড় দিয়ে যদি নাক মুবারক পরিষ্কার করা হয়, তাহলে সম্মানিত মুসলমান উনারা কত অধিক স্বচ্ছলতা ও সুখ-শান্তির মধ্যে ছিলেন, তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়। সুবহানাল্লাহ!

(৫)

হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত খলীফা মনোনীত হওয়ার পর উনার যামানার সমস্ত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নিকট পরামর্শ চাইলেন যে, কিভাবে যথাযথ ইনসাফের সাথে সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করা যায়। তখন হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা উনাকে জানালেন যে, “হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি সম্পূর্ণ সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনাকে একটি পরিবার মনে করবেন। বয়সে আপনার যারা বড় রয়েছেন, উনাদেরকে আপনি আপনার পিতা-মাতা মনে করবেন। যারা আপনার সমবয়সী রয়েছেন, আপনি উনাদেরকে আপনার ভাই-বোন মনে করবেন। আর বয়সে যারা আপনার ছোট রয়েছেন, আপনি উনাদেরকে আপনার ছেলে-মেয়ে মনে করবেন। অতঃপর আপনি সেভাবে সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করতে থাকুন।” সুবহানাল্লাহ!

হযরত ইমাম হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পত্রের মাধ্যমে জবাব দেন- “হে আমীরুল মু’মিনীন! একজন সম্মানিত খলীফা হচ্ছেন স্নেহশীল পিতার ন্যায়। সন্তানরা ছোট থাকলে তিনি তাদের লালন-পালনের জন্য পরিশ্রম করেন, বড় হলে তাদের সুশিক্ষা দান করেন। যতক্ষণ জীবিত থাকেন, ততক্ষণ তাদের জন্য রোজগার করেন এবং মৃত্যুকালে তাদের জন্য যথেষ্ট সম্পদ রেখে যান।

হে আমীরুল মু’মিনীন! একজন সম্মানিত খলীফা হচ্ছেন ঐ স্নেহশীল মায়ের মত, যে আপন সন্তানদেরকে জীবন দিয়ে মুহব্বত করেন, কষ্ট সহকারে তাদেরকে গর্ভধারণ করেন, কষ্ট সহকারে তাদের জন্মদান করেন এবং লালন-পালন করেন। সন্তান জেগে উঠলে তিনিও জেগে উঠেন, সন্তান ঘুমালে তিনিও ঘুমান। কোনো সময় সন্তানকে দুধ পান করান, কোনো সময় দুধ পান করানো থেকে বিরত থাকেন। সন্তান সুস্থ থাকলে তিনি আনন্দিত থাকেন, সন্তানের কষ্ট হলে তিনি অত্যন্ত পেরেশান হয়ে যান।

হে আমীরুল মু’মিনীন! একজন সম্মানিত খলীফা ইয়াতীমের অভিভাবক ও মিসকীনদের আশ্রয়স্থল। তারা ছোট থাকলে তিনি তাদের লালন-পালন করেন এবং বড় হলে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেন।

হে আমীরুল মু’মিনীন! অঙ্গ-প্রতঙ্গের সাথে অন্তরের যেরূপ সম্পর্ক, জনগণের মাঝে সম্মানিত খলীফা উনার স্থানও ঠিক তদ্রুপ। অন্তর সুস্থ থাকলে অঙ্গ-প্রতঙ্গও সুস্থ থাকে, অন্তর অসুস্থ হলে অঙ্গ-প্রতঙ্গ অসুস্থ হয়ে পড়ে। …”

এভাবেই সম্মানিত খলীফাগণ উনারা সম্মানিত খিলাফত মুবারক পরিচালনা করেছেন এবং করেন, যার কারণে উনাদের সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!

(৬)

হযরত মূসা ইবনে আয়মন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

كَانَتِ الْاَسَدُ وَالْغَنَمُ وَالْوَحْشُ تَـرْعٰى فِـىْ خِلَافَةِ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنِ عَـبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِـىْ مَوْضَعٍ وَاحِدٍ فَـعَرَضَ ذَاتَ يَـوْمٍ لِشَاةٍ مِنْـهَا ذِئْبٌ فَـقُلْتُ اِنَّا لِلّٰهِ مَا اَرَى الرَّجُلَ الصَّالِحَ اِلَّا قَدْ هَلَكَ قَالَ فَحَسَبْـنَاهُ فَـوَجَدْنَاهُ قَدْ هَلَكَ فِـىْ تِلْكَ اللَّـيْـلَةِ

অর্থ: “হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে সিংহ, ছাগল, ভেড়া, মেষ এবং অন্যান্য হিংস্র প্রাণী একই চারণভূমিতে অবস্থান করতো। সুবহানাল্লাহ! একদিন একটি বাঘ একটি মেষের পিছু নিলো। তখন আমি ‘ইন্না লিল্লাহ্’ পড়ে ভাবলাম, আমার তো মনে হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সেই নেক বান্দা অর্থাৎ হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা দিন গণনা করে হিসাব করে দেখলাম, হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সেই রাতেই সম্মানিত বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন।” (মুখতাছারু তারীখে দিমাশক্ব ৬/৮২, আল বিদায়াহ্ ওয়ান নিহায়াহ্ ৯/২২৮)

অর্থাৎ হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারককালে সিংহ, বাঘ, ছাগল, ভেড়া, মেষ এবং অন্যান্য হিংস্র প্রাণী একই চারণভূমিতে অবস্থান করতো। সিংহ, বাঘ এবং হিংস্র প্রাণীগুলো ছাগল, ভেড়া, মেষকে কখনো আক্রমণ করতো না। সুবহানাল্লাহ!

(৭)

হযরত ইয়াহ্ইয়া ইবনে সাঈদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,

بَـعَـثَنِـىْ حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ علـٰى صَدَقَاتِ اِفْرِيْقِيَّةَ فَاقْـتَضَيْـتُـهَا وَطَلَـبْتُ فُـقَرَاءَ نُـعْطِـيْـهَا لَـهُمْ فَـلَمْ نَـجِدْ بِـهَا فَقِـيْـرًا وَّلَـمْ نَـجِدْ مَنْ يَّـأْخُذُهَا مِنِّـىْ قَدْ اَغْنٰـى حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَلنَّاسَ فَاشْتَرَيْتُ بِـهَا رِقَابًا فَاَعْتَـقْتُـهُمْ

 অর্থ: “হযরত ওমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমাকে আফ্রিকায় পবিত্র যাকাত আদায়ের দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। আমি পবিত্র যাকাত আদায় করে ফক্বীর-ফুক্বারা, গরীব-অস্বচ্ছল লোকদের সন্ধানে বের হলাম যাদের মধ্যে পবিত্র যাকাত উনার এই অর্থ বিতরণ করতে পারি। কিন্তু (আশ্চর্যের বিষয়!) একজন ফক্বীর বা গরীব লোকও আমরা পেলাম না এবং এমন একজন লোকেরও সাক্ষাৎ পেলাম না যিনি আমার থেকে পবিত্র যাকাত গ্রহণ করবেন।

قَدْ اَغْنٰـى حَضْرَتْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَلنَّاسَ فَاشْتَـرَيْتُ بِـهَا رِقَابًا فَاَعْتَـقْتُـهُمْ

‘হযরত ওমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সবাইকে ধনী বানিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর পবিত্র যাকাত উনার অর্থ দ্বারা আমি কিছু গোলাম ক্রয় করে তাদেরকে মুক্ত করে দেই’।” সুবহানাল্লাহ! (সীরাতু উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি লি আব্দিল্লাহ ইবনে আব্দিল হাকাম ১/৬৫)

কাজেই সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক ক্বায়িম হওয়ার অর্থই হলো পৃথিবীটা জান্নাতে পরিণত হয়ে যাওয়া। সুবহানাল্লাহ! তাই বিশ্ববাসী সকলের উচিত সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্ মুবারক উনার জন্য কোশেশ করা।

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি গাইবী মদদ করুন আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।

আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, ছাহিবু লাওলাক, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সব

সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ উনার শানে নুযূলকে কেন্দ্র করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কুফরী বক্তব্য ও তার খণ্ডনমূলক জবাব

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা বিরোধী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমস্ত উম্মতের জন্য ফরযে আইন

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা