সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ, সম্মানিত শা’বান শরীফ ও সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাস এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা

সংখ্যা: ২৯৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত মাস তিনটি সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক আলোচনার বিশেষ মাস। সুবহানাল্লাহ!

আরবী সপ্তম মাসের নাম রজব। এ মাসটি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক কৃত চারটি হারাম বা সম্মানিত মাসের মধ্যে অন্যতম। উল্লেখ্য, রজব মাসের পহেলা তারিখ  এবং বার হিসেবে জুমআবার রাতটি পবিত্র রগায়িব শরীফ উনার রাত এবং তা দুআ কবুলের খাছ রাত। আর সাতাশ তারিখ মুবারক রাতটি পবিত্র মি’রাজ শরীফ-এর রাত। স্মরণীয় যে, মি’রাজ শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা মুবারক প্রকাশের এক বিশেষ আনুষ্ঠানিকতা আর তা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে উনার যিনি হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কিরূপ নিছবত মুবারক; সেটা কায়িনাতবাসীকে জানানোর জন্যেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশের একাদশ বছরে মি’রাজ শরীফের আনুষ্ঠানিকতার ব্যবস্থা করেন। এখানে বিশেষভাবে জানার বিষয় হচ্ছে, এই মি’রাজ শরীফেই যে কেবল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারক লাভে ধন্য হয়েছেন তা নয়, বরং সৃষ্টির শুরু থেকেই তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারকে ছিলেন, এখনও আছেন এবং অনন্তকাল ধরে থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!

আরবী অষ্টম মাসের নাম শা’বান । এ মাসটির অন্যতম ও বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ‘চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতটি।’ এই রাতটিকে কুরআন শরীফ-এ ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ’ এবং হাদীছ শরীফ-এ ‘লাইলাতুন্ নিছফি মিন শা’বান’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফার্সী ভাষায় এই রাতটিকে বলা হয় ‘শবে বরাত’ বা ভাগ্য রজনী এবং এ নামেই আমাদের এ উপমহাদেশে রাতটি প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। উক্ত রাতটির ফযীলত ও আমল সম্পর্কে বহু হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।

আরবী নবম মাসের নাম রমাদ্বান। পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, রমাদ্বান শরীফ অত্যন্ত বরকতময় মাস। এ মাসের মধ্যে রয়েছে লাইলাতুল ক্বদর যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ মাসের রোযা ফরয করেছেন। আর হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তারাবীহ নামাযকে সুন্নত করে দিয়েছেন। এ মাসে একটি নফল আমল একটি ফরয আমলের সমান এবং একটি ফরয আমল সত্তরটি ফরয আমলের সমান। যে একজন রোযাদারকে ইফতার করায় তার পাপ মোচন করা হয় এবং সে একজন গোলাম মুক্ত করে দেয়ার প্রতিদান প্রাপ্ত হয়। এছাড়া সে নিজের রোযার ছওয়াব তো পাবেই তদুপরি আরেক রোযাদারের ছওয়াবও সে লাভ করবে। এক চুমুক দুধ অথবা একটি খেজুর অথবা এক গ্লাস পানি দ্বারা ইফতার করালেও বর্ণিত প্রতিদানসমূহ লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি রোযাদারকে তৃপ্তিসহকারে পানাহার করাবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে আমার হাউজে কাওছার শরীফ থেকে তাকে এমনভাবে পানি মুবারক পান করাবেন, জান্নাতে প্রবেশের পূর্ব পর্যন্ত সে আর পিপাসিত হবে না। সুবহানাল্লাহ! এ মহিমান্বিত মাসটি হাক্বীক্বী তাক্বওয়া হাছিলের মাস। তাক্বওয়ার একটা অর্থ হলো আল্লাহভীতি অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে যাবতীয় পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা।

মাহে রজব ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে শা’বান ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে রমাদ্বান শরীফ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে শাওওয়াল ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা

মাহে যিলক্বদ ও তার প্রাসঙ্গিক আলোচনা