সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুননাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা

সংখ্যা: ২৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

شَارِعٌ (শারে’) শব্দ মুবারক আরবী (ش শীন-ر রা-ع আঈন) মূলধাতু থেকে ইসমে ফাইলের ছীগাহ। যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে, হুকুম প্রদানকারী, আইনদাতা, শরীয়ত প্রণেতা ইত্যাদি। যেমন বলা হয়,

مَا اَمَرَ بِهِ الشَّارِعُ عَلٰى وَجْهِ الْاِلْزَامِ

‘সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা আবশ্যকতার ভিত্তিতে যা পালনের আদেশ করেন, (তাকে ওয়াজিব বলে)।’

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত শরীয়ত মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা বা শারে’ বানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

নিম্নে এ বিষয়ে দলীলভিত্তিক আলোচনা পেশ করা হলো:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلَّذِیْنَ یَـتَّبِعُوْنَ الرَّسُوْلَ النَّبِیَّ الْاُمِّیَّ الَّذِیْ یَجِدُوْنَهٗ مَكْتُوْبًا عِنْدَهُمْ فِی التَّوْرٰىةِ وَ الْاِنْجِیْلِ یَاْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ وَ یَـنْهٰىهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَ یُحِلُّ لَهُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیْهِمُ الْخَبٰٓىِٕثَ وَ یَضَعُ عَنْهُمْ اِصْرَهُمْ وَ الْاَغْلٰلَ الَّتِیْ كَانَتْ عَلَیْهِمْ فَالَّذِیْنَ اٰمَنُـوْا بِهٖ وَ عَزَّرُوْهُ وَ نَصَرُوْهُ وَ اتَّـبَـعُوا النُّـوْرَ الَّذِیْۤ اُنْزِلَ مَعَهٗۤ اُولٰٓىِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ

অর্থ: “(সে সমস্ত লোক) যারা ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ করে, যিনি নবীউল উম্মী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার কথা মুবারক তারা তাদের নিকটে থাকা তাওরাত শরীফ ও ইঞ্জীল শরীফে লিপিবদ্ধ পেয়েছে। যিনি তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করেন ও মন্দ কাজে নিষেধ করেন। এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন। তাদের উপর থেকে ঐ বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যারা উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনবেন, উনাকে সম্মান করবেন, উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার গোলামীতে আঞ্জাম দিবেন এবং উনার প্রতি যেই সম্মানিত নূর মুবারক (পবিত্র কুরআন শরীফ) অবতীর্ণ করা হয়েছে উনার অনুসরণ করবেন, উনারাই সফলকাম।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৭)

এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ছিফত মুবারক বর্ণনা করে ইরশাদ মুবারক করেছেন-

یَاْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ وَ یَـنْـهٰىهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ وَ یُحِلُّ لَهُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیْهِمُ الْخَبٰٓىِٕثَ

‘তিনি তাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করেন ও মন্দ কাজে নিষেধ করেন। এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করেন ও অপবিত্র বস্তু হারাম করেন।’ সুবহানাল্লাহ! কোনটা পবিত্র আর কোনটা অপবিত্র, কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম সেটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং তিনি নিজেই নির্ধারণ করেন। অর্থাৎ তিনিই হচ্ছেন শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

قَاتِلُوا الَّذِیْنَ لَا یُـؤْمِنُـوْنَ بِاللهِ وَ لَا بِالْیَـوْمِ الْاٰخِرِ وَ لَا یُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَ رَسُوْلُهٗ وَ لَا یَدِیْـنُـوْنَ دِیْنَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِیْنَ اُوْتُوا الْكِتٰبَ حَتّٰی یُـعْطُوا الْجِزْیَةَ عَنْ یَّدٍ وَّ هُمْ صٰغِرُوْنَ

অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং পরকালের প্রতি ঈমান আনে না। আর যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না এবং সত্য দ্বীনকে নিজের দ্বীন হিসেবে স্বীকার করে না আহলে কিতাবদের যারা, তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন, যতক্ষণ না তারা হেয় প্রতিপন্ন হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৯)

এখানে বলা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যা হারাম করেছেন যারা তা হারাম হিসেবে মানে না এবং সত্য দ্বীনকে নিজের দ্বীন হিসেবে স্বীকার করে না তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করুন। এখানে কিন্তু বলা হয়নি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি যেটা হারাম করেছেন সেটা যারা হারাম হিসেবে মানে না বরং বলা হয়েছে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উভয়ে যা হারাম করেছেন। তার মানে হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন হারাম করেছেন ঠিক একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও হারাম করেছেন। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন শারে’ বা শরীয়ত উনার মালিক একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও শারে’ বা শরীয়ত উনার মালিক অর্থ শরীয়ত প্রণেতা। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

وَ مَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَّ لَا مُؤْمِنَةٍ اِذَا قَضَی اللهُ وَ رَسُوْلُهٗۤ  اَمْرًا اَنْ یَّكُوْنَ لَهُمُ الْخِیَـرَةُ مِنْ اَمْرِهِمْ وَ مَنْ یَّعْصِ اللهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَـقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًا مُّبِیْـنًا

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা যখন কোনো বিষয়ে ফায়ছালা মুবারক দান করেন, তখন কোনো মু’মিন পুরুষ-মহিলা কারো জন্য সে বিষয়ে মত পেশ করা জায়িয নেই। আর যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের অবাধ্যতা করলো সে প্রকাশ্য গোমারাহীতে নিমজ্জিত হলো।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)

এখানেও একই কথা বলা হচ্ছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা কোনো বিষয়ে ফায়ছালা মুবারক করলে কোনো মু’মিন-মু’মিনা কারো জন্য সেখানে মত পেশ করা জায়িয নেই। কেউ মত পেশ করলে সে প্রকাশ্য গোমরাহীতে গোমরাহ হয়ে যাবে। মূল ফায়ছালার মালিক হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা এখানে সে বিষয়টাকেই সুস্পষ্ট করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

فَلَا وَ رَبِّكَ لَا یُـؤْمِنُـوْنَ حَتّٰی یُحَكِّمُوْكَ فِیْمَا شَجَرَ بَـیْـنَـهُمْ ثُمَّ لَا یَجِدُوْا فِیْۤ اَنْـفُسِهِمْ حَرَجًا مِّـمَّا قَضَیْتَ وَ یُسَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا

অর্থ: “আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পরস্পরের ইখতিলাফের ব্যাপারে আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নির্দেশ মুবারক, আপনার ফায়ছালা মুবারক মেনে না নিবে। (শুধু মেনে নিলেই চলবে না) তাদের অন্তরে কোনো সংকীর্ণতা অনুভব করতে পারবে না। শুধু অন্তরে সংকীর্ণতা অনুভব না করলেই চলবে না বরং আপনি যেটা ফায়ছালা মুবারক করবেন, সেটা মানার মতো মেনে নিতে হবে অর্থাৎ অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কোনো প্রকার চু-চেরা সংকীর্ণতা ছাড়াই মেনে নিতে হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৫)

এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তোমরা যদি তোমাদের পরস্পরের ইখতিলাফের ব্যাপারে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফায়ছালা মুবারক মেনে না নাও; শুধু মুখে মেনে নিলেই চলবে না অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কোনো প্রকার চু-চেরা ছাড়াই মেনে নিতে হবে। যদি মেনে না নাও তাহলে কস্মিনকালেও তোমরা ঈমানদ্বার হতে পারবে না। তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে, শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা সেটা বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেও সে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছেন।

 যেমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন-

عَن حَضْرَتْ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِىْ كَرِبَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَا هَلْ عَسٰى رَجُلٌ يَـبْـلُغُهُ الْحَدِيْثُ عَنِّىْ وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلـٰى اَرِيْكَتِهٖ فَـيَـقُوْلُ بَـيْـنَـنَا وَبَـيْـنَكُمْ كِتَابُ اللهِ فَمَا وَجَدْنَا فِيْهِ حَلَالًا اِسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا فِيْهِ حَرَامًا حَرَّمْنَاهُ وَاِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا حَرَّمَ اللهُ

অর্থ: “হযরত মিকদাম ইবনে মা’দীকারিবা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাবধান! অতিসত্বর এমনসব লোকের উদ্ভব ঘটবে, যাদের নিকট আমার কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছবে আর তারা তাদের গদিতে হেলান দিয়ে বসে থেকে বলবে, আমাদের মাঝে এবং তোমাদের মাঝে তো মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাবই রয়েছে। তাতে আমরা যা হালাল হিসেবে পাব তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করব আর যা হারাম হিসেবে পাব তা হারাম মনে করব। কিন্তু (প্রকৃত অবস্থা হল এই যে,) নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করেছেন তা মহান আল্লাহ পাক উনার হারামকৃত বস্তুর মতই হারাম।” (তিরমিযী শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২৬৬৪, ইবনে মাজাহ শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, আল আহকামুশ শরইয়্যাহ্ লিল ইসিবীলী ১/৩৩৪ ইত্যাদি)

এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সুস্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন,

وَاِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا حَرَّمَ اللهُ

‘নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা হারাম করেছেন তা মহান আল্লাহ পাক উনার হারামকৃত বস্তুর মতই হারাম।’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন শারে’ একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ خَطَبَـنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَـقَالَ يَا اَيُّهَا النَّاسُ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْحَجُّ قَالَ فَـقَامَ حَضْرَتْ اَلْاَقْـرَعُ بْنُ حَابِسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ فَـقَالَ اَفِـىْ كُلِّ عَامٍ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْ قُـلْتُـهَا نَـعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَوْ وَجَبَتْ لَـمْ تَـعْمَلُوْا بِـهَا اَوْ لَمْ تَسْتَطِيْـعُوْا اَنْ تَـعْمَلُوْا بِهَا فَمَنْ زَادَ فَـهُوَ تَطَوُّعٌ

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার আমাদের উদ্দেশ্যে সম্মানিত খুৎবা মুবারক দিলেন। অতঃপর তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হে লোক সকল! মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের উপর পবিত্র হজ্জ ফরয করেছেন। রাবী বলেন, এটা শুনে হযরত আক্বরা’ ইবনে হাবিস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা অর্থাৎ পবিত্র হজ্জ কি আমাদের জন্য প্রতি বছর পালন করাই ফরয? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যদি আমি বলতাম হ্যঁা, তবে তা প্রত্যেক বছরই ফরয হয়ে যেতো। আর যদি ফরয হয়ে যেতো, তাহলে আপনারা তা সম্পাদন করতে সমর্থ হতেন না। (পবিত্র হজ্জ জীবনে একবারই ফরয।) যিনি বেশী করলেন তিনি নফল করলেন। (মুসনাদে আহমাদ ১/২৯০, নাসায়ী শরীফ, দারিমী ইত্যাদি)

অপর বর্ণনায় রয়েছেন-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجُّ فِىْ كُلِّ عَامٍ قَالَ لَوْ قُـلْتُ نَـعَمْ لَوَجَبَتْ وَلَوْ وَجَبَتْ لَـمْ تَـقُوْمُوْا بِهَا وَلَوْ لَمْ تَـقُوْمُوْا بِهَا عُذِّبْـتُمْ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! পবিত্র হজ্জ কি আমাদের জন্য প্রতি বছর পালন করাই ফরয? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, যদি আমি বলতাম হ্যঁা, তবে তা প্রত্যেক বছরই ফরয হয়ে যেতো। আর যদি তা প্রত্যেক বছর ফরয হতো তাহলে আপনারা তা আদায় করতে সক্ষম হতেন না। আর যদি আপনারা তা আদায় না করতেন তাহলে আপনাদেরকে শাস্তি দেয়া হতো।” (ইবনে মাজাহ্ শরীফ- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২৮৮৫)

এখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের সুওয়ালের জবাবে ইরশাদ মুবারক করেন,

لَوْ قُـلْتُ نَـعَمْ لَوَجَبَتْ

অর্থাৎ আমি যদি বলতাম হ্যাঁ; তাহলে তোমাদের জন্য প্রতি বছরই পবিত্র হজ্জ করা ফরয হয়ে যেতো। পবিত্র হজ্জ জীবনে একবারই ফরয। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যদি সম্মতি মুবারক দিতেন অর্থাৎ বলতেন প্রতি বছরই পবিত্র হজ্জ করা ফরয তাহলে প্রতি বছরই পবিত্র হজ্জ করা উম্মতের জন্য ফরয হয়ে যেতো। তিনি যেহেতু বলেছেন জীবনে একবার হজ্জ করা ফরয, তাই সেটাই হয়েছে। এখান থেকেও প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَ مَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَ مَا نَـهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْـتَـهُوْا

 ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তোমরা তা গ্রহণ কর, আকড়ে ধরো। আর যা থেকে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকো।’ (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে একখানা ওয়াক্বেয়া মুবারক বর্ণিত রয়েছেন-

عَنْ حَضْرَتْ عَلْقَمَةَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ لَعَنَ اللهُ الْوَاشِمَاتِ وَالْمُوْتَشِمَاتِ وَالْمُتَـنَمِّصَاتِ وَالْمُتَـفَلِّجَاتِ لِلْحُسْنِ الْمُغَيِّرَاتِ خَلْقَ اللهِ فَـبَـلَغَ ذَالِكَ امْرَأَةً مِنْ بَنِىْ اَسَدٍ يُـقَالُ لَهَا حَضْرَتْ اُمُّ يَعْقُوْبَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْـهَا فَجَاءَتْ فَـقَالَتْ اِنَّه بَـلَغَنِىْ عَنْكَ اَنَّكَ لَعَنْتَ كَيْتَ وَكَيْتَ فَـقَالَ وَمَا لِىْ اَلْعَنُ مَنْ لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ هُوَ فِىْ كِتَابِ اللهِ فَـقَالَتْ لَقَدْ قَـرَأْتُ مَا بَـيْنَ اللَّوْحَيْنِ فَمَا وَجَدْتُ فِيْهِ مَا تَـقُوْلُ قَالَ لَئِنْ كُنْتِ قَـرَأْتِيْهِ لَقَدْ وَجَدْتِيْهِ اَمَا قَـرَأْتِ [وَمَاۤ اٰتٰكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهٰكُمْ عَنْهُ فَانْـتَـهُوْا] قَالَتْ بَـلـٰى قَالَ فَاِنَّهٗ قَدْ نَـهٰى عَنْهُ

অর্থ: “বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত আলকামা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ সমস্ত নারীদের উপর লা’নত করেছেন, যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকন করে ও নিজ শরীরে উল্কি অংকন করায় এবং যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রম্ন-চুল উপড়িয়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে নিজ থেকে ফাঁক সৃষ্টি করে। এসব নারী মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধনকারী। উনার এই কথা মুবারক বনূ আসাদ গোত্রের একজন মহিলা ছাহাবীয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার নিকট পৌঁছলেন। যাঁকে হযরত উম্মে ইয়া’কূব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা বলা হতো। তিনি হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার নিকট এসে বললেন, আমি জানতে পেরেছি, আপনি নাকি (যারা অন্যের শরীরে উল্কি অংকন করে ও নিজ শরীরে উল্কি অংকন করায় এবং যারা সৌন্দর্যের জন্য ভ্রম্ন-চুল উপড়িয়ে ফেলে ও দাঁতের মাঝে ফাঁক সৃষ্টি করে।) এমন মহিলাদের প্রতি লা’নত করেন। হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, আমি কেন এমন লোকদের প্রতি লা’নত করব না, যাদের প্রতি স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লা’নত করেছেন এবং যাদের কথা মহান আল্লাহ পাক উনার কিতাবে রয়েছে? মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বললেন, আমি তো দুই ফলকের মাঝে যা আছে অর্থাৎ সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ পড়েছি; কিন্তু আপনি যা বলছেন সেটা তো পাইনি। তিনি বললেন, আপনি যদি (ভালোভাবে বুঝে-শুনে) পড়তেন তবে অবশ্যই পেতেন। আপনি কি পড়েননি?

وَ مَاۤ اٰتٰىكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهٰىكُمْ عَنْهُ فَانْـتَـهُوْا

 ‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা নিয়ে এসেছেন তোমরা তা গ্রহণ কর, আকড়ে ধরো। আর যা থেকে নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকো।’ (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

উক্ত মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বললেন, হ্যাঁ পেয়েছি। তখন হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই তো এ থেকে নিষেধ করেছেন।” (বুখারী শরীফ- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৪৮৮৬, মুসলিম শরীফ- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২১২৫)

এই ওয়াক্বেয়া মুবারক উনার মাধ্যমে হযরত ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ দিয়ে দলীল দিয়ে জানিয়ে দিলেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে যেসব বিষয় হালাল-হারাম করেছেন সেগুলোই শুধু হালাল-হারাম নয়। এর বাহিরেও অনেক বিষয় হালাল-হারাম রয়ে গেছে। যা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হালাল-হারাম করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

আর এর মাধ্যমেও প্রমাণিত হলো যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শারে’ বা সম্মানিত শরীয়ত প্রণেতা। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ। সুবহানাল্লাহ!

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে কুল-কায়িনাতবাসীসহ আমাদের সকলকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক বুঝার, উপলদ্ধি করার এবং সেই অনুযায়ী উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-হাফিয মুহম্মদ ইমামুল হুদা।

আল হাদ্বির ওয়ান নাযির, ছাহিবু লাওলাক, ছাহিবু ক্বাবা ক্বাওসাইনি আও আদনা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন; এছাড়া সব

সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ উনার শানে নুযূলকে কেন্দ্র করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কুফরী বক্তব্য ও তার খণ্ডনমূলক জবাব

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা বিরোধী তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমস্ত উম্মতের জন্য ফরযে আইন

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক

বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মুসনাদে আহমদসহ অন্যান্য কিতাবে বর্ণিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সতর মুবারক সংশ্লিষ্ট মওযূ হাদীছ ও তার খণ্ডনমূলক জবাব