সব প্রশংসা মুবারক খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ ও সালাম মুবারক।
রাজধানীতে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী যানবাহনের সঙ্কট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের লম্বা লাইন। লোকাল, গেইটলক বা সিটিং সার্ভিসÑ কোনো বাসেই পা রাখার জো নেই। সিএনজি অটোরিকশা থাকলেও তা যাত্রী হয়রানির ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নেই ট্যাক্সি ক্যাব। রিকশা ভাড়াও অনেকের নাগালের বাইরে। তাউপরও প্রতিদিন ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ভিড়ে ঠাসা যানবাহনে পথ চলতে হচ্ছে লাখো কর্মজীবী মানুষকে। গণপরিবহনের এই দুরবস্থায় হাঁপিয়ে উঠেছে রাজধানীর মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণী।
নগরীতে প্রতিদিন মানুষ বাড়ছে, কিন্তু বাড়ছে না পরিবহন সেবা। অন্যদিকে যা পাওয়া যাচ্ছে তা অপ্রতুল, নিম্নমানের অথচ ব্যয়বহুল। এ অবস্থার জন্য পরিবহন মালিকরা দায়ী করছে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, প্রশাসনিক জটিলতা ও সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধিকে। সড়ক পরিবহন সমিতির একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের নীরব চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পরিবহন মালিকরা। একটি রুটের জন্য পুলিশকে প্রতি মাসে দিতে হয় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। প্রতি মোড়ে থাকা (৩ জন) ট্রাফিক পুলিশকে সপ্তাহে দিতে হয় ৬ হাজার টাকা। এসব কারণে দিন দিন পরিবহন খাত অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সমীক্ষা অনুযায়ী, যেখানে ৭৫ লাখ মানুষই নিয়মিত যাতায়াত করে বাস ও মিনিবাসে; সেখানে এসব পরিবহনের সংখ্যা মাত্র ১৩ হাজার। এ হিসাবে ৫৭৬ যাত্রীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি বাস। অথচ বড় বাসে সর্বোচ্চ ৫৬ জন এবং মিনিবাসে ৩৬ জন আসনধারী যাত্রী পরিবহন করতে পারে। গণপরিবহনে মুখ্য ভূমিকা রাখা এ দুটি যানের মারাত্মক সঙ্কটে নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়েছে। বিশেষ করে সকাল-বিকালের পিক আওয়ারে বাসযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার প্রতিটি বাস স্টপেজে যাত্রীদের নিত্যদিনই মল্লযুদ্ধ করে গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। ঠেলাঠেলি করে গাড়িতে উঠতে গিয়ে এবং বাসের হ্যান্ডেল ও বাম্পারে ঝুলে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে প্রতিদিন হতাহতের ঘটনা ঘটছে। সিটিং সার্ভিসের বাসগুলোতেও বিপুলসংখ্যক স্ট্যান্ডিং প্যাসেঞ্জার নিয়েও পরিবহন মালিকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তবে এউপরও এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিনেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সরকার। বিভিন্ন সময়ে নথিপত্রে বহুমুখী উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়নের ঘর দীর্ঘদিন ধরে শূন্যই পড়ে আছে। নানা বাধায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) হিসাবে ঢাকায় প্রতিদিন বিভিন্ন পরিবহনে ট্রিপ (এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত) হয় প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ। এর মধ্যে রিকশায় হয় ৮৪ লাখের বেশি। বাসে যাতায়াত হয় ৭৫ লাখ। পায়ে হেঁটে ৪০ লাখ। ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত হয় যথাক্রমে ১২ লাখ ও ১৫ লাখ। অন্যান্য বাহনে পাঁচ লাখ। এদিকে বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক সূত্র জানায়, ঢাকায় এ পর্যন্ত বাস-মিনিবাসের নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ১৯ হাজার ৬৪৩টি। যার মধ্যে চলাচলের অযোগ্য সাড়ে ছয় হাজারেরও কিছু বেশি বাস-মিনিবাস ঢাকার রাস্তা থেকে সরে গেছে। এ হিসাবে ১৩ হাজার বাস-মিনিবাস রাজধানীতে চলাচল করছে।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের দাবি, এই ৪০টি পরিবহনের প্রায় দেড় হাজার গাড়ি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি বাস মাসে ২০-২১ দিনের বেশি চলাচল করতে পারে না। মেরামতের জন্য প্রতিটি বাস গ্যারেজে ১০ দিন করে বন্ধ রাখতে হয়। আর প্রতিদিনই কিছু গাড়ি নগরের নির্দিষ্ট রুটের পরিবর্তে বাইরের অন্য রুটে চলাচল করে। সে হিসাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত দুই তৃতীয়াংশের কম বাস নগরে নিয়মিত চলাচল করে। এ কারণে গণপরিবহন-সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে মালিক সমিতির নেতারা মন্তব্য করে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছে, সরকারের অদূরদর্শিতার কারণে যাত্রী পরিবহন খাত অলাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র আধিপত্য, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি এবং যানজটের কারণে সিডিউল অনুযায়ী ট্রিপ দিতে না পারাসহ নানা বিড়ম্বনায় পরিবহন ব্যবসায়ীরা দ্রুত এ সেক্টর থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। অনেকেই গণপরিবহনের বাস-মিনিবাস বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনে ভাড়া দিয়েছে। সরকার গণপরিবহনকে উৎসাহিত না করে ব্যক্তিগত যানবাহন রাস্তায় নামানোর ব্যাপারেই বেশি আগ্রহ দেখানোর কারণে এ সেক্টরে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
সরকারের নীতিগত কারণে যানবাহন সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠেছে। সরকারের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। যানবাহন সঙ্কটসহ পরিবহন খাতের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি উত্থাপন করেও কোনো লাভ হয়নি। অথচ সরকারের উচিত অতি দ্রুত জনগণের এ জনসমস্যার সমাধানে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
মূলত এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক। যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের তা নছীব করুন। (আমীন)
-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ।
চাঁদ দেখা এবং নতুন চন্দ্রতারিখ শুরু নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-১৭
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভুমিকা-৪৮