মুবাশশিরাও ওয়া নাযীরা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হায়াতুন নবী, শাহিদুন্ নবী, মুত্বালা’ আলাল গইব, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক আযানে শুনে অঙ্গুলি চুম্বন করা ও চোখে বুছা দেয়ার সীমাহীন ফযীলত

সংখ্যা: ২৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি খ¦ইরে কাছীর বা সর্বপ্রকার খায়ের ও বরকত ভালাইয়ের মালিক ও বন্টনকারী মনোনীত করেছেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিভিন্ন উছীলায় উম্মতকে খ¦ইরে কাছীর হাদিয়া করেন। যার বিশেষ উদাহরণ হলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক আযানে শুনে অঙ্গুলি চুম্বন করা ও চোখে বুছা দেয়া।

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,

مَنْ سَمِعَ اِسْمِيْ فِي الْاٰذَانِ وَهُوَ وَضَعَ اِبْـهَامَيْهِ عَلٰى عَيْـنَـيْهِ فَاَنَا طَالِبُهٗ فِيْ صُفُوْفِ الْقِيَامَةِ وَقَائِدُهٗ اِلَى الْجَنَّةِ

অর্থ: “যে ব্যক্তি আযানের মধ্যে আমার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনলো এবং তার উভয় অঙ্গুলী দু’চোখের উপর রাখল, আমি তাকে কিয়ামতের দিন কাতারের মধ্যে তালাশ করবো এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবো। (ছলাতে নখশী)

অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক আযানে শুনে আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে অঙ্গুলি চুম্বন করা ও চোখে বুছা দিতে দেখে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

مَنْ فَـعَلَ مِثْلَ مَا فَـعَلَ خَلِيْلِيْ فَـقَدْ حَلَّتْ عَلَيْهِ شَفَاعَتِيْ

অর্থ: আমার খলীল (হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম) উনার এ আমল মুবারকের অনুরূপ আমল যে ব্যক্তি করবে, তার জন্য আমার শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব। (মাকাসিদুল হাসনাহ)

কিতাবে বর্ণনা করা হয়,

مَنْ صَلّٰى عَلَى النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا سَمِعَ ذَكَرَهٗ فِى الْاٰذَانِ وَجَمَعَ اِصْبَـعَيْهِ الْمُسَبَّحَةِ وَالْاِبْهَامِ وَقَـبَّـلَهُمَا وَمَسَحَ بِهِمَا عَلٰى عَيْـنَـيْهِ لَمْ يَمُدَّ اَبَدًا

অর্থ: যে ব্যক্তি আযানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক শুনে পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে এবং তার শাহাদাত অঙ্গুলী ও বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করে চোখের উপরে মসেহ করবে, কখনো তার চোখে যন্ত্রনা হবে না। (আল মাকাসিদুল হাসনাহ)

কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়, হযরত নূরুদ্দীন খোরাসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি আযানের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করতাম, অতঃপর এই আমল বর্জন করলাম, ফলে আমার চোখে পীড়া দেখা দিল। এরপর আমি স্বপ্নে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দীদার মুবারক লাভ করলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তুমি আযানের সময় বৃদ্ধাঙ্গুলী চুম্বন করে তা চোখে লাগানো পরিহার করেছ কেন? যদি তোমার চক্ষু রোগ থেকে মুক্তির ইচ্ছা থাকে, তবে পুনরায় এই আমল শুরু করো। অতপর আমি জেগে এই কাজ শুরু করেছি। তখন আমার চক্ষু রোগ হতে ভাল হয়ে যায়। এরপর অদ্যাবধি আমার চোখে আর কোন ধরণের রোগ হয় নাই।” (নাহজুস সালামাহ ফি তাকবীলিল ইবহামাইনে ফিল ইকামাহ)

মূলত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক আযানে শুনে উনার মুবারক শানে পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করা ফরয। কেননা, পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক শুনে পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ না করলে ধ্বংস ও লা’নত। আর পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করার পর অঙ্গুলি চুম্বন করে চোখে লাগালে শাফায়াত মুবারক ওয়াজিব হয়, চোখের সর্বপ্রকার ব্যাধি দূর হয়, অন্ধত্ব হতে কুদরতীভাবে চোখকে হিফাযত করা হয়।

এখানে ফিকিরের বিষয় হলো- এ আমলখানা করতে খুবই সামান্য সময় অতিবাহিত হয়। দৈনিক ৫ ওয়াক্ত আযান ও ইক্বামতে মোট ২০ বার এ আমল করার সুযোগ হয়। একজন উম্মত এ আমলের দ্বারা দৈনিক ২০ বার নিজের জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে নিতে পারে। সুবহানাল্লাহ।

কাজেই, প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক আযানে শুনে উনার মুবারক শানে অত্যন্ত মুহব্বত, আদব ও গুরুত্বের সাথে পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করা এবং তিনবার করে অঙ্গুলি চুম্বন করে চোখে লাগানো।

মহান আল্লাহ পাক সকলকে তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

-মুহম্মদ ইমাদুদ্দীন

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী-রসূল হিসেবে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। উনাদের মুহব্বত মুবারক ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পূর্ণ হয় না

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সমস্ত সৃষ্টির হক

মওযূ ও ছহীহ হাদীছ শরীফ নির্ণয়ের প্রকৃত মানদণ্ড

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরয