মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সমস্ত সৃষ্টির হক

সংখ্যা: ২৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে রবীউছ ছানী শরীফ জুমু‘আহ্ শরীফ উনার খুৎবা মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَحَقُّ بِـحُسْنِ صَحَابَـتِـىْ قَالَ اُمُّكَ قَالَ ثُـمَّ مَنْ قَالَ اُمُّكَ قَالَ ثُـمَّ مَنْ قَالَ اُمُّكَ قَالَ ثُـمَّ مَنْ قَالَ اَبُـوْكَ

‘হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন একজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার থেকে সবচেয়ে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হক্বদার কে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার মাতা। তিনি বললেন, তারপর কে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার মাতা। তিনি বললেন, তারপর কে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার মাতা। তিনি বললেন, তারপর কে? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনার পিতা।’ {(সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ।}

সেটাই বলা হচ্ছে- আমাদের শরীয়তে মাতার ৩ হক্ব আর পিতার ১ হক্ব। এই যে বিষয়টা- এটা হচ্ছে সাধারণ পিতা-মাতার ব্যাপারে। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হক্ব কতটুকু? এটা ফিকির করতে হবে। এটা ফিকির না করলে বুঝা যাবে না। ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ আমরা পালন করবো। কিন্তু পালন করার মতো পালন করতে হবে। রসম-রেওয়াজ না। একজন করলো, তার দেখাদেখি আমি করলাম। না; হাক্বীক্বীভাবে করতে হবে। তখন সে তার বদলা লাভ করবে। তখন সে মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবে। এছাড়া লাভ করতে পারবে না। বিষয়টা কিন্তু ফিকির করতে হবে। আমরা সহজ-সরল ভাষায় বলে থাকি। এটা সহজ-সরল ভাষায় বুঝতে হবে। বিষয়গুলি কি? এখন সারা যমীনের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক কারা বর্ণনা করে? কেউ তো করে না। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! উনার সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক কোথায়? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক কোথায়? কোথায় কে বর্ণনা করে? বরং তারা বিপরীত বলে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! কাজেই পিতা-মাতার হক্বটা বুঝলে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিষয়টা বুঝা যাবে, উনাদের বুলন্দী শান মুবারক কতটুকু?

আরেকটা ওয়াক্বেয়াহ্ আমরা বলেছিলাম। হযরত আলক্বমা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ছাহাবী, বুযূর্গ ছাহাবী। এগুলি থেকে নছীহত হাছিল করতে হবে, ইবরত হাছিল করতে হবে। হযরত আলক্বমা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার যখন বিছাল শরীফ উনার সময় হয়ে গেলো, তখন দেখা গেলো উনি একজন বিশিষ্ট ছাহাবী হওয়ার পরেও উনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পড়তে পারছিলেন না। উনাকে তালক্বীন দেওয়া হচ্ছে, তিনি বলতে পারতেছেন না। এ রকম যখন হচ্ছিল, তখন উনার যিনি আহলিয়া তিনি সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে আসলেন। এসে বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! হযরত আলক্বমা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার বিছাল শরীফ উনার সময় হয়ে গেছে; কিন্তু তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালেমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না।

এটা শুনে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চারজন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে পাঠালেন। (১) ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে, (২) হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে, (৩) হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে এবং (৪) হযরত আম্মার রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে পাঠালেন দেখার জন্য। উনারা গেলেন সেখানে। উনারা দেখেন সত্যি উনি কোনো মতেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না। যখন উনারা কোশেশ করে দেখলেন উনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না, তখন হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আসলেন। এসে বললেন- ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সত্যিই তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পাঠ করতে পারতেছেন না। কি করতে হবে? তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন যে, হযরত আলক্বমা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার পিতা-মাতা কেউ জীবিত আছেন কি? হযরত বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, হঁ্যা; উনার মাতা জীবিত আছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, তাহলে উনার মাতা উনাকে আসতে বলুন। তখন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা বললেন যে, উনার মাতা তো অনেক যয়ীফা, বৃদ্ধা। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, যদি আসতে নাই পারেন, তাহলে আমিই যাবো। কিন্তু উনার মাতা আসলেন।

আসার পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে, ‘আপনার সন্তানের প্রতি কি আপনি অসন্তুষ্ট? আপনার সন্তান কেমন?’ তিনি বললেন, ‘আমার সন্তান তো খুব ভালো। শরীয়ত উনার খিলাফ কোনো কাজ করেন না। আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ-নির্দেশ মুবারক সব পালন করেন। খুব ভালো আমার সন্তান।’ ‘আপনি কি অসন্তুষ্ট?’ তিনি বললেন, ‘আমি সন্তুষ্ট; তবে একটা কাজে অসন্তুষ্ট।’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘কি কাজে অসন্তুষ্ট?’ উনি বললেন, ‘সেটা হচ্ছে- কোনো বিষয়ে যদি আমার সাথে আমার সন্তানের আহলিয়ার ইখতিলাফ হয়, মতবিরোধ দেখা দেয়, তখন আমার সন্তান তার আহলিয়ার পক্ষ অবলম্বন করে। এই কারণে আমি অসন্তুষ্ট।’ তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন, ‘আপনি সন্তুষ্ট না হলে, আপনার সন্তান ইন্তেকাল করলে জাহান্নামে যাবে। আপনি আপনার সন্তানকে মাফ করে দিন।’ কিন্তু উনার মাতা মাফ করার পক্ষে ছিলেন না। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘তাহলে ঠিক আছে; মারা যাবার পরে তো উনি জাহান্নামে যাবেন, তাহলে আমরা আগেই উনাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেই। আপনারা লাকড়ী জমা করুন, আগুন জ্বালান। হযরত আলক্বমা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে আমরা জিন্দা অবস্থায় আগুনে ফেলে দেই।’ যখন এই কথা বলা হলো, তখন উনার মাতা বললেন- ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বিষয়টা বুঝতে পারিনি।’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘বিষয়টা বুঝতে পারেননি? বিষয়টা হচ্ছে- আপনি ক্ষমা না করলে, আপনার সন্তান এই অবস্থায় ইন্তিকাল করলে, উনি জাহান্নামে যাবেন। সেজন্য আমরা আগেই উনাকে আগুনে ফেলে দিচ্ছি।’ তখন তিনি বুঝলেন। বললেন, ‘ঠিক আছে; তাহলে উনাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম।’ উনি ক্ষমা করে দিলেন। তখন সংবাদ নেওয়া হলো, হযরত আলক্বমা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ জোরে জোরে পাঠ করতে করতে বিছাল শরীফ গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এখন এই যে ওয়াক্বিয়াটা- এটা একটা বাস্তব ঘটনা। একজন ছাহাবী হওয়ার পরও মাতাকে সামান্য অসন্তুষ্ট করার কারণে ঈমান নছীব হচ্ছে না। এটা কিন্তু অনেক ফিকির করতে হবে। তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে অসন্তুষ্ট করলে, সে ব্যক্তির জন্য জাহান্নাম কতটুকু ওয়াজিব হবে, এটা ফিকির করতে হবে।

সে জন্য আমরা বলেছিলাম যে, আমাদের অনেক গবেষক দরকার। যেই বই-পুস্তকগুলিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খিলাফ কুফরী বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেই বই-পুস্তকগুলি থেকে উক্ত কুফরী বক্তব্যগুলি কেটে ফেলে দিতে হবে। এটা ফরয। নতুন করে সেই বই-পুস্তকগুলি সম্পাদন করা ফরয। মুসলমানরা জানার পরও যদি, সেই কুফরী বক্তব্যগুলি কিতাবাদিতে থেকে যায়, তাহলে তারা কি জবাবদিহী করবে?

সে প্রসঙ্গে আমরা একটা ঘটনা বলে থাকি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ। এক ব্যক্তি নিজেকে বুযূর্গ বলে দাবী করতো। এক মজলিসে সে ছিলো। সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ কোনো এক বদ বখ্ত ও বদ নছীব চূ-চেরা, ক্বীল-কাল করেছিলো। সে ব্যক্তি প্রতিবাদ করেনি। সে ব্যক্তি সেই মজলিস থেকে এসে রাতে ঘুমিয়ে পড়লো। তখন সে ঘুমে স্বপ্নে দেখতে লাগলো- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনেছেন। তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক এনে তাকে বললেন, উঠো। তাকে ঘুম থেকে উঠালেন। উঠিয়ে বললেন- তুমি যেই মজলিসে গিয়েছিলে, সেই মজলিসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ যে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা হলো, তুমি কোনো প্রতিবাদ করলে না কেন? লোকটা বললো- তার শক্তি-সামর্থ্য ও সাহস ছিলো না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- তোমার এ কথাটা সত্য না। তুমি প্রতিবাদ করতে পারতে। কেন করলে না, এজন্য আজ থেকে তুমি অন্ধ হয়ে যাবে। সত্যি লোকটা অন্ধ হয়ে গিয়েছে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

বিষয়টা খুব ফিকির করতে হবে। এজন্য আমরা বলেছি, বলে যাচ্ছি, অনেক গবেষক দরকার। গবেষণা করে এই সমস্ত কুফরী বক্তব্যগুলি কিতাব থেকে ফেলে দিতে হবে। আর উনাদের বুলন্দী শান মুবারক ব্যাপক প্রচার-প্রসার করতে হবে। এখন ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বছরে শুধু একদিন না, শুধু ৬৩ দিন না, ৯০ দিনও না, অনন্তকাল ধরে করতে হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনাদের বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করতে হবে, ব্যাপক প্রচার-প্রসার করতে হবে। যেটা হাক্বীক্বীভাবে যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনারই বুলন্দী শান মুবারক উনার অন্তভূর্ক্ত। আবার উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ যারা চূ-চেরা, ক্বীলও-ক্বাল করেছে, করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করতে হবে এবং যে সমস্ত বই-পুস্তকগুলিতে কুফরী বক্তব্যগুলি লিপিবদ্ধ রয়েছে, সেগুলি কিতাব থেকে কেটে ফেলে দিতে হবে। সঠিকটা লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং সেটা ব্যাপক প্রচার-প্রসারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিষয়টা ফিকির করতে হবে।

এই লোকটা মজলিসে যাওয়ার পরে প্রতিবাদ না করার কারণে সে দুনিয়াবী গজবে পড়ে গেলো। পরকালের গজব তো রয়েই গেলো। তাহলে এখন কেউ মজলিসে না যাক, সে দেখতে পেলো কিতাবের মধ্যে উনাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রয়েছে। সেটা সে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য কোশেশ করলো না, তাহলে সে কোন্ ধরণের উম্মত? তার উপর কতোটুকু আযাব-গজব নাযিল হবে? সে কতটুকু অসন্তুষ্টিতে পরবে? এটা ফিকির করতে হবে। বিষয়গুলি কিন্তু সোজা না।

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَقَضٰى رَبُّكَ اَلَّا تَـعْبُدُوْاۤ اِلَّا اِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا اِمَّا يَـبْـلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِـبَـرَ اَحَدُهُـمَاۤ اَوْ كِلـٰهُـمَا فَلَا تَـقُلْ لَّـهُمَاۤ اُفٍّ وَّلَا تَـنْـهَرْهُـمَا وَقُلْ لَّـهُمَا قَـوْلًا كَرِيْـمًا. وَاخْفِضْ لَـهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْـمَةِ وَقُلْ رَّبِّ ارْحَـمْهُمَا كَمَا رَبَّــيٰـنِـىْ صَغِـيْـرًا

‘তোমাদের যিনি রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক করেছেন- তোমরা মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত-বন্দেগী করো না। আর তোমাদের পিতা-মাতা উনাদের প্রতি ইহসান করবে অর্থাৎ সমস্ত কিছু দিয়ে উনাদের খিদমত করবে। যদি উনাদের মধ্যে দু’জন অথবা দু’জনের মধ্যে একজনকে বৃদ্ধ অথবা বৃদ্ধা বয়সে পাও তাহলে কখনও উনাদের কোনো কাজে উহ্ বল না। আবার এমন কাজ করো না যে, তোমাদের পিতা-মাতা উহ্ বলেন অর্থাৎ অসন্তুষ্ট হন এমন কোনো কাজ করবে না। এটা দুই দিকে অর্থ হয় অর্থাৎ উহ্ বলার সুযোগ দিও না, তুমিও উহ্ বল না। তুমি উনাদের সাথে ধমকের স্বরে কথা বলবে না। قَـوْلًا كَرِيْـمًا  অর্থাৎ অত্যন্ত আদব, শরাফত ও মুহব্বতের সাথে অর্থাৎ জান্নাতী ভাষায় কথা বলবে এবং তুমি তোমার দয়ার হাতগুলি বিছিয়ে দাও অর্থাৎ তুমি অত্যন্ত আদবের সাথে, শরাফতের সাথে, মুহব্বতের সাথে, দয়ার সাথে, ইহসানের সাথে তোমার যত সাধ্য-সামর্থ আছে পুরাটা দিয়ে খিদমত মুবারকের আনজাম দাও। আর তুমি দো‘আ করো- আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! দয়া করুন আমার পিতা-মাতা উনাদেরকে, যেমন উনারা আমার প্রতি ছোটবেলায় দয়া করেছেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, যদি একজন সাধারণ পিতা-মাতার ক্ষেত্রে এরূপ হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা তো হচ্ছেন সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ তামাম কায়িনাতবাসী সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। তাহলে উনাদের প্রতি কতটুকু আদব বজায় রাখতে হবে এবং কতটুকু আদব বজায় রেখে উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ কথা বলতে হবে? উনাদেরকে কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করতে হবে? উনাদের কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিতে হবে? কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতে হবে? এবং উনাদের কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে? সে বিষয় সম্পর্কেই মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়ছেন,

تُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْـرَةً وَّاَصِيْلًا

‘তোমরা উনার (উনাদের) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করো, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল-সন্ধা অর্থাৎ দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী।’ {সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)}

সে প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ اَلثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَةِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ قَالَتْ اَمَا اِنِّـىْ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ لَنْ يَّـحْنُـوَ عَلَيْكُنَّ بَـعْدِىْ اِلَّا الصَّالِـحُوْنَ

‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সমস্ত সৃষ্টি সাবধান হয়ে যাও! সতর্ক হয়ে যাও! নিশ্চয়ই আমি স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমার পরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে একমাত্র শুধু নেককার, ছলিহীন, আল্লাহওয়ালা বান্দা-বান্দী উনারাই উত্তম ব্যবহার মুবারক করবেন।’ {সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম! (মা’রিফাতুছ ছাহাবা, হিলইয়াতুল আউলিয়া)}

উল্লেখ্য যাদের অন্তর গালিজযুক্ত এবং যারা বদ বখ্ত ও বদ নছীব অর্থাৎ যাদের অন্তর নেফাকী ও কুফরীতে পরিপূর্ণ তারা কখনও উনাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করতে পারবে না।

কাজেই সমস্ত জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, তামাম সৃষ্টি সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ এবং হুসনে যন মুবারক পোষণ করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ আদব বজায় রাখা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ন্যায় উনাদেরকেও জীবনের চেয়েও বেশি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারক করা এবং ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করা, উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা। আর এটাই হচ্ছেন হাক্বীক্বী সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। যা পালন করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরযে আইন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একমাত্র হাক্বীক্বী পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম হচ্ছেন- উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানা হযরত উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম! তাই কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী মুহাব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে চায়, তাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন- উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা। সুবহানা হযরত উম্মিল উমাম আলাইহাস সালাম!

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-আহমাদ মারইয়াম বিনতে মানছূর।

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী-রসূল হিসেবে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। উনাদের মুহব্বত মুবারক ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পূর্ণ হয় না

মওযূ ও ছহীহ হাদীছ শরীফ নির্ণয়ের প্রকৃত মানদণ্ড

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরয

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক