ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা হযরত আসমা বিনতু উমাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা

সংখ্যা: ২৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত আসমা বিনতু উমাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আশার (হযরত মাইমূনাহ বিনতে হারিছ) আলাইহাস সালাম উনার বৈপিত্রেয় ভগিনী। সুবহানাল্লাহ

এতদ্ব্যতীত তিনি আরো নয়জন অথবা দশজন ছাহাবিয়া উনাদের বৈপিত্রেয় অথবা আপন বোন ছিলেন, তন্মধ্যে ছয় জনের আপন বোন ছিলেন। (ইছাবা, উসুদুল গাবা)

হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ছিলেন আস-সাবিকূন আল-আউওয়ালূন (প্রাথমিক যুগে দ্বীন ইসলাম গ্রহণকারী) উনাদের অন্তভুর্ক্ত। তিনি যখন দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন তখন মাত্র ৩০ ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া দ্বীন ইসলাম উনার ইতিহাসে আরও একটি দিক হতে তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন, একের পর এক এমন তিন মহান ব্যক্তিত্বের সাথে উনার বিবাহ হয়েছিল যাঁরা ছিলেন শীর্ষ-স্থানীয় ছাহাবী এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যন্ত নৈকট্যপ্রাপ্ত ছাহাবী। উনার প্রথম নিসবাতুল আযীম শরীফ হয় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচাত ভাই হযরত জা’ফর তইয়ার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে। উনার শাহাদাত মুবারকের পর দ্বিতীয় নিসবাতুল আযীম শরীফ হয় সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে। উনার বিছাল শরীফের পর তৃতীয় নিসবাতুল আযীম শরীফ হয় সাইয়্যিদুুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সাথে।

হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি উনার প্রথম আহাল বা স্বামী হযরত জা’ফর তইয়ার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে হাবশায় হিজরত করেছিলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মদীনা শরীফে হিজরত মুবারক করলেন, তখন উনারাও মদীনা শরীফে হিজরত করলেন।

হযরত ইমাম শা’বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, যখন হযরত আসমা বিনতু উমাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি হাবশা থেকে পবিত্র মদীনা শরীফে আগমন করলেন, তখন উনাকে উদ্দেশ্য করে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে হাবশা থেকে আগমনকারিণী! হিজরতে আমরা আপনাদের অগ্রবর্তী হয়েছি। তিনি উত্তর দিলেন, আপনি সত্য বলেছেন। আপনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছিলেন, আপনাদের ক্ষুধার্তদের তিনি খাদ্য দিয়েছেন এবং আপনাদেরকে তিনি তা’লীম মুবারক দিয়েছেন। আর আমরা উনার নিকট থেকে অতি দূরে অবস্থান করেছি। তবে মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! বিষয়টি আমি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করবো। অতঃপর তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট এসে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, লোকেরা একবার হিজরত মুবারক করেছেন, আপনারা দুইবার হিজরত মুবারক করেছেন। অন্য একটি বর্ণনায় আছে, হযরত আসমা বিনতু উমাইস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! লোকেরা মনে করে, আমরা মুহাজির (হিজরতকারী) নই। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, এইরূপ যারা বলে, তারা মিথ্যা বলে। আপনারা দুইবার হিজরত মুবারক করেছেন। আপনারা একবার বাদশাহ নাজ্জাসীর নিকট হিজরত করেছেন, অতঃপর আমার নিকট হিজরত মুবারক করেছেন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)

হাবশা হতে প্রত্যাবর্তনের পরে ৮ম হিজরীতে মুতার জিহাদে উনার সম্মানিত আহাল হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শাহাদাত মুবারক বরণ করেন। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, উনার শাহাদাত মুবারকের দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার গৃহে আগমন করলেন। আমি ৪০টি চামড়া দাবাগাত (চামড়া পাক) করেছিলাম, আটা গুলিয়েছিলাম এবং আমার সন্তানদেরকে গোসল করিয়ে তৈল মাখিয়ে দিই।

অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক রাখেন এবং বললেন, হে আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা! আপনার সন্তানগণ কোথায়? আমি সন্তানদেরকে উনার নিকট নিয়ে গেলাম। তিনি উনাদেরকে উনার পবিত্র নূরুল আযহার বা কোল মুবারকে জড়িয়ে ধরে আদর করলেন, কপালে চুম্বন মুবারক দিলেন। তখন উনার মহাসম্মানিত নূরুল মুনাওওয়ার (চক্ষু) মুবারক হতে মহাসম্মানিত নূরুল মুহব্বত (অশ্রম্ন) মুবারক ঝরতে লাগলেন।

আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আপনার নিকট হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কোন সংবাদ পৌঁছেছে।

তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আজ শাহাদাত মুবারক বরণ করেছেন। ইহা শুনে আমি চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন প্রতিবেশী মহিলারা আমার নিকট এসে উপস্থিত হলেন।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা! মাতম করে কাঁদবেন না, বুক চাপড়াবেন না। অতঃপর তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট তাশরীফ মুবারক রাখলেন।

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি তখন চাচার শাহাদাত মুবারক গ্রহণে নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করছিলেন অর্থাৎ কান্না মুবারক করছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন, হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পরিবারের জন্য খাবার তৈরী করুন। উনারা আজ অত্যন্ত বিষাদক্লিষ্ট। তৃতীয় দিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আবার হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার গৃহে গমন করেন এবং উনাকে ধৈর্য ধারণ করার উপদেশ মুবারক দেন।

হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার শাহাদাত মুবারকের প্রায় ৫ মাস পর ৮ম হিজরীতে পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সাথে বিবাহ দেন। দুই বৎসর পর সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ঔরসে হযরত মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত শরীফ লাভ করেন। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফে গমনকালে যুল হুলাইফা নামক স্থানে উনার বিলাদত শরীফ হয়।

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে তিনি অত্যধিক মুহব্বত করতেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর অর্থাৎ দীদার মুবারকে তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর যখন তিনি অত্যধিক মুহব্বতে গরক হয়ে থাকেন, তখন হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি প্রায় সর্বক্ষণই উনার কাছে থেকে মুবারক খিদমতে আঞ্জাম দিতেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও উনাকে বিশেষভাবে মুহব্বত করতেন।

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি’য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের কিছু পূর্বে তিনি হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে ডেকে এনে বললেন, আমার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর পর্দার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখবেন। কেবলমাত্র আপনি এবং আমার আহাল ব্যতীত আর কারো নিকট হতে যেন আমার গোসল মুবারকে সাহায্য গ্রহণ করা না হয়।

আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পূর্বে ওছীয়ত করেছিলেন যে, উনার আহলিয়া হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি যেন উনাকে গোসল করান। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি যথাযথভাবে উনার নির্দেশ মুবারক পালন করেন।

সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সাথে হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ (নিকাহ মুবারক) অনুষ্ঠিত হয়। হযরত মুহম্মদ বিন আবু বকর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স তখন মাত্র তিন বছর। তিনিও মায়ের সাথে গমন করেন এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার নিকট লালিত পালিত হন। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার ঔরসে ইয়াহইয়া নামে উনার এক পুত্র সন্তান বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন।

হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার দুই সন্তানের নাম ছিল হযরত মুহম্মদ ইবনে জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত মুহম্মদ ইবনে আবী বকর ছিদ্দীক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি। একদিন উনারা দুই ভাই একজন আরেক জনের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করে বলতে থাকেন, আমি আপনার চেয়ে বেশী মর্যাদাবান। আমার পিতা আপনার পিতার চেয়ে বেশী সম্মানিত। অনেকক্ষণ পর্যন্ত উনাদের এই কথাবার্তা চলতে থাকে। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি উনাদের মাতা হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে বললেন, আপনি আপনার আওলাদ উনাদের এ বিষয়ের ফায়ছালা করে দিন। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বললেন, আমি আরব যুবকদের মধ্যে হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চেয়ে উত্তম কাউকে পাইনি। আর বয়স্কদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার অপেক্ষা উত্তম কাউকে দেখিনি। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম বললেন, আপনি আমার বলার আর কিছু রাখলেন না। আপনি যা বলেছেন, তাছাড়া অন্য কিছু বললে আমি অসন্তুষ্ট হতাম। (সিয়ারু আলামিন নুবালা)

হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার তিনজন আহাল উনাদের ঔরসে মোট ৫ জন পুত্র সন্তান বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। প্রথম আহাল হযরত জা’ফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঔরসে তিন সন্তান: উনারা হচ্ছেন হযরত আবদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত মুহম্মদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হযরত আওন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। উনার দ্বিতীয় আহাল সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার ঔরসে হযরত মুহম্মদ ইবনে আবী বকর রহমতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। আর উনার তৃতীয় আহাল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার ঔরস মুবারকে হযরত ইয়াহ্ইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। (উসুদুল গাবা, ইছাবা, তাবাকাত, সিয়ারু আলামিন নুবালা)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম উনাদের অনুসরণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করার তাওফীক দান করুন।

      -তাসনীম আহমদ খান।

মুসলিম পরস্পরের প্রতি হামদরদী থাকা খুবই জরুরী

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা হযরত উম্মে ওয়ারাকা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা

সন্তান সম্ভবা মায়ের ফযীলত

প্রচলিত হারাম রছম করুন বর্জন, পবিত্র দ্বীন পালনেই কামিয়াবী অর্জন