তাফসীরুল কুরআন:

সংখ্যা: ২৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তরজমা: হে মানুষেরা! যিনি তোমাদের মহান রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন (উনার যিনি হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিনি মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং (আমভাবে সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য আর খাছভাবে) মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (আমার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ফদ্বল মুবারক ও মহাসম্মানিত রহমত মুবারক স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সে কারণে তারা যেন অবশ্যই খুশি মুবারক প্রকাশ করে অথার্ৎ এটা উম্মতের জন্য ফরযে আইন। এই খুশি মুবারক প্রকাশ সংক্রান্ত আমল বা ইবাদত হচ্ছে তাদের অথার্ৎ উম্মতের সমস্ত ইবাদত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ইবাদত। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-“হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, একদা তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে হযরত আমির আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার গৃহে উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলেন যে, তিনি উনার সন্তান-সন্ততি এবং আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী, পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ সংক্রান্ত ঘটনা মুবারক সমূহ শুনাচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, এই দিবস; এই দিবস (অর্থাৎ এই দিবসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন এবং ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটনা মুবারক সংঘটিত হয়েছেন)। এতদশ্রবণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুশী মুবারক প্রকাশ করে ইরশাদ মুবারক করেন,“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার রহমত মুবারকের দরজা সমূহ আপনার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন এবং সমস্ত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা আপনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং যে কেউ আপনার মত এরূপ আমল করবে, তিনিও আপনার মত নাজাত (ফযীলত) লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আত তানউয়ীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, মাওলূদুল কাবীর, দুররুল মুনাযযাম, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদিল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইশবাউল কালামি ফী ইছবাতিল মাওলিদি ওয়াল ক্বিয়ামি, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী)

বর্ণিত রয়েছে, শুধুমাত্র হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের আক্বীদা-আমল মুবারকের অনুসারী উম্মতগণই হিদায়েতপ্রাপ্ত এবং জান্নাতী।

আরো বর্ণিত রয়েছে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এক মুদ/অর্ধ মুদ গম বা যব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে হাদিয়া করে যে ফযীলত হাছিল করেছেন পরবতীর্ উম্মত উহূদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করেও সেই ফযীলত হাছিল করতে পারবে না।

কিন্তু উম্মত যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এবং সেই উপলক্ষে এক দিরহাম পরিমাণ খরচ করে তার ফযীলত সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যে ব্যক্তি আমার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনাকে তা’যীম-তাকরীম, ইজ্জত ও সম্মান করবে, ক্বিয়ামতের দিন আমি তার জন্য শাফায়াতকারী হবো। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার পবিত্র বিলাদত শরীফ উপলক্ষে এক দিরহাম খরচ করবে, সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!” (নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ ১৫ পৃ., তালহীনুছ ছাননাজ ৫ পৃষ্ঠা)

তাফসীরুল কুরআন

তাফসীরুল কুরআন

তাফসীরুল কুরআন: কুরআন ও সুন্নাহ’র বিধান অনুসারে চলা প্রত্যেকের জন্য ফরয অন্যথায় পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ-৮

তাফসীরুল কুরআন : কুরআন ও সুন্নাহ’র বিধান অনুসারে চলা প্রত্যেকের জন্য ফরয অন্যথায় পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ-৯

তাফসীরুল কুরআন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল