বাংলাদেশের ধর্মব্যবসায়ীদের মতই- আমেরিকার হিলারী ও ওবামা ধর্মকে হাতিয়ার করেই রাজনৈতিক ফায়দা লূটছে। ‘কে কত বেশী ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসরাইল দরদী’- সেটা প্রমাণই ওদের ধর্মব্যবসার বড় পুঁজি। মিথ্যা, ধোঁকা, সাম্প্রদায়িকতা ও চাতুরীর সংমিশ্রনে ওদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হবার প্রচেষ্টা প্রমাণ করছে যে, কি বাংলাদেশ অথবা গণতন্ত্রের পাদপীঠ আমেরিকা- সবস্থানেই গণতান্ত্রিক নির্বাচন মানেই মিথ্যা প্রচারণা আর অসৎ নীতি তথা নোংরা খেলার সংমিশ্রণ

সংখ্যা: ১৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নটরডেম কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের  ছাত্র নিটোল আহমেদ। তিনি বলেন, এখানকার খ্রীস্টান শিক্ষকদের ‘ফাদার’ না বলে, ‘স্যার’ বললে তারা কথার জবাব দেননা। তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে তাকান। কথায় কথায় বাইবেলের উদ্ধৃতি দেন। পরীক্ষার হলে বাইবেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে গার্ড দেন। বিভিন্ন ক্লাস রুমের সামনে রাখা হয়েছে যীশুর ক্রুশবিদ্ধ সহ নানা খ্রীষ্টীয় মূল্যবোধের মূর্তি।

শুধু বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশেই এরূপ খ্রীস্টানমুখী মনোভাব ও পদাচারনা নয়; খোদ আমেরিকায়ও প্রশাসন, রাজনীতি, অর্থনীতি তথা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও সেরূপ খ্রীস্টীয় চেতনা প্রচারধর্মী ও অগ্রাসনমুখী।

মুখে মুখে ওরা গোটা দুনিয়াকে বহুত্ত্ববাদ, উদার গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সবক দেয়। কিন্তু বাস্তবে মার্কিন সমাজ মূলতঃ খ্রীস্টান মৌলবাদী চেতনা প্রধান্য নির্ভর।

এ বিষয়টি আমেরিকার নির্বাচন ২০০৮ এ অত্যন্ত খোলামেলা ও স্পষ্ট প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিভাত হয়েছে কি ওবামা, কি হিলারী উভয়ের জন্যই কে কত বড় ইসলাম বিদ্বেষী অথবা ইসরাইল দরদী সেটা প্রমাণই তাদের নির্বাচনে জেতার জন্য বড় হাতিয়ার।

পাশাপাশি তৃতীয় বিশ্বের দেশের মতই গণতন্ত্রের পাদপীঠ কথিত আমেরিকায়ও চলছে নির্বাচনের নামে মিথ্যা, ছলনা নোংরা খেলা, সম্প্রদায়িকতা, বর্ণবিদ্বেষ আর ধর্মব্যবসার অবাধ অনুশীলন। অর্থাৎ কি বাংলাদেশ, কি আমেরিকা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের নোংরা খেলাটা এখন সব জায়গায়ই এক ও অভিন্ন বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে।

সম্প্রতি হিলারি ক্লিনটন নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় দাবি করেন, ১৯৯৬ সালে তিনি ফার্স্ট লেডি হিসেবে বসনিয়া সফর করেন। তখন তিনি বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে মেয়ে চেলসিকে নিয়ে দৌড়ে তাদের জন্য অপেক্ষমাণ গাড়ির দিকে ছুটে যান। কারণ গুপ্ত বন্দুকধারীদের হামলার আশঙ্কা ছিল। তাই তারা নিচু হয়ে গাড়ির দিকে দৌড়াচ্ছিলেন।

মিসেস ক্লিনটনের দেয়া ওই বক্তব্যের পরপরই সিবিএস নিউজ বসনিয়া সফরের ওই দিনের ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে। আর তাতে দেখা যায়, ওই দিন হিলারি তার মেয়েকে নিয়ে ধীরালয়ে বিমান থেকে নামছেন। বিমানবন্দরে বসনিয়ার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত  জানাচ্ছেন। সিবিএস ওই ভিডিও সম্প্রচার করার পর থেকে হিলারি এখন সাংবাদিক ও দলীয় নেতা কর্মীদের হাজারো প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। ওই দিন বসনিয়ায় হিলারি সফরসঙ্গী ছিলেন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) আলোকচিত্রী মিলস। তিনিও দাবি করেছেন মিসেস ক্লিনটন যে বর্ণনা দিয়েছেন, সে ধরনের  কোন ঘটনাই ওই দিন ঘটেনি। মিসেস ক্লিনটন যদি নিরাপত্তার জন্য ওই দিন দৌড় দিতেন তাহলে তার একটা ছবি আমরা অবশ্যই তুলে রাখতাম। কারণ এ ধরনের সুযোগ কেউ হারাতে চায় না।

ওই দিন বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন বসনিয়ায় মার্কিন বাহিনীর কমা-ার মেজর জেনারেল উইলিয়াম ন্যাশ। তিনিও হিলারি ক্লিনটনের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতাম সেখানে গুপ্ত বন্দুকধারীর হামলার কোন আশঙ্কা ছিলনা। হিলরিও  বিমান থেকে নামার পর মাথা নিচু করে দৌড়াননি।

নির্বাচনী বৈতরনী পার হবার জন্য হিলারীকে যে অনর্গল মিথ্যা, ছলনা আর ধোকার আশ্রয় নিতে হচ্ছে এটি তার একটি উদাহরণ মাত্র।

অপরদিকে আমেরিকার নির্বাচনে বর্ণবাদ তথা সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব কত বেশি সে প্রসঙ্গে বলতে হয়: ডেমোক্রেটিক পার্টির জটিল মনোনয়ন-নাটকে মাত্র ৩৩ ডেলিগেটের (দলীয় প্রতিনিধি) অঙ্গরাজ্য মিসিসিপির বাছাই নির্বাচনও এবার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলো। প্রাক-নির্বাচনী জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা বারাক ওবামা সহজেই হিলারিকে হারিয়েছেন। কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের প্রায় সব ভোটই তিনি পেয়েছেন।

প্রভাবশালী ডেমোক্র্যাট জেরালডাইন ফেরারো মন্তব্য করেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ না হলে বারাক ওবামা আজকের অবস্থানে যেতে পারতেন না। ১৯৮৪ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে ফেরারো ভাইস প্রিসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের উদ্দীপনা ও ব্যাপক ভোটদান ব্যতিরেকে ডেমোক্রেটিক প্রেসডেন্ট নির্বাচনী দৌড়ে বারাক ওবামার অগ্রগামী হওয়া সম্ভব হবে না।

কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের ভোট দক্ষিণ ক্যারেলিনায়ায় তার বিজয়ে ফিরে আসার মূল শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।

অপরদিকে স্বেতাঙ্গ প্রধান ওহিওত হিলারি প্রতি ৩ জন শ্বেতাঙ্গ ভোটারের মধ্যে ২টির মতো ভোট ও টেক্সাসে ৫৬ভাগ শ্বেতাাঙ্গ ভোট পেয়েছেন। সেখানে তিনি ল্যাটিন জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভালো ফলাফল করেছেন।

মিসিসিপিতে ওবামার পক্ষে কৃষ্ণাঙ্গদের ভোট আর ওহিওতে হিলারীর পক্ষে শ্বেতাঙ্গদের ভোট একালে আমেরিকায় বর্নবাদের বড় উদাহরণ। তবে এ তথ্য সব স্থানেই একই রকম।

প্রাপ্ত তথ্য মতে  সাদা-কালোর বিবেচনায় শ্বেতাঙ্গ ডেমোক্র্যাটদের ৫৯ শতাংশ হিলারির এবং মাত্র ৩৪ শতাংশ ওবামার পক্ষ নিয়েছেন। একইভাবে কৃষ্ণাঙ্গ ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ ওবামার এবং মাত্র ১১ শতাংশ হিলারি পক্ষ নিয়েছে।

উল্লেখ্য এখনো পুরো নির্বাচন নয় শুধুমাত্র নিজ দল ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন লাভের জন্য সিনেটর হিলারি ক্লিনটন ও সিনেটর বারাক ওবামা বিভিন্ন বিষয়ে যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন তাতে বেশ অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির উর্ধ্বতন নেতারা।

হিলারী-ওবামার ব্যক্তিগত রেষারেষি, অসংলগ্ন কথাবর্তা, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ দলের ভাবমূর্তিতে ফাটল ধরাতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তারা। তাই দলের স্বার্থে, ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে হিলারি ও ওবামাকে বিরত রাখার জন্য শেষ পর্যন্ত  মুখ খুলতে হয় পার্টি প্রধান হাওয়ার্ড ডিনকে।

সিবিএস টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিন পরিস্কার ভাষায় বলেন, হিলারি ও ওবামার উচিত একে অন্যকে আক্রমণ না করে সিনেটর জন ম্যাককেইনের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। তার সমালোচনার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া। পররাষ্ট্র নীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে ম্যাককেইনের যাবতীয় নীতি-আদর্শের দুর্বলতা জনসম্মুখে তুলে ধরা। হিলারি ও ওবামার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,তাদের দৃষ্টিকে আরও প্রসারিত করতে হবে। মনকে করতে হবে বড়।

অর্থাৎ ওবামা এবং হিলারীর আক্রমন পাল্টা আক্রমন, বাংলাদেশের হাসিনা-খালেদা অথবা দেলোয়ার-সাইফুরের যুদ্ধের মাঝে কোনই ফারাক নেই।

 মূলতঃ গণতন্ত্রের আবহই এমন ধারা। ক্ষমতার লোভ ও কোন্দলে এখানে সবাই হয় স্বার্থবাদ ও নীতিহীন এবং কোন্দল ও কলহপ্রিয়। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ক্ষমতার লড়াইয়ে কারো মন কখনো বড় হয়না হতে পারে না। ওবামা ও হিলারী তার বড় উদাহারণ।

তবে একটা বিষয়ে হিলারী ও ওবামা দু’জনের মধ্যেই অদ্ভূত ও আশ্চর্য রকমের মিল রয়েছে। সেটা হল- নিজেদেরকে কে কত বেশী ইসলাম বিদ্বেষী ও ইসরাইল দরদী প্রমাণ করতে পারে?

প্রসঙ্গতঃ নিয়ইয়র্ক থেকে নিউজ ওয়ার্ল্ড জানায়: ইসলাম ধর্মের সাথে সম্পৃক্ততার গুজব নিয়ে নতুন বিতর্ক ও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির ফ্রন্ট রানার বরাক ওবামা।

বরাক ওবামা বার বার নিজেকে একজন একনিষ্ট খ্রিস্টান দাবি করলেও অতি সম্প্রতি তার মধ্য নাম হোসেন নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত করেন রিপাবলিকান প্রার্থী জনম্যাকেইনের ঘোর সমর্থক বিশিষ্ট রেডিও টক’শো ইস্ট বিল কানিংহাম। ওহিয়ো অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটিতে ম্যাককেইনের এক সভায় তিনি ওবামার মধ্য নাম হোসেনকে বার বার উচ্চারণ করে এর সাথে ইসলামের সম্পর্ক তুলে ধরেন।

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের শেষ নামের সাথেও তিনি মিল দেখান ওবামার। এনিয়ে তুমুল বিতর্কের প্রেক্ষিতে জন ম্যাককেইন প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেন ওবামার কাছে। এর আগে নিজ বাবার দেশ ক্যানিয়াতে বেড়াতে গিয়ে মাথায় পাগড়ি পরে তিনি আবার বিতর্কের শিরোনাম হন। মুসলিম বিদ্বেষীরা এটাকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে ওবামার বিরুদ্ধে।

ওবামা এটাকে হিলারি ক্লিনটনের অপপ্রচারণার নজির বলে বর্ণনা করেছে। ওবামা প্রকাশ্য বলেছেন, তার দাদা ছিলেন একজন খ্রিস্টান। পরে তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। আর মুসলিম হলেও ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন ছলেন বলে তার বাবা।

সম্ভাব্য বিপদের কথা আঁচ করতে পেরে গত বিতর্কে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ মুসলিম নেতা লুইস ফারাহ খানের সমর্থনের বিষয়টিও প্রত্যাখান করেছেন। বরাক ওবামা বলেন, লুইস ফারাহ খান ইহুদীদের বিরুদ্ধে যে সব মন্তব্য করেছেন তা বর্ণবিদ্বেষী। এটাকে কোনভাবেই আমি মানতে পারি না।

সম্প্রতি ওহিয়োতে ইহুদী নেতাদের সাথে এক গোপন বৈঠকে বরাক বলেন, ইসলাম ধর্মের সাথে আমার সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথাই উঠছে।কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমি কখনো মুসলিম ছিলাম না।

এবিষয় আঁচ করতে পেরে ওবামার ওয়েব সাইটে ইতোমধ্যেই তার ধর্মবিশ্বাসের উপর আলাদা একটি সাইট খোলা হয়েছে সবাইকে অবহিত করার জন্য। এছাড়া বিভন্ন চার্চে ওবামার বিশ্বাস নিয়ে বিলি করা হচ্ছে লিফলেট।

ওবামার মুখপাত্র বিল বার্টন বলেছেন, সবই আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ওবামার বিশ্বাস নিয়ে যাতে কেউ পানি ঘোলা করতে না পারে তার সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক দিক থেকে ইসলাম ধর্মের ওবামার সাথে সম্পর্ক অস্বীকার করা যাবে না। তার মা ছিলেন ক্যান্সাসের একজন শ্বেতাঙ্গ মহিলা। বাবা ছিলেন কেনিয়ান। মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়াতে তিনি শিশুকাল অতিবাহিত করেছেন।

এক সাক্ষাতকারে ওবামা বলেন, আমার বাবা কখনো ধর্ম অনুশীলন করেননি। তিনি ছিলেন একজন নাস্তিক। তবে নাম ও ইন্দোনেশিয়াতে মা’র সাথে চার বছর অবস্থান ছাড়া ইসলামের সাথে কোন সম্পর্ক নেই আমার।

ই-মেইলে আরেকটি মহল বলেছে, ওবামা যখন ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ছিলেন তখন মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছেন। এ বিষয়ক ব্যাখ্যায় ওবামার নির্বাচনী প্রচারণা কমিটি বলেছে, তার বয়স যখন ৬ তখন মা সৎ বাবার সাথে তিনি ইন্দোনেশিয়াতে ৪ বছর ছিলেন। ১০ বছর বয়সে তিনি ফিরে আসেন হাওয়াই। এ সময় সেখানে অবস্থান করেন নানা নানীদের সাথে।

আর জাকার্তায় যে স্কুলে তিনি লেখাপড়া করেছেন সেটি ছিলো একটি সাধারণ স্কুল। সেখানে মুসলিম ছাড়াও খ্রিস্টানরাও পড়াশুনা করে। সুতরাং মাদ্রাসায় পড়ার বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা।”

অপরদিকে হিলারী ক্লিনটন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে এবং ইরান ইসরায়েলে পরমাণু হামলা চালালে তিনি ইরানকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। এবিসি টেলিভিশনের গুড মর্নিং আমেরিকা অনুষ্ঠানে হিলারি বলেন, ইরানবাসী জেনে রাখন, আমি প্রেসিডেন্ট হলে ইরান আক্রমণ করবে। খবর বিসিসি ও রয়টার্স অনলাইনের।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা হিলারি বলেন, ‘আগামী ১০ বছরে ইরান হয়তো ইসরায়েলে পারমাণবিক হামলা চালানোর মতো বোকামি করতে পারে। যদি তারা তা করে তাহলে আমরা ইরানকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।

এদিকে এবিসি টেলিভিশনকে আলাদা এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন,  ইসরাইল বা অন্য কোন মিত্র দেশে ইরান হামলা চালালে তিনি দ্রুত ও জোরালো’ ব্যবস্থা নেবনে।”

উল্লেখ্য ডেমোক্র্যাট দলের দুই মনোয়ন প্রত্যাশীর ইসরাইল প্রীতি ক্রমশ প্রকট হয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। পাশাপাশি কথিত মুসলিম দেশে ইরানের প্রতি তাদের বৈরিতাও স্পষ্ট হচ্ছে। তারা দু’জনই ইসরাইলের ওপর ইরানের সম্ভাব্য পরমাণু হামলার ব্যাপারে কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।

মূলতঃ এদেশের মৌলবাদীরা যেমন ইসলামের নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ভোট চায়; ধর্মের নামে সহানুভূতি চায়, ধর্মের দরদী সেজে প্রলুদ্ধ করতে আমেরিকায় ওবামা-হিলারীও তাই করছে।

ভারত বিরোধিতার ভান করে যেমন এদেশের রাজনৈতিক প্রচারণা চালনা হয়; আমেরিকায়ও ইসলাম ও মুসলিম দেশ আক্রমণের কথা বলে নির্বাচনী ভিত তৈরী করা হচ্ছে।

আবার হিন্দুদের ভোট ব্যাঙ্ক দখলের জন্য এদেশে যেমন পায়তারা চলে, আমেরিকায়ও ইসরাইলের স্বার্থ সংরক্ষণের কথা বলে- হিলারী, ওবামা উভয়পক্ষই আমেরিকার ইহুদি লীবকে নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে চাইছে।

এর দ্বারা মূলত মুজাদ্দিদে আ’যম-এর সেই ক্বওল শরীফই আরো স্পষ্ট হয়, অনুধাবন করা সহজ হয়ঃ “ আমেরিকাকে কব্জা করে রেখেছে, চালাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ করছে ইহুদি লবি। তারাই খ্রীস্টান তথা আমেরিকার মাধ্যমে বিভিন্ন মুসলিম দেশে একের পর এক নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।”

অর্থাৎ আমেরিকার মূল ও ভিতরগত এবং চালিকা শক্তি ইহুদীরাই। যে কারণেই হিলারী ও ওবামা দুজনেই ইহুদীদের  সন্তুষ্ট করতে এত সচেষ্ট। ইসরাইলকে রক্ষা করতে এত সক্রিয়।

মূলতঃ ইহুদীদের এত গভীর ও বিস্তৃত ষড়যন্ত্র সম্পর্কে মুসলমান বড়ই বেখবর। অথচ কোরআন শরীফেই ইরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয় ইহুদীরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু।” (নাঊযুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিলআলুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৪৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-১৮

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৪৯

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাউসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী