ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৭

সংখ্যা: ১৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুহম্মদ সাদী

আজমীর শরীফে চীশ্তিয়া তরীক্বার ইমাম, কুতুবুল আক্তাব, সুল্তানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ, হযরত খাজা সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চীশ্তি রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপন/অনুপম কারামত-এর বহিঃপ্রকাশ

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ফখ্রুল আওলিয়া, লিসানুল হক্ব, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি আজমীর শরীফ থেকে দেশে ফিরে এলেন। অবশেষে তিনি ঢাকাস্থ ৫নং আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফে তাঁর বাসায় পৌঁছলেন। বেশ কিছুদিন পর সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময় হলো। মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী- এর সঙ্গেও  সাক্ষাৎ হলো। যে মুবারক আওলাদকে কেন্দ্র করে কামিয়াবীর শীর্ষ ধাপে যোগ হয়েছে নবতর মাত্রা এবং অন্তরে জমে উঠেছে মধুর অনুভূতি, তা’ প্রকাশের কী ব্যাকুলতা! কিন্তু কুশল বিনিময় ছাড়া বলা গেলোনা তেমন কিছুই। নির্বাক পিতা-আওলাদের অতলান্ত ভাব বিনিময়ে কেবল পরিতৃপ্তির পরম প্রশান্তি। বুযুর্গ পিতার জন্য মুজাদ্দিদে আ’যম-এর এবং মুজাদ্দিদে আ’যম-এর জন্য বুযুর্গ পিতার অতুলনীয় কামিয়াবী আল্লাহ পাক-এর মহান দান এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, মাশুকে মাওলা, রউফুর রহীম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ বখ্শিশ।

নৈকট্যপ্রাপ্ত ওলীআল্লাহগণের শীর্ষ মাক্বামতের নির্যাস তাঁদের মুবারক জীবনাচরণের সামগ্রিকতায় আবশ্যিকভাবে সম্পৃক্ত থাকলেও তার প্রচ্ছন্ন প্রকাশমানতা সাধারণের দৃষ্টিগোচর হয় না। প্রাপ্ত নিয়ামতের প্রতিভাস অলক্ষ্যে থাকায় মাহবুব ওলীগণের সাথে সীমাহীন ব্যবধান সাধারণ মানুষ খুঁজে পায় না। দুনিয়ায় ওলীআল্লাহগণের বিরোধিতা এবং যখন-তখন তাঁদের কারামত দেখতে চাওয়ার এটি মূল কারণ। ছাহিবে কাশ্ফ ওয়া কারামত, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ক্ষেত্রেও তাঁর মাক্বামের সূক্ষ্ম নির্যাস অন্তরালেই থেকে যায়। এ কারণে তাঁর অসংখ্য লক্ববের মধ্যে “ছূফীয়ে বাতিন” এবং ছাহিবে “ইসমে আ’যম” অন্যতম।

কেবল ওলীআল্লাহগণেরই নয়। নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের প্রতি ঈমান না আনার মূল কারণই হলো তাঁদের মান, শান, মর্যাদা এবং ওহী’র গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপলব্ধিতে কাফিরদের অযোগ্যতা ও অক্ষমতা। যে কারণে ছাহিবে ওহী ওয়াল কুরআন, রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একান্ত কাছে পেয়ে এবং তাঁর মুবারক জীবনাচরণ প্রত্যক্ষ করেও অনুপলব্ধির কারণে কাফিররা বিস্মিত হয়েছে এবং রিসালতের প্রতি অসত্যারোপ করেছে।

এ বিষয়ে আল্লাহ পাক বলেনঃ

وَقَالُوْا مَالِ هٰذَا الرَّسُوْلِ يَاكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِىْ فِى الْاسْوَاقِ لَوْلَاۤ انْزِلَ الَيْهِ  مَلَكٌ فَيَكُوْنَ مَعَهٗ نَذِيْرًا ۝

অর্থঃ “তারা বলে, ইনি কেমন রসূল! যিনি খাদ্য খান এবং বাজারে গমন করেন? তাঁর সাথে কেন ফেরেশ্্তা নাযিল করা হলোনা, যাতে তাঁর সাথে সতর্ককারী হয়ে থাকতো”? (সূরা আল ফুরক্বান-৩৭)

সূক্ষ্মদর্শী ওলীআল্লাহগণের মর্যাদা ও মর্তবাই তো মানুষ জানে না। নবী-রসূল আলাইহিমুস্সালামগণের, বিশেষতঃ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সীমাহীন মান, শান, বুযুর্গী ও সম্মান মানুষ বুঝবে কী করে?

অন্য কেউ না জানলেও কিশোর মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বুযুর্গ পিতার মাক্বাম সম্পর্কে সম্যক অবহিত। বয়স মুবারক কৈশোরে থাকলেও মূলতঃ তিনি মাদারজাদ ওলীআল্লাহ। তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ক্বায়িম মক্বাম। তিনি খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ। তিনি আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয়তম হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ। জন্মসূত্রেই মহান আল্লাহ পাক তাঁর ভেতর মুজাদ্দিদে আ’যমসূলভ মানস তৈরী করে দিয়েছেন। বয়স মুবারকের ব্যবধানের প্রশ্ন তাই অবান্তর।

বলা হয়ঃ

الـمجدد مجددا ولو كان صبيا

অর্থঃ “একজন মুজাদ্দিদ মূলতঃই মুজাদ্দিদ, যদিও তিনি শিশু হয়ে থাকেন।” পারস্পরিক অনুভব ও উপলব্ধির গভীরতায় বুযুর্গ পিতাকে প্রত্যক্ষ করে কিশোর মুজাদ্দিদে আ’যম-এর মুজাদ্দিদিয়াতের ভিত্ মজবুত হয়। একইভাবে মুজাদ্দিদে আ’যম আওলাদের মাক্বাম প্রত্যক্ষ করে বুযুর্গ পিতার মাক্বামতের প্রবৃদ্ধি ঘটে। নিয়ামত লেনদেনে উভয়ের কী অনিঃশেষ মুয়ামিলা!

আজমীর শরীফ থেকে বহন করে আনা পাগড়ী মুবারক ওলীয়ে মাদারজাদ, গরীবে নেওয়াজ, ফখ্রুল আওলিয়া, কুতুবুয্যামান, আওলাদে রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর প্রাণ প্রিয়তম আওলাদ, মুজাদ্দিদে আ’যমকে এখন দিতে মনস্থ করলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে অবস্থানকারী প্রিয়তম আওলাদকে ফযীলতপূর্ণ পাগড়ী মুবারকের ঘটনা তিনি সবিস্তারে জানালেন। (চলবে)

একজন কুতুবুয যামান উনার দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৬ -মুহম্মদ সাদী

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম  উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৮

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৮

ইমামুল মুসলিমীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন, হাকিমুল হাদীছ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ ইমামে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-৮৪ (বিলাদাত শরীফ- ৮০ হিজরী, বিছাল শরীফ- ১৫০ হিজরী) ইমাম আবূ ইউসূফ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬৭ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)