ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৫

সংখ্যা: ১৭৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

হাক্বীক্বত এরা আবু লাহাবেরই উত্তরসূরী, আবু লাহাবের দোসর। আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান এদের পছন্দ হয় না। সে জন্য তারা বিরুদ্ধে বলে থাকে। এদের অন্তরে নিফাকী রয়েছে, কুফরী রয়েছে। এরা যদি ইস্তিগ্ফার-তওবাহ না করে, তাহলে কস্মিনকালেও এরা নাযাত পাবে না। এরকম আরো হাজারো মিছাল রয়েছে হাদীছ শরীফে, কুরআন শরীফে।

হাদীছ শরীফে রমাদ্বান শরীফের অনেক ফযীলত রয়েছে। আল্লাহ পাক-এর হাবীব ইরশাদ করেন,

اكرموا شهر الله رمضان من اكرم شهر الله رمضان اكرم الله باجنة ونجاه من النار.

আল্লাহ পাক-এর হাবীব ইরশাদ করেন, “তোমরা রমাদ্বান শরীফকে সম্মান কর। যে রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করল, আল্লাহ পাক তাকে সম্মানিত করবেন জান্নাত দিয়ে, জাহান্নাম থেকে পানাহ দিয়ে।” সুবহানাল্লাহ।

এখন এটা হাদীছ শরীফে রয়েছে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর ক্বওল শরীফ। এর ব্যাখ্যায় আমরা দেখতে পাই, এক ইহুদী মহিলা সে যে এলাকায় থাকতো সে এলাকায় একজন আল্লাহ পাক-এর ওলী থাকতেন। ওলীর প্রতিবেশী হিসেবে একজন মহিলা বসবাস করতো। ইহুদী মহিলা ইন্তিকাল করল। ইন্তিকাল করার পর সেই আল্লাহ পাক-এর ওলী স্বপ্নে দেখতে লাগলেন সেই ইহুদী মহিলাকে। তিনি দেখতে লাগলেন, ইহুদী মহিলা জান্নাতের মধ্যে বিচরণ করতেছে। (সুবহানাল্লাহ)।

তিনি দেখে আশ্চর্য হলেন ও জিজ্ঞাসা করলেন, হে ইহুদী মহিলা! তুমি কি করে জান্নাতে গেলে? কারণ ইসলাম আসার পরে সমস্ত ধর্মগুলো বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলাম আসার পরে অন্য কোন ধর্ম যদি কেউ গ্রহণ করে আল্লাহ পাক সেটা কবুল করবেন না। সে ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে।

আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলে দিয়েছেন, ইসলাম আসার পরে সমস্ত ধর্মগুলোকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-

هو الذى ارسل رسوله بالهدى ودين الحق ليظهره على الدين كله وكفى بالله شهيدا.

“আল্লাহ পাক উনার হাবীবকে হিদায়েত ও সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। প্রত্যেকটা ধর্মের উপর দ্বীন ইসলামকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থাৎ পিছনের ওহী দ্বারা নাযিলকৃত সমস্ত দ্বীনগুলোকে এবং পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মানব রচিত সমস্ত মতবাদ ও ধর্মগুলোকে বাতিল ঘোষণা করে ইসলামকে দিয়ে আল্লাহ পাক আল্লাহ পাক-এর হাবীবকে পাঠিয়েছেন। এটার জন্য আল্লাহ পাক-এর সাক্ষীই এ বিষয়ে যথেষ্ট।”

وكفى بالله شهيدا.

আল্লাহ পাক সাক্ষী দিচ্ছেন যে, ইসলাম যখন এসেছে পিছনের ওহী দ্বারা নাযিলকৃত সমস্ত ধর্মগুলোকে বাতিল ঘোষণা করা হলো আর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী মানব রচিত সমস্ত মতবাদগুলি রদ করে দেয়া হলো। ইসলাম আসার পর কেউ অন্য কোন ধর্ম বা মতবাদ লালন-পালন করলে, সে জান্নাতে কস্মিনকালেও যেতে পারবে না। সে চির জাহান্নামী হয়ে যাবে।

অথচ ইহুদী মহিলাকে যখন সেই আল্লাহ পাক-এর ওলী জান্নাতে দেখলেন। তিনি বললেন, হে ইহুদী মহিলা! তুমি কি করে জান্নাতে গেলে? তুমি তো ইহুদী ছিলে? মহিলা বলল, হে আল্লাহ পাক-এর ওলী! আমার জীবনের শেষ প্রান্তে যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনার কারণে আমি আজকে জান্নাতে এসেছি।

কি ঘটনা ঘটেছে? আমার ইন্তিকালের পূর্বে যে রমাদ্বান শরীফ এসেছিল সেই রমাদ্বান শরীফে আমি আমার কোলের বাচ্চাকে নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে যাওয়ার পর আমি তাকে খাবারের জন্য কিছু রুটি-বিস্কুট কিনে দিয়েছিলাম তার হাতে। সেটা সে নিয়ে প্রকাশ্যে বাজারে রমাদ্বান শরীফে খাওয়া শুরু করেছিল। আমি তার মুখ থেকে খাবারটা টেনে নিলাম এবং তাকে আস্তে করে একটা থাপ্পর দিয়ে বলেছিলাম, হে ছেলে! এটা রমাদ্বান শরীফের মাস, মুসলমানদের সম্মানিত মাস। এ মাসকে তা’যীম-তাকরীম করতে হয়, ইজ্জত-সম্মান করতে হয় শুধু এতটুকুই কাজ আমি করেছিলাম, অর্থাৎ রমাদ্বান শরীফকে ইজ্জত করেছিলাম,  সম্মান দিয়েছিলাম। এর ওসীলায় আল্লাহ পাক আমাকে মৃত্যুর পূর্বেই ঈমান দিয়েছেন এবং মৃত্যুর সময় ঈমানের সহিত মৃত্যু দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে আজকে আমি জান্নাতে এসে পৌঁছেছি। সুবহানাল্লাহ।

এখন একটা ইহুদী মহিলা, রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করেছে। তাহলে মুসলমানরা কি সম্মান করবে না। এখন কি তাহলে সমস্ত মুসলমানরা রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম-তাকরীম আর করবে না। তার ইহানত করবে। নাউযুবিল্লাহ।

এখন একটা ইহুদী রমাদ্বান শরীফকে সম্মান করে জান্নাতে যেতে পারে। জাহান্নামী যদি জান্নাতী হয়ে যায়। তাহলে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর যে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ, সোমবার শরীফকে যদি কেউ সম্মান করে সে কতটুকু জান্নাতী হবে। বরং কাফির হলেও জান্নাতী হয়ে যাবে যদি হাক্বীক্বী সম্মান করে। ঈমানদার হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ।

কাজেই, যারা বলে থাকে, আবু লাহাব তো সম্মান করেছে তাহলে আমরা মুসলমানরা কিরূপে করবো? মূলত সে আবু লাহাবের অন্তর্ভূক্ত। সেও কাট্টা কাফিরের অন্তর্ভূক্ত । আবু লাহাব আবু লাহাব হিসেবে করেছে। আমরাতো আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর উম্মত হিসেবে করব। যে যে হিসেবে করবে সে সে হিসেবে ফযীলত লাভ করবে। ইহুদী মহিলা রামাদ্বান শরীফকে তা’যীম করে ঈমান লাভ করল এবং জান্নাতও লাভ করল।

ঠিক একইভাবে আমরা দেখতে পাই, হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেছেন যে, বছরার বাজারে একদিন দেখতে পেলাম একটা মহিলাকে। সে একটা কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছিল। এক ইহুদী মহিলা কুকুরকে রুটি খাওয়াচ্ছিল। তখন হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, হে ইহুদী মহিলা! তোমারতো ঈমান নেই, কাজেই তুমি কুকুরকে রুটি খাওয়ালে তোমার কি ফায়দা হবে? ইহুদী মহিলা বলেছিল, হে আল্লাহ পাক-এর ওলী! অন্তরের খবর আল্লাহ পাক জানেন।

আল্লাহ পাক হচ্ছেন

عليم بذات الصدور.

“অন্তরের অন্তঃস্থলের খবর আল্লাহ পাক জানেন।” এতটুকুই শেষ হয়ে গেল কথা। হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, আমি হজ্জে চলে গেলাম। হজ্জে চলে যাওয়ার পর হজ্জ সমাধা করলেন। যখন তিনি ফিরে আসবেন কা’বা শরীফ শেষ তাওয়াফ করে তিনি চলে আসবেন। তখন সেখানে গিয়ে দেখতে পেলেন এক আল্লাহ পাক-এর  বান্দী, সেখানে সিজদায় গিয়ে আল্লাহ পাককে ডাকতেছেন। তবে তার আওয়াজটা মনে হচ্ছে পরিচিত। তিনি লক্ষ্য করলেন, সে সময় সেই মহিলা মাথা উত্তোলন করে হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দেখে বলল, হে হযরত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি কি আমাকে চিনতে পেরেছেন? তিনি বললেন, তুমি কে?  সে বলল, আমিতো সেই মহিলা যে বছরার বাজারে কুকুরকে রুটি খাওয়ায়েছিলাম। আপনি বলেছিলেন, তুমি তো ঈমান আননি। কুকুরকে তোমার রুটি খাওয়ায়ে কি লাভ হবে? এই দান করে তোমার কি ফায়দা হবে? আমি বলেছিলাম, আল্লাহ পাক

عليم بذات الصدور.

“আল্লাহ পাক তো অন্তরের অন্তঃস্থলের খবর জানেন।” তখন সে মহিলা বললো, আল্লাহ পাক-এর ওলী! আমি যে দান করেছি, সে ওসীলায় আল্লাহ পাক আমাকে ঈমান দিয়েছেন এবং শেষ পর্যন্ত আমাকে এই কা’বা শরীফে পৌঁছার তাওফিক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ।

এখন একজন কাফির ইহুদী মহিলা দান করে সে মুসলমান হয়ে গেল। মক্কা শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার সে সুযোগ পেল। এখন দানের তো অনেক ফযীলত রয়েছে।

হাদীছ শরীফে রয়েছে,

السخى حبيب الله وفى رواية اخرى الكريم حبيب الله واو كان فاسقا والبخيل عدو الله ولو كان عابدا.

“দানশীলতো আল্লাহ পাক-এর বন্ধু, যদিও সে ফাসিক হোক না কেন। আর বখীল ব্যক্তি আল্লাহ পাক-এর শত্রু যদিও সে আবিদ হোক না কেন।”

এখন দান করে একজন ইহুদী ব্যক্তি ঈমানদার হয়ে গেল। এই দানের ওসীলায়। তাহলে কি মুসলমানরা দান করবে না? সব দান করা বন্ধ করে দিবে? যদি মুসলমানরা দান করা বন্ধ করে তাহলে তাদের ঈমানও নষ্ট হবে। হক্ব থেকে তারা চ্যুত হয়ে যাবে।

কাজেই, যারা ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটা পালন করার ব্যাপারে চু-চেরা ক্বীল-ক্বাল করে থাকে, প্রকৃতপক্ষে এদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। এদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। ইহুদী রমাদ্বান শরীফকে তা’যীম করে জান্নাত পেল। দান-খয়রাত করে সে ঈমান পেল। তাহলে ইহুদী ব্যক্তি যদি সেটা করে ইজ্জত-সম্মান লাভ করতে পারে তাহলে মুসলমানরা সেটা করলে তারা আরো বেশি ফযীলত লাভ করতে পারবে।

এখন ইহুদী করেছে বলে মুসলমানরা সেটা করা ছেড়ে দেয় তাহলে তারা ঈমানদার থাকতে পারবে না।

ঠিক আমরা একইভাবে দেখতে পাই ,

عاشوراء من المحرم  (আশুরা মিনাল মুর্হরম)

এ সম্পর্কে আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেছেন,

اكرموا عاشوراء من المحرم من اكرم عاشوراء من المحرم اكرمه الله تعالى بالجنة ونجاه من النار.

“তোমরা মুহররম-এর আশুরাকে সম্মান কর। যে আশুরাকে সম্মান করলো আল্লাহ পাক তাকে সম্মানিত করবেন জান্নাত দিয়ে, জাহান্নাম থেকে পানাহ দিয়ে।” (সুবহানাল্লাহ)

হাদীছ শরীফে আরো বর্ণিত রয়েছে,

من وسع على عياله فى النفقة يوم عشوراء  وسع الله عليه سائر سنته.

“আল্লাহ পাক-এর হাবীব বলেন, আশুরার দিন যে ভালো খাদ্য খাবে, তার পরিবারবর্গকে তার সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো খাদ্য খাওয়াবে সে এক বছরের জন্য সচ্ছলতা লাভ করবে।” (সুবহানাল্লাহ)

ইসলামে কিন্তু নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ, পহেলা জানুয়ারী, পহেলা মুহররম-এর কোন গুরুত্ব নেই। নববর্ষ পালন করা হচ্ছে শিরক, মজুসীদের প্রথা। যেটা আমাদের আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতে ফতওয়া দেয়া হয়েছে, নববর্ষ উপলক্ষ্যে কেউ খুশি প্রকাশ করলে, সেটা পালন করলে সে মুশরিক হবে। তার পঞ্চাশ বছরের জিন্দিগীর যদি নেকি থেকেও থাকে সে যদি নববর্ষ উপলক্ষ্যে একটা ডিমও দান করে তার সমস্ত জিন্দিগীর সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে সে কাফিরে পরিণত হবে। (নাউযুবিল্লাহ)।

ইসলাম নববর্ষ বা বৎসরের পহেলা দিনকে আলাদাভাবে কোন ফযীলত দেয়নি। ‘নওরোজ’ মজুসী যারা, যারা অগ্নি উপাসক তারা নওরোজকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এজন্য মুসলমানদের জন্য সেটাকে প্রাধান্য দেয়া নিষেধ।

অথচ আজকে দেখা যায়, আমাদের দেশে বিদেশে কিছু মাওলানা রয়েছে যারা ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিরুদ্ধে বলে, তারাই আবার নওরোজ পালন করে থাকে। (নাউযুবিল্লাহ) এরাতো শুধু ঈমানহারা হয়নি চরম মুনাফিক হয়েছে এবং কাট্টা কাফিরের অন্তর্ভূক্ত এরা হয়ে গেছে।

সেটাই বলা হয়েছে, আশুরার দিন কেউ যদি তার সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী তার পরিবাবর্গকে খাদ্য খাওয়ায় তাহলে সে কি হবে? আল্লাহ পাক তাকে এক বৎসরের স্বচ্ছলতা দান করবেন। আর আশুরাকে সম্মান করার কারণে তাকে আল্লাহ পাক নাযাত দিয়ে দিবেন।

এ প্রসঙ্গে বর্ণিত রয়েছে কিতাবে একটা ওয়াকিয়া। সেটা হচ্ছে, একজন গরীব আলিম ছাহেব ছিলেন অসুস্থ, দূর্বল। তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন আশুরা এসে গেছে। আশুরার দিন কমপক্ষে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারলে আল্লাহ পাক হয়তো আমাকে এক বৎসর সচ্ছলতা দান করবেন। সেটা চিন্তা ফিকির করে সেই আলিম ছাহেব সেই এলাকায় যে কাজী ছাহেব ছিলো সেই কাজী ছাহেবের কাছে গেলেন। যেয়ে কাজী ছাহেবকে খুলে বললেন, আমি অসুস্থ, আমার টাকা-পয়সা নেই, কাজ করার ক্ষমতা নেই, আল-আওলাদ তেমন নেই যে কাজ করবে। এখন কঠিন অভাবে আমি রয়েছি, আমাকে দয়া করে কিছু সাহায্য করুন। কাজী ছাহেব সম্পদশালী ছিল। তখন কাজী ছাহেব সেই আলিম ছাহেবকে বলল, ঠিক আছে আপনি পরে আসুন অর্থাৎ যুহরে আসুন। যুহরের সময় যখন সাক্ষাত করলেন বলল, আছরে আসুন। আছরের সময় যখন সাক্ষাত করলেন বলল, রাত্রে আসুন। সেই বৃদ্ধ আলিম যয়ীফ ও অসুস্থ ব্যক্তি, বারবার সেটা শুনে যেতে থাকলেন আর তার বাড়িতে বলে যেতে থাকলেন যে, আমি এখনই খাবার নিয়ে আসতেছি। যেহেতু তার ছেলে-মেয়েরা কয়েকদিন ধরে না খাওয়া। যখন সেই কাজী ছাহেব রাত্রে যেতে বলল, রাত্রে যখন সেই আলিম ছাহেব গেলেন, কাজী ছাহেব জাওয়াব দিল, এখন পর্যন্ত আপনার কোন ব্যবস্থা করতে পারিনি। আপনি অন্য কোথাও ব্যবস্থা করুন। প্রতিবারই সে আশা দিয়ে দিয়ে ফিরে দিয়েছে। শেষবার সে বলল, আমার পক্ষে আর ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। রাত্র অনেক হয়েছে আপনি অন্য কোথাও ব্যবস্থা করুন। এখন সেই বৃদ্ধ আলিম ছাহেব তিনি বললেন, এটা কি করে সম্ভব? আপনি সারাদিন আমাকে ঘুরালেন, এখন বলেন যে সম্ভব নয়। তাহলে আপনি আগেই বললে পারতেন, আমি অন্য কোথাও ব্যবস্থা করতাম। বৃদ্ধ আলিমের কথায় কোন ভ্রুক্ষেপ না করে সেই কাজী ছাহেব তার দরজা বন্ধ করে দিল। সেই বৃদ্ধ আলিম তিনি মনের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন। কিছুদূর আসার পরে দেখা গেল কাজী ছাহেবের প্রতিবেশী একজন খ্রীষ্টান ব্যক্তি, সে তার বাড়ির যে গেট রয়েছে গেটের বাইরে বসে একটা আসনের মধ্যে বাতাস খাচ্ছিল। কারণ তখন ছিল গরমকাল। সে খ্রিষ্টান ব্যক্তি লক্ষ্য করল, একটা বৃদ্ধ লোক রাস্তা দিয়ে কেঁদে কেঁদে যাচ্ছে তার কি কারণ? খ্রিষ্টান ব্যক্তি ডাকল এবং জিজ্ঞাসা করলো, আপনার কি হয়েছে? তখন সেই বৃদ্ধ যয়ীফ অসুস্থ আলিম ছাহেব জাওয়াব দিল, তুমি একজন খ্রিষ্টান। আমার জানা রয়েছে। কাজেই তোমাকে বলে আমার কি লাভ হবে? আমাদের যে মুসলমান কাজী ছাহেব তাকে বলা হয়েছিল সে তো কোন ব্যবস্থা করেনি। তখন সেই খ্রিষ্টান ব্যক্তি বলল, আপনি আমাকে বলতে পারেন, আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি আপনার কোন অসুবিধা থেকে থাকলে তা আমি দূর করতে পারি কি না? তখন অনিচ্ছাসত্ত্বেও সেই বৃদ্ধ যয়ীফ আলিম ছাহেব বললেন, দেখ, আসলে আমার কিছু টাকা-পয়সার দরকার ছিল। যেহেতু আশুরা এসেছে এদিকে আমার ঘরে খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই। চাকুরী-বাকরী নেই, ব্যবসা বানিজ্য নেই, টাকা-পয়সা নেই, আমার ছেলেও উপযুক্ত নয়, কি করে চলব? আর আশুরার দিন জানা রয়েছে, ভালো খাদ্য খেলে এক বছর সচ্ছলতা দান করেন আল্লাহ পাক। ইত্যাদি ফাযায়িল-ফযীলত আলিম ছাহেব খ্রিষ্টান ব্যক্তির নিকট বর্ণনা করলেন। সে খ্রিষ্টান ব্যক্তি বলল, আমরাও আশুরাকে সম্মান করে থাকি। আসলে তারাও সম্মান করে থাকে। আমাদেরও ফাযায়িল-ফযীলত জানা রয়েছে। সেটা শুনে খ্রিষ্টান ব্যক্তি বলল ঠিক আছে, এরতো অনেক ফযীলত রয়েছে। দান-খয়রাত করলে অনেক ফযীলত রয়েছে। ভালো খাদ্য খেলেও অনেক ফযীলত রয়েছে। তাহলে আমি যদি আপনাকে হাদিয়া দেই আলিম ছাহেব কি তা গ্রহণ করবেন? আলিম ছাহেব ইতস্ততা করে কিছুক্ষণ পর অপারগ হয়ে বললেন, ঠিক আছে গ্রহণ করতে পারি যেহেতু আজকে আমার প্রয়োজন রয়েছে। তখন সেই খ্রিষ্টান ব্যক্তি সে আলিম ছাহেবকে ১০ সের গোশ্ত ১০ সের আটা, ২ দিরহাম পাক করতে লাগবে, সেটাতো সে দিলই আরো বলল, সে আরো অতিরিক্ত ২০ দিরহাম দিল এবং প্রতি মাসে আশুরার সম্মানার্থে আমি আপনাকে এই পরিমাণ হাদিয়া দিবো। আপনি সেটা দয়া করে আমার কাছ থেকে গ্রহণ করবেন। এটা বলে সেই আলিম ছাহেবকে তা দিয়ে দিল। আলিম ছাহেব সেটা নিয়ে বাড়িতে গিয়ে পাক-শাক করে ছেলে-মেয়েদেরকে নিয়ে তৃপ্তি সহকারে সেই খাদ্য খেলো। খাওয়ার পর সেই ব্যক্তির জন্য দুয়াও করলো। অন্তর থেকে দুয়া আসল। কেউ যদি কারো উপকার করে তার অন্তর থেকেই আপছে আপ দুয়া এসে থাকে। এখন তারা দুয়া করে ঘুমিয়ে গেল।

সেই রাত্রে স্বপ্নে দেখতে লাগল সেই কাজী ছাহেব যে ফিরিয়ে দিয়েছিল। তাকে বলা হল, হে কাজী! তুমি মাথা উত্তোলন কর। সে দেখতে পেল দু’টা বালাখানা। একটা স্বর্ণের দ্বারা তৈরী, আরেকটা রৌপ্যের দ্বারা তৈরী। এটা দেখে কাজী ছাহেব জিজ্ঞেস করল, এটা কিসের এবং কার? বলা হলো, জান্নাতের দু’টো বড় বালাখানা। যার কুল-কিনারা এমাথা-ওমাথা দেখা যাচ্ছে না। এতো উঁচু সেটাও দেখা যাচ্ছে না, এতো বড় বালাখানা। বলা হলো, হে কাজী! এটা তো তোমারই ছিল। তুমি যদি সেই আশুরার সম্মানার্থে বৃদ্ধ আলিমকে সাহায্য করতে, এখন তো তুমি করনি, অমুক খ্রিষ্টান করেছে তোমার প্রতিবেশি, এখন সে এটার মালিক হয়ে গেছে। যখন একথা বলা হলো, সেই কাজী ছাহেব ঘুম থেকে উঠে গেল। ভয় পেল। সকালে ফজর নামায পড়ে সরাসরি কাজী ছাহেব সেই খ্রিষ্টানের বাড়িতে এসে দরজায় কড়া নাড়লো। এতো সকাল বেলা দরজার কড়া নাড়তে দেখে খ্রিষ্ঠান ব্যক্তি দরজা খুলে কাজী ছাহেবকে দেখে তায়াজ্জুব হলো এবং বলল, হে কাজী ছাহেব! আমিতো আপনার প্রতিবেশি। আপনি এ পর্যন্ত কখনও এ বাড়িতে আসেননি, আজকে কেন এসেছেন? কাজী ছাহেব বলল, গত রাত্রে যে নেক কাজটা করেছ সেটা আমার কাছে বিক্রি করে দাও। আমি তোমাকে এক লক্ষ দিরহাম দিব। খ্রিষ্টান ব্যক্তি বলল, আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না। স্পষ্ট করে বলুন। সেই কাজী ছাহেব আবার বলল, গতকাল রাত্রে তুমি যে একজন গরীব ব্যক্তিকে সাহায্য করেছ আশুরার সম্মানার্থে সেটা আমার কাছে বিক্রি করে দাও। তুমি যে ওয়াদা দিয়েছ প্রতিমাসে দিবে আমি সেটা দিয়ে দিব। এরপরও আমি তোমাকে এক লক্ষ দিরহাম দিব, তুমি সেটা আমার কাছে বিক্রি করে দাও। তখন খ্রিষ্টান ব্যক্তি বলল, আপনি আমাকে এর জন্য এক লক্ষ দিরহাম কেন দিবেন? আমি মাত্র ১০ সের গোশ্ত, ১০সের আটা, ২ দিরহাম তার সাথে ২০ দিরহাম মোট ২২ দিরহাম দিয়েছি। সেজন্য আপনি কেন একলক্ষ দিরহাম দিবেন? স্পষ্ট করে বলুন। তখন কাজী ছাহেব অপারগ হয়ে বলল, দেখ, আমি আজ একটা স্বপ্ন দেখেছি। কি স্বপ্ন দেখেছেন? দু’টা বড় বালাখানা জান্নাতের মধ্যে। আমাকে বলা হলো, হে কাজী ছাহেব! তুমি এই বালাখানা দু’টা পেতে যদি আশুরার সম্মানার্থে সেই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে। এখন তুমি করনি তোমার প্রতিবেশি খ্রিষ্টান সে করেছে এখন সে মালিক হয়ে গেছে। তখন সেই কাজী ছাহেব বলল, হে খ্রিষ্টান ব্যক্তি! তুমি তো জান্নাতে যেতে পারবে না। এখন তুমি ঈমান না আনলে, মুসলমান না হলে তুমিতো জান্নাতে যেতে পারবে না। তাহলে তুমি বালাখানা কি করে পাবে? তুমি আমার কাছে বিক্রি করে দাও। আমি তোমাকে এক লক্ষ দিরহাম দিয়ে দিব। সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনলো খ্রিষ্টান ব্যক্তি, মনোযোগ দিয়ে শুনে সে বলল, আচ্ছা কাজী ছাহেব! খ্রিষ্টানতো জান্নাতে যেতে পারবে না? না যেতে পারবে না। তাহলে সে খ্রিষ্টান বলল, আমি যদি এখন মুসলমান হয়ে যাই, ঈমানদার হয়ে যাই, তাহলে কি লাভ করতে পারবো? তখন কাজী ছাহেব বলল, হ্যাঁ। তুমি যদি ঈমান আনো, মুসলমান হয়ে যাও, তাহলে লাভ করতে পারবে। তখন সে বলল, কাজী ছাহেব! আপনি সাক্ষী থাকুন

اشهد الا اله الا الله واشهد ان محمدا رسول الله صلى الله عليه وسلم.

এই কালিমা শরীফ পাঠ করে সে খ্রিষ্টান ব্যক্তি ঈমানদার হয়ে গেল। আর বললো, এখন আমি কি সেই বালাখানা লাভ করতে পারব? কাজী ছাহেব বললো, হ্যাঁ। তখন সে কাজী ছাহেবকে বলল, তাহলে তো আপনার কাছে আমি বিক্রি করব না। এটা বলে সেই খ্রিষ্টান ব্যক্তি মুসলমান হয়ে গেল। (সুবহানাল্লাহ)।

এখন ফিকিরের বিষয়, একজন খ্রিষ্টান ব্যক্তি আশুরাকে সম্মান করে সে ঈমান হাছিল করল এবং সে জান্নাতী হয়ে গেল। (সুবহানাল্লাহ) এটা যদি হয়ে থাকে তাহলে মুসলমানরা কি আশুরাকে সম্মান করবে না? তাহলে কি মুসলমানরা আশুরাকে সম্মান করবে না? অবশ্যই সম্মান করবে। এখন একজন খ্রিষ্টান যদি আশুরাকে সম্মান করে ঈমানদার হয়ে যায়, জান্নাতী হয়ে যায় তাহলে মুসলমানরা সম্মান করলে কতটুকু ফযীলত পাবে? অনেক ফযীলত পাবে। এখন

عاشوراء من المحرم.

(আশুরা মিনাল মুর্হরম) এরতো অনেক তা’যীম রয়েছে, তাকরীম রয়েছে। তাহলে আশুরা আসলো যার জন্য, যিনি আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী নবী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সেই আল্লাহ পাক-এর হাবীব যেদিন এসেছেন ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ, সোমবার সেই দিনকে, সেই তারিখকে, সেই বারকে, সেই মাসকে তা’যীম-তাকরীম করলে মানুষ কতটুকু নিয়ামত লাভ করবে? সেটা চিন্তা ফিকিরের বিষয়। এখন কাফিরেরা করলেই মুসলমানরা সেটা করতে পারবে না, তা নয়। আমাদের দলীল হচ্ছে, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস সেটার মধ্যে যেটা থাকবে সেটাই পালন করতে হবে।

মসজিদে আসলে জুতা চুরি হয়ে যায়, মক্কা শরীফে হজ্জ করতে গেলে টাকা-পয়সা পকেট বা ব্যাগ কেটে নিয়ে যায়, তাহলে কি মসজিদে আসা বন্ধ করে দিতে হবে? মক্কা শরীফে যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে? কস্মিনকালেও নয়। কেউ যদি সেটা বলে সে কাফির হয়ে যাবে। বরং সেটা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। এখন কাফিরেরা যদি আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে ভালো কথা, সে তা’যীম পাবে, তাকরীম পাবে, সে ইজ্জত-সম্মান পাবে। সেজন্য মুসলমানরা করবে না, সেটা আবু লাহাব করেছে, লাহাবী উৎসব বলবে, তাহলে সে কাফির হয়ে যাবে। কাট্টা কাফির হয়ে যাবে। চির জাহান্নামী সে হবে। বরং মুসলমানদেরকে আল্লাহ পাক-এর হাবীব-এর বিলাদত শরীফ উপলক্ষে আরো বেশি বেশি খুশি প্রকাশ করা দায়িত্ব কর্তব্য। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৬

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২৮)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২৭)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল মালিক, আল মাখদূম, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, ইমামুল আইম্মাহ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়াজ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হজ্জ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উমরা উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত, হুকুম-আহকাম সম্পর্কে (২৬)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে- ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-২৮