ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৯৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘উনারা খুশি হয়ে আমাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশেই স্থান মুবারক দিলেন’

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রবীউছ ছানী শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি সবসময় এটা বলি যে, মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দী-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে হলে অবশ্যই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত মুবারক হাসিল করতেই হবে। এটা ফরযে আইন। এছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেই। এটা কিন্তু খুব ফিকির করতে হবে।

একখানা ঘটনা মুবারক। তোমাদেরকে আমার বলার ইচ্ছা ছিলো না; কিন্তু এই প্রসঙ্গে একখানা ঘটনা মুবারক বলবো। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একখানা ঘটনা মুবারক। এই কয়েকদিন আগে আমাকে দেখানো হচ্ছিলো- যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক বড় একটা বালাখানা তৈরী করেছেন। এটা শুরু নেই, শেষ নেই, উচ্চতাও নেই, নিচেরও বর্ণনা নেই। এটা কল্পনাতীত। এরপর সেই বালাখানার মধ্যে আমাকে নিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা কতো তালা উচা বা কতো চওড়া-লম্বা, সেটা মানুষের দৃষ্টির বাইরে। আমাকে প্রবেশ করালেন। আমি প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার পরে এক জায়গায় নেয়া হলো। নেওয়ার পরে একটা কামরা, রুম। মোটামোটি কামরাটা ৪০০-৫০০ বর্গ ফুট হবে। বলা হলো- এটা আমার জন্য পবিত্র খানক্বাহ্ শরীফ তৈরী করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা কোথায়? আমাকে বলা হলো- একটা দেয়াল, দেয়ালের ঐ পাশে হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার বাম পাশেই আমার পবিত্র খানক্বাহ্ শরীফ। শুধু মাঝে একটা দেয়াল। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! বসানো হলো, আমি বসলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার পাশে। আমি বসে কিছু বলিনি। আমি শুধু একটু চিন্তা করতেছিলাম- পবিত্র খানক্বাহ্ শরীফ ছোট না, বড়ই। ৪-৫শ বর্গ ফুট তো ছোট না, মোটামোটি বড়। আমি একটু চিন্তা করলাম- যদি আরো লোক বেশী হয়, তাহলে এখানে জায়গা হবে কি করে? চিন্তা করার সাথে সাথে আমি দেখলাম, এই কামরাটা আমার চোখ মুবারক উনার যতটুকু দৃষ্টি ততটুকু বড় হয়ে গেলো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এরপর আবার স্বাভাবিক হলো। তখন আমাকে বলা হলো- আসলে এটা হচ্ছে কুদরতী হুজরা শরীফ, কুদরতী খানক্বাহ্ শরীফ, কুদরতী বালাখানা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখানে যখন যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু বৃদ্ধি হবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর কোথায় স্থানটা দেয়া হলো? সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একদম পাশে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! শুধু মাঝখানে একটা দেয়াল। সামনে রাস্তা। আমার দরজাটা যেমন সামনে, ঠিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার দরজাটাও ঠিক সামনে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

এখন অনেক কিছু! এতো সব তো ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। সংক্ষিপ্ত যেটা আমার ভাষায় সেটা হলো- বক্তব্যের মূল বিষয় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যে আমরা এতো কোশেশ করতেছি, যদিও আমাদের কোশেশটা কিছুই না, বিন্দু থেকে বিন্দুতমও না। এই কোশেশের কারণে বা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কারণে অথবা আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র করার কারণে, অন্যান্য কার্যক্রম করার কারণে, উনার খুছুছিয়াত-বৈশিষ্ট্য, বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে উনার সম্মানার্থে উনার পাশেই আমাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

এখন তাহলে এগুলির ফযীলত মুবারক কতটুকু? এখন ফিকির করো তোমরা। তোমরা তো এটাও বুঝতে পারবে না। তোমাদের বুঝার জন্য বললাম। কাজেই বিষয়টা এতো সহজ বিষয় না।

যেটা বললাম যে, ক্বিয়ামতের দিন প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটবর্তী হতে চাবে। এখন সেই নিকটবর্তী যেই বিষয়টা, সেটা যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনি এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা খুশি হয়ে আমাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশেই স্থান মুবারক দিলেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কাজেই এটা ফিকির করতে হবে।

এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র, বা এই ছিরাতুল মুসতাক্বীম বা আমাদের যা কার্যক্রম আছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে বুলন্দী শান মুবারক আমরা আলোচনা করি, বলে থাকি, প্রকাশ করার কোশেশ করে থাকি। উনার তো শান মুবারক বুলন্দ হয়েই আছে; সেটা প্রকাশের জন্য যে আমরা কোশেশ করি, এতে উনারা সন্তুষ্ট হয়ে সেই ব্যবস্থাটা করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

সেজন্য আমরা বলি যে, দুনিয়াতে প্রতিযোগীতা করে মানুষ। কিন্তু দুনিয়ার প্রতিযোগীতা তো দুনিয়ায় শেষ হয়ে যাবে। ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু পরকালের প্রতিযোগীতা কোথায় গেলো? পরকালে যদি সেভাবে থাকতে হয়, তাহলে তো সেভাবে ইন্তিজাম-আঞ্জাম দিতে হবে। আমি তো সেটাই বলি সবসময়।

এখন তোমাদের গাফলতির কারণে তোমরা করো না। কি করে ফায়দা লাভ করবে? গাফলতী করলে তো ফায়দা লাভ করা যাবে না। গাফলতী তো করা যাবে না।

আমরা যে বলি যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি না; এছাড়া সব। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে না। এটাও বুঝতে হবে। উনার প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্, সর্বোচ্চ হুসনে যন মুবারক পোষণ করতে হবে। তখন মানুষের পক্ষে এই বিষয়গুলি বুঝা সহজ-সম্ভব হবে। তখন উনার নৈকট্য লাভ করা সহজ এবং সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

কাজেই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ আমরা অনন্তকাল জারী করেছি। এখন ৪৫ দিনের জন্য অর্থাৎ ৯০ দিনের জন্য, যার শেষ প্রান্তে আমরা পেঁৗছে গিয়েছি। কিন্তু অনন্তকাল তো শেষ হবে না। সেজন্য আমরা বলি- আমরা হায়াতে তো করে যাচ্ছিই, ইনশাআল্লাহ আমরা ইন্তিকালের সময়ও করবো, ক্ববরে করবো, হাশরে করবো, নশরে করবো, মীযানে, পুলছিরাতে এবং জান্নাতে যেয়েও অনন্তকাল করতে থাকবো। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

কাজেই বিষয়গুলি ফিকির করতে হবে। এখন সব জাগায় প্রতিযোগীতা আছে। এখন ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। আর যে প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হলো, তার পক্ষে সম্ভব হবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেশি নৈকট্য লাভ করা। ঐযে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছেন,

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كَانَ مَعِىَ فِـى الْـجَنَّةِ

‘আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক উনাকে অর্থাৎ আমাকে অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যিনি হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম, সম্মান মুবারক করতে পারবেন, খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম মুবারক দিতে পারবেন, তিনি সরাসরি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই থাকবেন।’ সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

বুঝতে পারলে এখন বিষয়টা? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে সব বর্ণিত রয়েছেন। সবই সত্য। মানুষ জানে না এগুলি। বুঝে না মানুষ। সব সঠিক। একশতে না, কোটিতে কোটি আরো বেশি। এইজন্য অনন্তকাল পালন করার যেই বিষয়টা, এটাও বুঝতে হবে। এখন আমাদের এখানে এই ৯০ দিনের ইন্তিজাম। এটা তো বিশেষ ইন্তিজাম। এটা শেষ হলে যে এটা বন্ধ হবে এমন না। চলতে থাকবেন, জারী থাকবেন। এখন যতো জারী করা যাবে, যতো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক করা যাবে, যতো উনার বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করা যাবে, ততো বেশি উনার নৈকট্য লাভ করা যাবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এছাড়া তো কোনো দিন সম্ভব না।

এখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীম, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক সম্বোলিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র বা অন্যান্য যা কিছু আছে, আমরা যা করে থাকি, এই বিষয়গুলির সাথে তোমাদের সম্পৃক্ত-সংযুক্ত হতে হবে। তাহলে যদি তোমরা প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে পারো, পারতে পারো। এছাড়া তো পারা সম্ভব হবে না। এটা মনে রাখতে হবে।

কাজেই যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ তিনি যেন আমাদেরকে হাক্বীক্বীভাবেই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপিবত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী নিসবত-কুরবত, মুহব্বত-মা’রিফত এবং নৈকট্য মুবারক লাভ করার তাওফীক্ব দান করেন।” (আমীন!)

‘নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফ উনার পাশেই আমার হুজরা শরীফ’

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৫ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১১ই জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “তুমি যে আজ আরেকটা কথা বললে, ওই যে বালাখানার ব্যাপারটা। আমার কোনো বালাখানা কিন্তু নেই। ওইটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই বালাখানাটা। (সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনার যে হুজরা শরীফ, সেই হুজরা শরীফ উনার পাশে আমাকে একটা কামরা দেওয়া হয়েছে, একটা বালাখানা দেওয়া হয়েছে। এটা আলাদা বালাখানা না।

সুওয়াল: একটাই বালাখানা মুবারক?

জওয়াব মুবারক: হ্যা; একটাই বালাখানা। একই বালাখানার মধ্যে। এটা আলাদা না। একটা বালাখানাতে কতো হাজার হাজার কামরা থাকে না? অনেক বড়, হাজার হাজার কামরা। অনেক উঁচু, অনেক চওড়া, অনেক লম্বা, অনেক কিছু। এটার মধ্যে অনেকে থাকতে পারেন। দেখা যাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সবাই আছেন এর মধ্যে।

বেহেস্তে বালাখানা তৈরী হবে ঠিকিই আছে। সবার জন্য বালাখানা থাকবে। এখন বালাখানা তো আলাদা আলাদা ছোট বড় থাকতে পারে। অনেক বড় যদি একটা বালাখানা হয়, ওখানে সবাই থাকে, তাহলে তো থাকতে পারে। একটা বড় বাড়িতে থাকে না সবাই? এখন তাহলে আলাদা দরকার হয় না। ওটা অনেক উঁচু, অনেক লম্বা, অনেক চওড়া। এটার কোনো কুল-কিনারা নেই। (সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ওটাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফ উনার পাশে হলো আমার হুজরা শরীফ। বালাখানা একটাই, আলাদা না। তবে আমার মনে হলো- ডান পাশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা পর্যায়ক্রমে আছেন।

সুওয়াল: মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম বলেছিলেন যে, দরজা মুবারক সামনাসামনি…

জওয়াব মুবারক: এটা হলো- অর্থাৎ কামরাগুলি হলো পাশাপাশি। অনেক কামরা আছে। মধ্যে গলির মতো আছে, রাস্তা। দরজাগুলি তো সামনের দিকে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যেমন হুজরা শরীফ উনার দরজা মুবারক সামনের দিকে, দরজার সামনে দিয়ে রাস্তার মতো। ওই পাশে আবার কামরা আছে। এই রকম। ওই দিকে (সামনে) কামরা আছে, পিছনে কামরা আছে, ডানে কামরা আছে, বামে আছে কামরা। অনেক বড়। সেটাই সামনের দিকে দরজা, সামনে রাস্তা আছে। বড় করিডরের মতো।

সুওয়াল: বেয়াদবী ক্ষমা চাই। মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যে কামরা মুবারক- মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার থেকে বলা হলে ডান দিকে আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বাম দিকে।

জওয়াব মুবারক: হঁ্যা; নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাম দিকে। দরজাগুলি সব বরাবর সামনের দিকে। ঐগুলি বড় হয়, ছোট হয় আপছেআপ অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয়ভাবে। আমার যেই কামরা সেটা মোটামোটি ৪০০-৫০০ বর্গ ফুট হবে। ৪-৫শ বর্গ ফুট তো ছোট না, মোটামোটি বড়। আমি একটু চিন্তা করলাম- যদি আরো লোক বেশী হয়, তাহলে এখানে জায়গা হবে কি করে? আমি চিন্তা করার সাথে সাথে দেখলাম, এই কামরাটা আমার চোখ মুবারক উনার দৃষ্টি যতটুকু যায় ঠিক ততটুকু বড় হয়ে গেলো। আমি একটু মনে মনে চিন্তা করেছিলাম যে, এটা তাহলে লোক বেশী হলে এখানে কিভাবে জায়গা হবে? চিন্তা করার সাথে সাথে আমি দেখলাম- অনেক লম্বা হয়ে গেলো দৃষ্টি পরিমাণ। (সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) অনেক বড় হয়ে গেছে। আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলো। তখন বলা হলো যে, আসলে এটা কুদরতী বিষয়। লোক বাড়লে কামরাও বড় হয়ে যাবে। (সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এটা বড় হলো, আবার ছোট হলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে। (সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এখন বিষয়টা এরকম যে, মানুষ ক্ববরে যে যায়, নেককারদের ক্ববরটা প্রসারিত হয়ে যায় চোখের দৃষ্টি পরিমাণ। ক্ববর তো সাধারনত ২ হাত আর ৫ হাতই হয়। কিন্তু তা কুদরতীভাবে বড় হয়ে যায়।” সুবহানা মামাদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

তাহলে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের সাথে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন ইবনে ছিদ্দীকুর রহমান।

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী-রসূল হিসেবে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হিসেবে, উনার মাহবূব, মুরাদ ও সমগ্র কায়িনাতের মালিক হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। উনাদের মুহব্বত মুবারক ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ পূর্ণ হয় না

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সমস্ত সৃষ্টির হক

মওযূ ও ছহীহ হাদীছ শরীফ নির্ণয়ের প্রকৃত মানদণ্ড

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরয