বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাউসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-১২ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস

সংখ্যা: ১৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বাই ইহুদী-নাছারাদের আবিস্কার। তাদের এক নম্বর দালাল

বর্তমানে ইসলামের নামে বা মুসলমানের ছূরতে সিলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি সাধনে বা মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করনে ইহুদী-নাছারাদের খাছ দালাল বা এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করছে তারা হলো-

১। শিয়া, ২। কাদিয়ানী, ৩। ওহাবী।

“কাদিয়ানী ফিরক্বা”

আরেকটি অন্যতম গুমরাহ ও কুফরী আক্বীদা সম্বলিত খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী বাতিল ফিরক্বা হচ্ছে- কাদিয়অনী ফিরক্বা। তারা নিজেদেরকে মুসলমান বলে দাবি করলেও হাক্বীক্বতে তারা মুসলমান নয়। কারণ তারা খতমে নবুওওয়াত অস্বীকারকারী। তাই আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তারা কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী।

কাদিয়ানী, বাহাইসহ খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সকলেই কাফির

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “হযরত ছাওবান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, নিশ্চয়ই অতি শিঘ্রই আমার উম্মতের মধ্য হতে ত্রিশজন মিথ্যা বাদী বেহ হবে, তারা প্রত্যেকেই নিজেদেরকে নবী বলে দাবী করবে অথচ আমিই শেষ নবী, আমার পর আর কোন নবী নেই।” (আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ) উল্লেখ্য, কোন কোন বর্ণনায় ৭০ জনের কথাও উল্লেখ আছে।

মূলকথা হলো, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর বহু লোক নবী দাবী করবে। কিন্তু তারা সকলেই কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী। স্বয়ং আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতিতেই অনেকে নবী দাবী করেছে।

পূর্ব প্রকাশিতের পর

কাদিয়ানী ফিৎনা মূলোৎপাটনে যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার অবদান

যামানার ইমাম ও মুজাদ্দিদ, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি কাদিয়ানীদের হাত থেকে মুসলমানদের ঈমানকে  হিফাযত করার লক্ষ্যে সবার চেয়ে বেশিী ভূমিকা রাখছেন। তিনি টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় তথা সর্বত্র ওয়াজ মাহফিল করে, আর বিশেস করে যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনার’ প্রতিটি সংখ্যায় কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে লিখে ও তাতে ছাপিয়ে সারা বিশ্বে প্রচার করে যাচ্ছেন।

হাফিযে হাদীছ, বাহরুল উলূম, আল্লামা রুহুল আমীন বশীরহাটি রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘কাদিয়ানীর কুফরী বক্তব্যগুলো খ-ন করে ৬ খ-ে যে বিশাল কিতাব রচনা করেছিলেন সেই “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা ধারাবাহিকভাবে হুবহু ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ’ পত্রস্থ করা হচ্ছে। সাথে সাথে পাকিস্তানের আদালতে কাদিয়ানীদের কাফির ঘোষণা করতে গিয়ে যে রায় পেশ করা হয়েছে তা ইংরেজী ভাষায় কিতাব আকারে বের হয়েছে, উক্ত কিতাব খানাও বাংলায় অনুবাদ করে ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ-এ প্রচার করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ মুসলমানগণ কাদিয়ানীদের কুফরী মতবাদগুলো অবগত হয়ে কাদিয়ানী মত-পথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকে এবং নিজের মূল্যবান ঈমানকে হিফাযত করতে পারে, সাথে সাথে কাদিয়ানী ফিৎনা মূলোৎপাটনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

সুতরাং সকল মুসলমান নর-নারীর ঈমানী দায়িত্ব হলো, ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’ নিয়মিত পাঠ করত: কাদিয়ানী ফিৎনা সম্পর্কে অবগত হওয়া, তাদের মত-পথ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা, তাদের সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক না রাখা, তাদেরকে সমর্থন, সহযোগিতা ও অনুসরণ না করা, আর কেউ যদি না জেনে কাদিয়ানী মত-পথ গ্রহণ করে থাকে তবে তার জন্যে ফরয তওবা করে পুনরায় মুসলমান হয়ে যাওয়া নচেৎ কাফির অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে চির জাহান্নামী হতে হবে। (চলবে)

-মুহম্মদ আবুল হাছান, বাসাবো, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিলআলুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৪৯

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-১৮

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি ও ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৪৯

‘থার্টিফাস্ট নাইট, ভালেন্টাইন ডে আর পহেলা বৈশাখের’ নামে হুজ্জোতির জন্য ধর্মব্যবসায়ীদের কৌশলগত নিষ্ক্রীয়তা, স্বার্থবাদী মৌসুমী রাজনৈতিক তৎপরতা এবং সংস্কৃতি বিপননকারীদের দূরভিসন্ধিতা ও মধ্যবিত্তের  তত্ত্ব-তালাশহীন প্রবণতা তথা হুজুগে মাতা প্রবৃত্তিই দায়ী

পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম দিন। দিনটি পালিত হচ্ছে বাঙালীর ঐতিহ্য ধরে রাখার চেতনা হিসেবে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি পরিচয়ের বাইরে আলাদাভাবে এ বাঙালী পরিচয়ের দাবী। কিন্তু পহেলা বৈশাখ উদযাপনকারীরা একদিকে যেমন জানেনা যে, বাংলা সনের ‘সন’ কথাটি আরবী। ‘পহেলা’ শব্দটি ফারসী। আর হালখাতা শব্দতো প্রকাশ্য মুসলমানী।