মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ ও মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৭৮

সংখ্যা: ২৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৩তম ফতওয়া হিসেবে

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”- পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত হানাফী মাযহাব

উনার বৈশিষ্ট্যসমূহ

(গত সংখ্যার পর)

“সম্মানিত হানাফী মাযহাব যুগ শ্রেষ্ঠ

ও যুগোপযোগী

সর্বকালে ও সকল মহলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর কিয়ামত পর্যন্ত সৃষ্ট সব সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যেই রয়েছে। আবার একথাও সত্য যে, সব সমস্যার সমাধান বিভিন্ন হিকমতের কারণে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীনভাবে দেয়া হয়নি। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে পবিত্র কুরআন শরীফ-পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে বর্ণিত সমাধান সবার পক্ষে খুঁজে পাওয়া সহজসাধ্য নয়। ইতিপূর্বে আমরা আলোচনা করেছি যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি ও উনার অনুসারী ইমামগণ এসব উদ্ভূত সমস্যার সর্বোৎকৃষ্ট সমাধান পেশ করেছেন। এমনকি বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কিরাম বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অনুসন্ধানের আলোকে বলেছেন যে, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাধনা ও গবেষণালব্ধ ফলাফল এবং উনার মাযহাবের নীতিমালা সর্বকালে ও সর্বমহলেই ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।

এ মর্মে শাফিয়ী মাযহাবের অন্যতম ইমাম হযরত শারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-

انه يجب على كل مكلف ان يشكر الله تعالى على ايجاده مثل الامام ابي حنيفة رحمة الله عنه فى الدنيا ليوسع عن الناس تبعا لتيسير الله تعالى رسوله صلى الله عليه وسلم وجميع ما سكت الشرع عنه ولم يتعرض فيه لامر ولا نهى فهو عافيه وتوسعة على الامة فليس لاحد ان يحجره عليهم

অর্থ: সমগ্র মুসলিম জাতির উপর মহান আল্লাহ পাক উনার শোকর আদায় করা ওয়াজিব এজন্য যে, তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মত একজন মহান ব্যক্তিত্ব প্রেরণ করেছেন: মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আনুগত্যের পথ সহজ করার জন্য এবং যে বিষয়ে সম্মানিত শরীয়তে সুস্পষ্ট নির্দেশ কিংবা নিষেধাজ্ঞা নেই উনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য। আর তাতে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মুক্তির দ্বার উন্মোক্ত হয়েছে যার থেকে বিমুখ হওয়া কারও জন্য সমীচীন নয়। (মিযানুল কুবরা-১/৮৮)

সম্মানিত হানাফী মাযহাব সহজ সরল ও সর্বযুগে সর্বমহলের উপযোগী। এ মাযহাবের অনুসারী বর্তমানে বিশ্বমুসলিমের দুই-তৃতীয়াংশ চলে এসেছে। ক্বিয়ামত পর্যন্ত এর ক্রমোন্নতি হতে থাকবেই ইনশাআল্লাহ।

হযরত ইমাম শারানী রহমতুল্লাহি আলাইহি আরো লিখেন-

ومن مذهب الامام ابي حنيفة رحمة الله عليه أول المذاهب تدوينا واخرها انقراضا كما قاله بعض اهل الكشف قد اختاره الله تعالى اماما لدينه وفي كل عصر الى يوم القيامة لوحبس لم يزل اتباعه في زيادة احدهم وضرب على ان يخرج عن طريقه ما اجاب فرضى الله عنه وعن عباده واتباعه

অর্থ: “হানাফী মাযহাব সংকলন হিসেবে সর্বপ্রথম এবং বিলুপ্তির দিক দিয়ে সর্বশেষ। আধ্যাত্মিক মনীষীগণের ভাষ্যমতে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত দ্বীনের সংরক্ষণ ও উনার বান্দাদের দিকনিদের্শনার জন্য সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে মনোনীত করেছেন। ক্বিয়ামত পর্যন্ত সর্বকালেই উনার অনুসারী সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। উনার মাযহাব পরিত্যাগ করার জন্য কাউকে কারাবদ্ধ অথবা প্রহার করা হলেও কেউ তাতে সম্মত হবে না। মহান আল্লাহ পাক উনার মাযহাবের অনুসারীদের প্রতি রাজী বা সন্তুষ্ট হোন। আমীন! (আল মিযানুল কুবরা-১/৭৭)

সম্মানিত হানাফী মাযহাব মুসলিম বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মাঝে

সমাদৃত মাযহাব

সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবদ্দশা থেকে অদ্যবধি যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফকীহ ও বিশেষজ্ঞ আলিমগণ বরাবরই হানাফী মাযহাব অনুসরণ করে আসছেন।

কোনো ধরনের পরিকল্পনা বা প্রচেষ্টা ব্যতীত অকল্পনীয়ভাবে এ মাযহাবের গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যাপকতা মুসলিম বিশ্বে অতি দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করে আসছেন। এ মর্মে ইবনে হাজার মক্কী শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি লিখেন-

لم يظهر لاحد من ائمة الاسلام المشهورين مثل ما ظهر لأبي حنيفة من الاصحاب والتلاميذ ولم ينتفع العلماء وجميع الناس مثل ما انتفور به و باصحابه في التفسير والحاديث المشتبهة والمسائل المستنبطة والنوازل والقضاء و لاحكام

অর্থ: সুপ্রসিদ্ধ ইমামগণের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অনুসারী ও শিষ্যদের সমতুল্য খ্যাতি আর কারো অর্জিত হয়নি এবং তাফসীর, হাদীছ, সমসাময়িক মাসয়ালা-মাসায়িল, বিচারবিভাগ ও সম্মানিত শরীয়ত উনার সার্বিক বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে আলিমগণ ও সর্বসাধারণ যেমন ব্যাপকভাবে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শিষ্যবর্গ থেকে উপকৃত হয়েছেন আর কারো নিকট থেকে তেমন হননি। (আল খইরাতুল হিসান- ৭২ পৃষ্ঠা)

কিতাবে উল্লেখ আছে-

والعلم برا و بحرا شرقا وغربا قربا وبعدا تدوينه رحمة الله

অর্থ: পানি-স্থলে, পূর্ব-পশ্চিমে, দূরে-অদূরে সর্বত্র শরীয়তের জ্ঞানে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সংকলন ও অবদান পরিব্যপ্ত। (ফিহরেস্ত-২৫৬ পৃষ্ঠা)

শাফিয়ী মাযহাবের প্রখ্যাত ইমাম মুহম্মদ বিন ইউসুফ মিসরী রহমতুল্লাহি তিনি লিখেন-

الثامن: انتشار مذهبه في الاقاليم ليس فيها غيره كالهند و الروم و بلاد ما وراه النهر و غالب بلد غيره

অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ও হানাফী মাযহাবের অসংখ্য বৈশিষ্ট্য হতে অষ্টম বৈশিষ্ট্য হলো, উনার মাযহাব এমন ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে যে, কয়েকটি দেশে হানাফী মাযহাব ব্যতীত কোনো মাযহাবের অনুসারী নেই। যেমন ভারতীয় উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তুর্কিস্তান, রাশিয়া, বুখারা, তাযাকিস্তান এবং অধিকাংশ দেশের মুসলমানগণ এককভাবে হানাফী মাযহাবের অনুসরী। (আলামুল মুসলিমীন-১০৬ পৃষ্ঠা)

বাস্তবতার নিরিখে বলতে গেলে চলমান বিশ্বের প্রায় ৮০% ভাগ মুসলমানই কোন না কোন মাযহাবের অনুসারী। বাদবাকী শিয়া, রাফিযী খারেজী, লা-মাযহাবীসহ সব মিলে ২০% হতে পারে। আবার মাযহাব আলেমীদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশী হানাফী মাযহাবের অনুসারী।

প্রখ্যাত ছাহাবী হযরত বুরাইদা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

 اهل الجنة عشرون ومائة صف ثمانون منها من هذه الامة و اربعون من سائر الامة.

অর্থ: হাশরের ময়দানে বেহেশতবাসীদের মোট ১২০টি কাতার হবে। তন্মধ্যে ৮০টি হবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের। অবশিষ্ট ৪০ টি পূর্বেকার সকল উম্মতের। (তিরমিযী শরীফ-৪/৫৮৯, হাদীছ শরীফ নং ২৫৪৫)

অতএব হানাফী মাযহাবের অতি সৌভাগ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত যেমন অন্য সকল উম্মতের তুলনায় দুই তৃতীয়াংশ হবে তেমনি হানাফী মাযহাবের অনুসারীরাও বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের দুই-তৃতীয়াংশ মত। আর অন্যান্য মাযহাবের অনুসারী, লা-মাযহাবী, শিয়া, রাফেযী, খারেজী সম্প্রদায় মিলে হবে এক তৃতীয়াংশ। সুতরাং হানাফী মাযহাবই মুসলিম উম্মাহর সর্বাপেক্ষা বড় মাযহাব। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বড় মাযহাবের অনুসরণ করার নির্দেশ মুবারক দিয়ে বলেন-

اتبعوا السواد الاعظم

অর্থ: তোমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের অনুসরণ কর। (সুনানে তিরমিযী-৪/৪০৫, হা: ২২৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম- ১/২০০, হা. ৩৯১)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মর্মানুসারে আমরা মুসলিম উম্মাহর সর্ববৃহৎ মাযহাব হানাফী মাযহাবের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরে মহান আল্লাহ পাক উনার অফুরন্ত শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত হানাফী মাযহাব খাছ ইলহামী

নির্দেশ মুবারকে প্রতিষ্ঠিত

হযরত নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ধারাবাহিকতায় বিরতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অহী মুবারক উনার ধারাবাহিকতাও সমাপ্ত হয়ে যায়। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ হতে কোনো বিষয়ে সরাসরি ও নিশ্চিতভাবে অবগত হওয়ার কোনো ব্যবস্থা বর্তমানে নেই। তবে কখনো মহান আল্লাহ পাক মেহেরবানি করে উনার অলীগণ উনাদেরকে কোন কোন ব্যাপারে বক্তিগতভাবে সুসংবাদ ও মনের প্রশান্তি দান করেন।

বিশেষত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে স্বপ্নে প্রাপ্ত বিষয় তুলনামূলক নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়। কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “যে আমাকে স্বপ্নে দেখেছে অবশ্যই সে আমাকেই দেখেছে। কেননা, শয়তান আমার ছূরত মুবারক ধারণ করতে পারে না।” (বুখারী শরীফ- ৮/৪০২, মুসলিম ৪/১৭৭৫)

তাই এ বিষয়ে কয়েকটি নির্ভরযোগ্য ঘটনা উল্লেখ করা হচ্ছে। হাফেয ইবনে হাজার মক্কী শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার  জীবনী গ্রন্থ  ‘আল খইরাতুল হিসান’ কিতাবে লিখেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অতি বিনয় ও ইখলাছের কারণে আত্মগোপনে থাকতেন। এক পর্যায়ে স্বপ্নযোগে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দীদার মুবারক লাভে ধন্য হলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে উনার সংকলিত বিষয়বস্তু জনগণের খিদমতে তুলে ধরার ইঙ্গিত করেন। ফলে তিনি এসব বিষয় গ্রহণ করার জন্য মুসলমানদেরকে আমন্ত্রণ জানান। সুবহানাল্লাহ! (আলখাইরাতুল হিসান- পৃষ্ঠা ১৫১; আওজাযুল মাসালেক- পৃষ্ঠা ১/৫৪)

ভারতবর্ষের প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ মুজাদ্দিদুয যামান হযরত মাওলানা শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কয়েকটি স্বপ্নের ঘটনা ইতিপূর্বে আলোচনা হয়েছে। তন্মধ্যে একটি ঘটনায় তিনি উল্লেখ করেন-

عرفنی رسول الله صلى الله عليه وسلم ان في المذهب الحقة طريقة انيقة هى اوفق الطرق بالسنة المعروفة الذي جمعت ونقحت في زمان البخاري و اصحابه

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে (হারামাইন শরীফাইনে থাকাকালীন) স্বপ্নযোগে হানাফী মাযহাবের পরিচয় বর্ণনা করেন যে, হানাফী মাযহাবে এমন উৎকৃষ্ট পদ্ধতি রয়েছে যা সম্মানিত শরীয়ত উনার সুস্পষ্ট সুন্নত ত্বরীকার সঙ্গে অতি সামঞ্জস্যশীল এবং সেগুলো ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও উনার সমসাময়িকদের যুগে সুবিন্যাস্ত ও সুসম্পাদিত হয়েছে। (ফুয়ূযুল হারামাইন- পৃষ্ঠা ৪৮)

লা মাযহাবীদের অন্যতম পুরোধা মুহাম্মদ মুয়ীন তার কিতাব ‘সিরাতুল লবীবে’ লিখে,

ان معاذ الرازی راى النبى صلى الله عليه وسلم فقال  اين اطلبك يا رسول الله ! قال : عند فقه ابي حنيفة

অর্থ: ‘মুয়ায রাযী নামক জনৈক ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্নযোগে জিজ্ঞাসা করেন, আপনাকে কোথায় অনুসন্ধান করবো? জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফিকহের আলোকে আমাকে অনুসন্ধান করো। সুবহানাল্লাহ! (তারিখে বাগদাদ- ১৩/৩৫৬)

অনুরূপ অসংখ্য ঘটনা রয়েছে, যাতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হানাফী মাযহাব সম্পর্কে সুসংবাদ প্রদান করেছেন। তবে যারা এসব ঘটনায় বিব্রত বোধ করেন, তারা সক্ষম হলে স্বপ্নযোগে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে সত্যতা জেনে আমাদেরকে অবগত করতে পারেন।

(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক (৩৩তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৯তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৩৪)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লিবাস বা পোশাক পরিধান করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-১১)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত