মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৩৪)

সংখ্যা: ২৯৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

(৩৬তম ফতওয়া হিসেবে)

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খেদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কতিপয় সুওয়াল-জাওয়াব

(পূর্বপ্রকাশিতের পর)

সুওয়াল-৮ :

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন, প্রশস্তকরণ, পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংশ্লিষ্ট যে কোনো ধরণের উন্নয়নের জন্য ভাঙ্গা, আর রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী রক্ষণাবক্ষেণ বা সরকারী/বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গার হুকুম কি একই রকম? দলীল ভিত্তিক জাওয়াব দিয়ে বাধিত করবেন।

জাওয়াব: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন, প্রশস্তকরণ, পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ বা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংশ্লিষ্ট যে কোনো ধরণের উন্নয়নের জন্য ভাঙ্গা, আর রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, নদী রক্ষণাবেক্ষণ বা সরকারী/বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গা কস্মিনকালেও এক নয়। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার কাজে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংস্কার আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সংস্কার কাজ ব্যতীত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গার হুকুম এক নয়। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সংস্কারের কাজে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক পুনর্নির্মাণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত সম্মত; কিন্তু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোনো উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গা হারাম-নাজায়িয ও কুফরী।

মূলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সংস্কার, সৌন্দর্যবর্ধন, প্রশস্তকরণ, বহুতল ভবন নির্মাণ বা যে কোনো ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ করা প্রকৃতপক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক আবাদ বা তৈরী করারই অন্তভুর্ক্ত। সুবহানাল্লাহ! যেমন- এই প্রসঙ্গে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّـمَا يَـعْمُرُ مَسٰجِدَ اللهِ مَنْ اٰمَنَ بِاللهِ وَالْيَـوْمِ الْاٰخِرِ وَاَقَامَ الصَّلٰوةَ وَاٰتَى الزَّكٰوةَ وَلَـمْ يَـخْشَ اِلَّا اللهَ فَعَسٰى اُولٰٓئِكَ اَنْ يَّكُوْنُـوْا مِنَ الْمُهْتَدِيْنَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই উনারাই মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক আবাদ করবেন, যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং পরকালের প্রতি সম্মানিত ঈমান এনেছেন, সম্মানিত নামায ক্বায়িম করেন এবং পবিত্র যাকাত আদায় করেন। আর মহান আল্লাহ পাক উনাকে ব্যতীত আর কাউকে ভয় করেন না। কাজেই অবশ্যই উনারা হিদায়েতপ্রাপ্ত উনাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় ‘তাফসীরে নাসাফী’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,

{اِنَّـمَا يَـعْمُرُ مَسٰجِدَ اللهِ} عِمَارَتُـهَا رَمُّ مَا اِسْتَـرَمَّ مِنْـهَا وَقَمُّهَا وَتَـنْظِيْـفُهَا وَتَـنْوِيْـرُهَا بِالْمَصَابِـيْحِ وَصِيَانَـتُـهَا مِـمَّا لَـمْ تُـبْـنَ لَهُ الْمَسَاجِدُ مِنْ اَحَادِيْثِ الدُّنْـيَا لِاَنَّـهَا بُـنِـيَتْ لِلْعِبَادَةِ وَالذِّكْرِ وَمِنَ الذِّكْرِ دَرْسُ الْعِلْمِ

অর্থ: “{নিশ্চয়ই উনারাই মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক আবাদ করবেন} মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক আবাদ করার অর্থ হচ্ছে- (১) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণযোগ্য হলে তা সংস্কার করা, মেরামত করা ও পুনর্নির্মাণ করা, (২) ময়লা পরিস্কার করা বা ঝাড়– দেয়া, (৩) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, (৪) বাতির দ্বারা আলোকিত করা এবং (৫) সেখানে যাতে দুনিয়াবী কোনো কার্যকলাপ না হয়, সেটা থেকে তা রক্ষা করা। কেননা তা এজন্য নির্মাণ করা হয়নি; বরং নির্মাণ করা হয়েছে ইবাদত-বন্দেগী ও যিকির-আযকার করার জন্য। আর সম্মানিত ইলিম উনার দরস হচ্ছেন যিকিরের অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে নাসাফী ১/৬৬৯)

‘তাফসীরে খাযিন’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,

 اِنَّ الْمُرَادَ بِالْعِمَارَةِ اَلْعِمَارَةُ الْمَعْرُوْفَةُ مِنْ بِنَاءِ الْمَسَاجِدِ وَتَشْيِـيْدِهَا وَمَرَمَّتِهَا عِنْدَ خَرَابِـهَا

অর্থ: “আবাদ করার দ্বারা উদ্দেশ্য  হচ্ছে যেটা সকলের নিকট জ্ঞাত আবাদ। যেমন- (১) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করা, (২) সুদৃঢ় করা এবং (৩) ধ্বংস, ক্ষতিগ্রস্থ ও ভেঙ্গে যাওয়ার সময় তা সংস্কার করা, মেরামত করা ও পুনর্মনির্মাণ করা।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে খাযিন ২/৩৪১)

‘তাফসীরে আবিস সা‘ঊদ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,

وَالْمُرَادُ بِالْعِمَارَةِ مَا يَـعُمُّ مَرَمَّةَ مَا اِسْتَـرَمَّ مِنْـهَا وَقُمُّهَا وَتَـنْظِيْـفُهَا وَتَـزْيِـيْـنُـهَا بِالْفُرُشِ وَتَـنْوِيْـرُهَا بالسُّرُجِ وَاِدَامَةُ الْعِبَادَةِ وَالذِّكْرِ وَدِرَاسَةُ الْعُلُوْمِ فِـيْـهَا وَنَـحْوُ ذٰلِكَ

অর্থ: “এখানে আবাদ করার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- (১) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণযোগ্য হলে তা সংস্কার করা, মেরামত করা ও পুনর্নির্মাণ করা, (২) ময়লা পরিস্কার করা বা ঝাড়– দেয়া, (৩) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, (৪) চাটাই ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় দ্বারা তা সজ্জিত করা, (৫) বাতির দ্বারা আলোকিত করা এবং (৬) সেখানে দায়িমীভাবে ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-আযকার ও সম্মানিত ইলিম উনার দরসের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি সবই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক আবাদ করার শামিল।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে আবিস সা‘ঊদ ৪/৫১)

‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,

اِنَّ الْمُرَادَ مِنْهُ اَلْعِمَارَةُ الْمَعْرُوْفَةُ مِنْ بِنَاءِ الْمَسْجِدِ وَمَرَمَّتِهٖ عِنْدَ الْـخَرَابِ

অর্থ: “আবাদ করার দ্বারা একটি উদ্দেশ্য  হচ্ছে যেটা সকলের নিকট জ্ঞাত। যেমন- (১) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করা এবং (২) ধ্বংস, ক্ষতিগ্রস্থ ও ভেঙ্গে যাওয়ার সময় তা সংস্কার করা, মেরামত করা ও পুনর্নির্মাণ করা।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী শরীফ ৪/১৪৬)

মহান আল্লহা পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

وَاِذْ يَـرْفَعُ اِبْرٰهٖمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْـبَـيْتِ وَاِسْـمٰعِـيْلُ

অর্থ: “(আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি) স্মরণ করুন, যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ভিত্তি মুবারক স্থাপন করছিলেন।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১২৭)

অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার পুনর্নির্মাণ করেছিলেন।

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, হযরত ইমাম আবূ বকর মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে মুনযির নীশাপূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেন-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْـرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اِنَّ الْكَعْبَةَ خُلِقَتْ قَـبْلَ الْاَرْضِ بِاَلْفَىْ سَنَةٍ وَهِىَ قَـرَارُ الْاَرْضِ اِنَّـمَا كَانَتْ خَشَفَةً اَوْ حَشَفَةً عَلَى الْمَاءِ عَلَيْـهَا مَلَكَانِ مِنَ الْمَلائِكَةِ يُسَبِّحَانِ اللَّيْلَ وَالنَّـهَارَ اَلْفَىْ سَنَةٍ فَـلَمَّا اَرَادَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ اَنْ يَّـخْلُقَ الاَرْضَ دَحَاهَا مِنْـهَا فَجَعَلَهَا فِـىْ وَسَطِ الْاَرْضِ

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই পৃথিবী সৃষ্টির দুই হাজার বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ সৃষ্টি করা হয়। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফই হচ্ছেন পৃথিবীর অবস্থানস্থল। যা পানির উপর জমাটবদ্ধ পানি/বরফ অথবা ছোট দ্বীপ আকারে ছিলেন। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার উপর হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্য থেকে দু’জন সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা রাত-দিন অর্থাৎ সবসময় দায়িমীভাবে একাধারে দুই হাজার বছর সম্মানিত তাসবীহ্ পাঠরত অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করার ইচ্ছা মুবারক করেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার থেকে পৃথিবীকে বিস্তার করেন, সৃষ্টি করেন। তারপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে করেন পৃথিবীর ওয়াসাত্ব অর্থাৎ মধ্যস্থান।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে মুনযির ১/২৯৪, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/১৪০)

‘তাফসীরে কবীর শরীফ’ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন-

عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِىِّ بْنِ الْـحُسَـيْـنِ بْنِ عَلِـىِّ بْنِ اَبِـىْ طَالِبٍ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ عَنْ اَبِيْهِ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِنَّ اللهَ تَـعَالـٰى بَـعَثَ مَلَائِكَتَهٗ فَـقَالَ ابْـنُـوْا لِـىْ فِـى الْاَرْضِ بَـيْـتًا عَلـٰى مِثَالِ الْـبَـيْتِ الْمَعْمُوْرِ وَاَمَرَ اللهُ تَـعَالـٰى مَنْ فِـى الْاَرْضِ اَنْ يَّـطُوْفُـوْا بِهٖ كَمَا يَـطُوْفُ اَهْلُ السَّمَاءِ بِالْـبَـيْتِ الْمَعْمُوْرِ وَهٰذَا كَانَ قَـبْلَ خَلْقِ حَضْرَتْ اٰدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবী ত্বালিব আলাইহিমুস সালাম) তিনি উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম) উনার সূত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে এই কথা মুবারক বলে প্রেরণ করেন যে, আপনারা আমার জন্য সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ উনার অনুরূপ দুনিয়ার যমীনে একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ) তৈরী করুন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানবাসী (হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম) উনারা যেভাবে সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ তাওয়াফ করে থাকেন, পৃথিবীবাসী উনাদেরকে সেভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে তাওয়াফ করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! আর এটা ছিলো আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করার পূর্বের ঘটনা।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কবীর শরীফ ৮/২৯৬)

আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

رُوِىَ عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِـىِّ بْنِ الْـحُسَـيْـنِ عَلَيْهِ وَعَلـٰى اٰبَائِهِ السَّلَامُ اِنَّ اللهَ وَضَعَ تَـحْتَ الْعَرْشِ بَـيْـتًا وَهُوَ الْـبَـيْتُ الْـمَعْمُوْرُ فَاَمَرَ الْـمَلَائِكَةَ اَنْ يَّـطُوْفُـوْا بِهٖ ثُـمَّ اَمَرَ الْـمَلَائِكَةَ الَّذِيْنَ هُمْ سُكَّانُ الْاَرْضِ اَنْ يَّــبْـنُـوْا فِـى الْاَرْضِ بَـيْـتًا عَلـٰى مِثَالِهٖ وَقَدْرِهٖ فَـبَـنُـوْهُ وَسَـمُّوْهُ الصَّرَاحَ وَاَمَرَ مَنْ فِـى الْاَرْضِ اَنْ يَّـطُوْفُـوْا بِهٖ كَمَا يَـطُوْفُ اَهْلُ السَّمَاءِ بِالْـبَـيْتِ الْـمَعْمُوْرِ

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম) উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ও পবিত্র আরশে আযীম মুবারক উনার নীচে ‘সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ’ নাম মুবারক-এ একখানা ঘর মুবারক নির্মাণ করেন। তখন তিনি হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ‘সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ’ তাওয়াফ করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক করেন। তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি পৃথিবীতে অবস্থানকারী হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ‘সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ’ উনার অনুরূপ ও সমপরিমাণ একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক নির্মাণ করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক দেন। তাই হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ তৈরী করেন এবং উনার নামকরণ মুবারক করেন ‘আছ্ ছরাহ্’। সুবহানাল্লাহ! তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি আসমানবাসী উনারা যেভাবে সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ তাওয়াফ করে থাকেন, পৃথিবীবাসী উনাদেরকেও সেভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে তাওয়াফ করার জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আদেশ মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী শরীফ ১/৯২)

আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

اِنَّ الْـمَلَائِكَةَ بَـنُـوْهُ قَـبْلَ خُلِقَ حَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِاَلْفَىْ عَامٍ فَكَانُـوْا يَـحُجُّوْنَهٗ فَـلَمَّا حَجَّهٗ حَضْرَتْ اٰدَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَتِ الْـمَلَائِكَةُ بَـرَّ حَجُّكَ حَجَجْنَا هٰذَا الْـبَـيْتَ قَـبْـلَكَ بِاَلْفَىْ عَامٍ

অর্থ: “নিশ্চয়ই আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি সৃষ্টি হওয়ার দুই হাজার বছর পূর্বে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ নির্মাণ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার মধ্যে সম্মানিত হজ্জ মুবারক করতেন।

অতঃপর যখন আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার সম্মানিত হজ্জ মুবারক করেন, তখন উনাকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা বলেন, আপনার সম্মানিত হজ্জ মুবারক পবিত্র হোক! আপনার দুই হাজার বছর পূর্বে আমরা এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক উনার মধ্যে সম্মানিত হজ্জ মুবারক করেছি।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে মাযহারী শরীফ ১/৯২)

কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার সৃষ্টির অনেক পূর্বে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা ‘সম্মানিত ও পবিত্র বাইতুল মা’মূর শরীফ’ উনার অনুকরণে দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ নির্মাণ করেন। তারপর বিভিন্ন সময় তা পুনর্নির্মাণ এবং সংস্কার করা হয়। সুবহানাল্লাহ! (১) সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ পুনর্নির্মাণ করেন আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি। (২) উনার পর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত শীছ আলাইহিস সালাম তিনি। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার বন্যার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ তুলে নেয়া হয়। (৩) অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইসমাঈল যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা তা পুনর্নির্মাণ করেন, (৪) অতঃপর আমালিক্বাহ্ গোত্র উনারা পুনর্নির্মাণ করেন, (৫) অতঃপর জুরহাম গোত্র উনারা পুনর্নির্মাণ করেন, (৬) অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পূর্বপুরুষ সাইয়্যিদুনা হযরত কুছাই আলাইহিস সালাম তিনি পুনর্নির্মাণ করেন, (৭) তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩৫তম বৎসর মুবারক-এ আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত-রিসালাত মুবারক প্রকাশের পূর্বে কুরাইশ গোত্র উনারা পুনর্নির্মাণ করেন, (৮) তারপর ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশে মিনজানীক দ্বারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হলে ৭ম খলীফা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি তা সংস্কার করেন, (৯) উনার পর হাজ্জাজ ইবনে ইঊসুফ তিনি পুনরায় সংস্কার করেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে হাদাইক্বির রাওহি ওয়ার রাইহান ২/২৮৯, ফাতহুল বায়ান ফী মাক্বাছিদিল কুরআন ১/২৮২, তাফসীরে রূহুল বয়ান ১/১৮৬ ইত্যাদি)

১০ম বার পুনর্নির্মাণ করেন সুলতান ৪র্থ মুরাদ ১০৩৯ হিজরীতে।

কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সংস্কার, সৌন্দর্য্যবর্ধন, প্রশস্তকরণ, বহুতল ভবন নির্মাণ এগুলো সব মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক আবাদ করারই নামান্তর। যা মহান আল্লাহ পাক উনারই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নির্দেশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

পক্ষান্তরে রাস্তা-ঘাট, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল নির্মাণ, নদী রক্ষণাবেক্ষণ বা সরকারী/বেসরকারী যে কোনো প্রয়োজনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করার অর্থ হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক বিরান বা ধ্বংস করা। না‘ঊযুবিল্লাহ! কেননা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক স্থানান্তর করা জায়িয নেই।

অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সংস্কার ব্যতীত অন্য কোনো কাজের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ভাঙ্গা বা উনার ক্ষতি সাধন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম-নাজায়িয ও কাট্টা কুফরী। না‘ঊযুবিল্লাহ!

(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক (৩৩তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৯তম পর্ব)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ ও মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৭৮

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী লিবাস বা পোশাক পরিধান করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-১১)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত