সন্তান সম্ভবা মায়ের ফযীলত

সংখ্যা: ২৯৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব ও মাহবুব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন কোন মাতা হামেলা অর্থাৎ সন্তান সম্ভবা হয়ে যান, সন্তান ধারণ করেন তখন ঐ মাতাকে, মহান আল্লাহ্ পাক উনার রাস্তায় জিহাদ করলে যে ফযীলত লাভ হয় তদ্রুপ ফযীলত দেন। (সুবহানাল্লাহ্)

একজন সন্তান সম্ভবা মাতার জন্য মহান আল্লাহ পাক বেশুমার নিয়ামত ঘোষণা করেছেন। কষ্টের কারণে তিনি অফুরন্ত নিয়ামত পান। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তিনি বিশিষ্ট মহিলা ছাহাবি হযরত সালামা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা উনাকে বলেছেন, আপনাদের কেউ কি এই বিষয়ে খুশি ননযে, কোন মহিলা আহাল কর্তৃক সন্তান সম্ভবা হন এবং আহাল উনার প্রতি সন্তুষ্টও থাকেন। তখন (এই হামেলাকালীন) তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পথে সর্বদা রোযা পালনকারী ও সারা রাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পাবেন। উনার যখন প্রসবব্যথা শুরু হয়, তখন উনার জন্য নয়ন শীতলকারী কী কী নিয়ামত লুকিয়ে রাখা হয়, তা আসমান-জমিনের কোনো অধিবাসী জানে না। তিনি যখন সন্তান প্রসব করেন তখন উনার দুধের প্রতিটি ফোঁটার পরিবর্তে একটি করে নেকি দেয়া হয়। এই সন্তান যদি কোনো রাতে উনাকে জাগিয়ে রাখে তাহলে উনি মহান আল্লাহ পাক উনার পথে নিখুঁত ৭০টি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবেন। সুবহানাল্লাহ্। (তাবরানী শরীফ, আবু নুআইম)

তাই, সন্তান সম্ভবা প্রত্যেক মাতার দায়িত্ব- কর্তব্য হলো, শুকুর গুজারির সাথে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত এখতিয়ার করে বেশী বেশী ইবাদত বন্দেগী ও যিকির-ফিকির করা এবং পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করা আর নিজে নেককার হয়ে নেক সন্তান জন্মদানে সচেষ্ট হওয়া।

মহান আল্লাহ পাক তিনি তাওফিক দান করুন।

-আহমদ মাশুক মারজান।

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা হযরত উম্মে ওয়ারাকা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা

প্রচলিত হারাম রছম করুন বর্জন, পবিত্র দ্বীন পালনেই কামিয়াবী অর্জন

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা

পিতা-মাতার দায়িত্ব সন্তানের সুন্দর শরীয়ত সম্মত নাম রাখা

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা: হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা উনার দাওয়াতে আহালের দ্বীন ইসলাম গ্রহণ